বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

তুমি কি আছ আমার মতন সুখে?

-সজল আহমেদ


ঐ যে তোমাদের অট্টালিকা
পাহাড় সমান উঁচু,
নিচ থেকে উঁকি মারলাম
দেখা যায়না কিছু।

তুমি ভালো নেই
কুড়ে ঘরে আমি আছি যতো,
মায়রে নিয়া সুখেই আছি
বাবুই পাখির মতো।

অট্টালিকা আছে তোমার
মা আছে বৃদ্ধাশ্রমে,
বলি ভাই এ ঘর বেঁধেছো
কার জন্যি এত যতনে?

এত পরিশ্রম এত কাজ কাম করে
যখন ফিরো পাহাড়সম ঘরে,
কেউ কি ডেকে যতন করে
আঁচল টেনে ঘর্মাক্ত থোতা মুছে,
এক গেলাশ ঠান্ডা জল দেয় এনে?

না কেউ দেয়না জানি,
মায়ের মত যতন করে এক গেলাশ ঠান্ডা পানি।
অথচ আমায় দ্যাখো,
রাত্র যদি গভীর ও হয়
দেখি আমি ফিরে,
ভাতের থালায় ভাত বেড়ে মা
অাছেন অধীর আগ্রহে
কখন ফিরবো আমি নীড়ে।

নিজ হাতে তরকারীটা পেতে দেয় মোর পাতে,
পাঙ্খা নিয়া বাতাস করে,
চাদড় জড়িয়ে দেয় শীতে।

ওহে অট্টালিকার মালিক
আছো কি সুখে এতটা তুমি,
যতটা আছি আমি?



আই ওয়ান্না ফাক দ্যাট হিউম্যানিটি

আই ওয়ান্না ফাক দ্যাট হিউম্যানিটি

        -সজল আহমেদ





আমি মঞ্চে খাড়ায়া কইছি পৃথিবীময় আজ মানবতা বিলুপ্ত,

দেশে মানুষ না খায়া মরতাছে,দেশে বস্তির সংখ্যা দিনকে দিন বাইড়া যাচ্ছে,

দেশ আজ গরীবখানা, দেশে মানুষ না খায়া মরে,

শিশু অপুষ্টি,বছর বছর অটিজম জন্মাইতেছে!

আমি হিউম্যানিটির কথা কই,আজ বিলুপ্ত হিউম্যানিটি,

ব্যাংক ব্যালেন্স আমার দশকোটি,

দশ বছর টানা দিতাছি কর ফাঁকি!

মঞ্চের আশেপাশের কোন মানুষ আছিলোনা
 সবগুলা আছিলো কাঠের পুতলা।
অন্যদিকে,
এক বিরোধী দলের কর্মী, ইয়ং পোলা
খাড়ায়া আমারে ঝাড়ি দিয়া কইল, 
দেশের জনতার রক্ত চুইষা চুইষা খায় টেলিকম কোম্পানি,

ব্রিটিশগো মতন ওরাও গাড়ছে নীল কুঠী-

এয়ারটেল, গ্রামীণ, বাংলালিংক, রবি শত শতকোটি টাকা ভ্যাট দিবেনা!

বিটিআরসি ও তার খোঁজ নিবেনা!

রবী বছরে একবার জনগণের টাকায় পথশিশুগো গেঞ্জি দিবে,

জনগণের পুটকি মাইরা নিজেগো নাম ফুটাইবো।গেঞ্জিভরা রবীর সিল থাকবো আর টিভিতে অ্যাড হবে,রবী আছে গরীব পুলাপানের পাশে! 
ওগো চালাকি নিয়া কোন কথা কেউ কইবেনা!

ঐদিকে গরীব ব্যাটারা যদি সামান্য পাদ ও দেয়,

তাইলেও তাগো ফাঁক পাইলে পাছা কাইটা নেয়!
আমি এতক্ষণ দাঁড়ায়া সব শুনছিলাম,
আমি নেতা- অফমান সইহ্য করবার মত ক্ষেমতা আমার নাই,
চউক্ষের ইশারায় পি.এস রে কইলাম
ফিনিইইইসসসস...
পরেরদিন পত্রিকায় শিরোনাম দেখলাম
আফসোস আফসোস কেন আমার বিপক্ষে খাড়াইলি!