বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৭

আমি কবর দেখে আতকে উঠি

আমি কবর দেখে আতকে উঠি

-সজল আহমেদ

আমি কবর দেখলেই আতকে উঠে কাঁদি,
এই বুঝি চলে আসলো আমার মরার চিঠি!
এই বুঝি ঝড়ে পরল সেই বড়ই পাতা,
যেই পাতাতে সব মাখলুকের নাম যতনে লেখা! 
৩টি মানুষ উধাও হলো,আরো কত বাকি,
জীবনখানা মোদের সবার সুভাঙ্করের ফাঁকি!
মধ্যখানে মোর দাদি আছে ডান পাশে মোর দাদা,
বাম পাশেতে চাচার কবর, বয়স ছিলো কাচা!
বয়স কাচা, তবুও চাচা মরল সবার আগে,
আগে মরেই প্রমাণ দিলো,মৃত্যু কত কাছে!
ওগো প্রভূ হাত তুলে চাই ক্ষমা তোমার কাছে,
মৃত্যু বেলা শান্তি দিও, নাজাত দিও আখিরাতে!

মাইয়া মানুষ আর কোরআন

মাইয়া মানুষ আর কোরআন

-সজল আহমেদ

বেপর্দা মাইয়াগুলা ধর্ষন কইরা দে,
আবে মামদির পো তোরে ধর্ষন করার রাইটস দিছে কে?

আল্লাহ্'র কোরআন কয়,
ওগো মুমিন, নিজে হও সংযত!
মহিলা দেইখোনা তুমি,
তাকায়া বেহায়ার মতো!

মঞ্চে তাকায়া দেখি বক্তব্য দেয় এক শালা,
নারীর অধিকার চাই কয়া ফাল পারতেছিলো মেলা,
মনটায় কয় কান ধইরা কই,
টিভি বিজ্ঞাপনে কেন একমাত্র মহিলারাই খোলামেলা?

বিকিনা পরায়া মায়রে হয় যদি সুন্দরী প্রতিযোগিতা?
কোথায় থাকে তাইলে নারী অধিকার?
আদতে তো রক্ষিতা!

আই ওয়ান্না ফাক দ্যাট হিউম্যানিটি -সজল আহমেদ

আই ওয়ান্না ফাক দ্যাট হিউম্যানিটি

-সজল আহমেদ

আমি মঞ্চে খাড়ায়া কইছি পৃথিবীময় আজ মানবতা বিলুপ্ত,
দেশে মানুষ না খায়া মরতাছে,
দেশে বস্তির সংখ্যা দিনকে দিন বাইড়া যাচ্ছে,
দেশ আজ গরীবখানা, দেশে মানুষ না খায়া মরে,
শিশু অপুষ্টি,বছর বছর অটিজম জন্মাইতেছে!
আমি হিউম্যানিটির কথা কই,আজ বিলুপ্ত হিউম্যানিটি,
ব্যাংক ব্যালেন্স আমার দশকোটি,
দশ বছর টানা দিতাছি কর ফাঁকি!

অন্যদিকে,
দেশের জনতার রক্ত চুইষা চুইষা খায় টেলিকম কোম্পানি,
ব্রিটিশগো মতন ওরাও গাড়ছে নীল কুঠী,
এয়ারটেল, গ্রামীণ, বাংলালিংক, রবি শত শতকোটি টাকা ভ্যাট দিবেনা!
বিটিআরসি ও তার খোঁজ নিবেনা!
রবী বছরে একবার জনগণের টাকায় পথশিশুগো গেঞ্জি দিবে,
জনগণের পুটকি মাইরা নিজেগো নাম ফুটাইবো।
গেঞ্জিভরা রবীর সিল থাকবো আর টিভিতে অ্যাড হবে,
রবী আছে গরীব পুলাপানের পাশে!
ওগো চালাকি নিয়া কোন কথা কেউ কইবেনা!
ঐদিকে গরীব ব্যাটারা যদি সামান্য পাদ ও দেয়,
তাইলেও তাগো ফাঁক পাইলে পাছা কাইটা নেয়!

ভাই তোরে বড্ড মনে পরে

ভাই তোরে বড্ড মনে পরে

-সজল আহমেদ

তুই মোর গেঞ্জি পরছ ক্যা?
তুই মোর প্যন্ট পরছ ক্যা?
তুই মোর টাহা ধরছ ক্যা?
তুই মোর মোবাইল টেপছো ক্যা?
ওগুলো এখন পুরোনো স্মৃতি,
ওতে সান দেই,আর ভাবি,
ভাই তুই কবে বাড়ি ফিরবি?
তোর শোবার চৌকিটা,পড়ার টেবিলটার,
তোর হ্যাঙ্গার আর পুরোনো গেঞ্জি গুলোর একচ্ছত্র মালিক আমি,
তাকিয়ে দেখি তোর সেই পুরোনো দুটো বালিশ,
আধোয়া কাভার,তুই ফিরলে করবে মনের মতন নালিশ!

অযতনে পরে আছে সব ইলেকট্রনিক্স,
নামাজের প্লাস্টিক পাটি,অযতনে আছে সব,
এখন সারাটা ঘরময় কেমন ঘোমড়া একটা ভাব!

ছিড়ে গেছে কিছু বই,
তোর খুব শখের,
বুখারী,নবী কাহীনি,দ্য হান্ড্রেড পরিপাটি আছে,
বাকি সব অযতনে মলাটে ধুলো জমে আছে।
ভাই,
একসাথে ফজরে যুহরে, মাগরীবে মসজিদে যাইনা অনেকদিন,
হয়না কোন টপিক নিয়ে দুভাইয়ের ঘষা মাজা তর্ক বহুদিন!
ভাই খাইনা ভাত একসাথে জানিস কতদিন?
করিনা বায়না করিনা ঝগড়া কারো সাথে অনেকদিন!
তোর পুরোনে গেঞ্জিগুলো যতনে রেখেছি,
মাঝে মাঝেই পরি,হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখিনি,
ডিটারজেন্ট তোর গায়ের গন্ধটাকে অবশ্য বাঁচিয়ে রাখেনি!
রাত ১২টায় এখন আর শুনিনা কারো কাশি,
না দেয়না কেউ নাটক দেখে খলখলিয়ে হাসি!
সত্যি বলতে ভাই,
তোকে ছাড়া বড় কষ্টে আছি!

মহিলা মানুষ

মহিলা মানুষ

-সজল আহমেদ

তলপেটের কাপড় ফেলাইন্না,
যুবক পোলাপানের ঘুম হারাম!
ঝুমকাওয়ালি পথ ধইরা হাটে,
বুড়া ব্যাডাগুলান ফ্যালফ্যাল কইরা তাকায়,
মাদারী মাগী জাহান্নামের চৌদ্দ শিকে যাউক!
আবে হাটে কেবা কইরা,
মাগীর মাগী লাজ শরম নাই!
পেটের কাপড় নাই, তলেও নাই উপরেও নাই,
আবাল হইতে বৃদ্ধ দেখে, কী আছে ওর ভিতরে?
রসের ডিব্বা না খাঁটি মধু?
লুঙ্গী গুটায়েছে বুইড়া বেটা,
তল দিয়া বড় বড় দুইটা বিচি দেহায়,
ছবক দেয়,আবে পর্দানশীনতা নাই দ্যাশে!
বুইড়া আর মহিলার মধ্যে খাড়ায়া সূরা নূর আল্লাহ্'র কালাম,
চক্ষু সংযত কর মুমিন,
আর লজ্জাস্থানের হেফাজাত কর!
বুইড়া ছবকের সময় লজ্জা ঢাকছিলো কী?
কেউ জিগায়না, কেউ বুইড়ারে দ্যাহেনা,
সবাই ডিব্বা দ্যাহে ডিব্বা!
মাদারী মহিলা জাহান্নামের চৌদ্দ শিকে যাউক!
আবে তুমি কী করবা?
মহিলার তলপেট দেখবা?
না চক্ষু সংযত রাখবা?
রসের ডিব্বা নিবা?
না আখেরে সব নিবা?
তলপেট দেখবা?
না চক্ষু নিচে নামাবা?

আমি আল্লাহ্'র কাছে বইলা দেবো সব

আমি আল্লাহ্'র কাছে বইলা দেবো সব

-সজল আহমেদ

 আমি আল্লাহ্'র কাছে বলে দেবো সব!
পথঘাট আর মানুষগুলো কেমন করেছে আমার সাথে!
কেমন করে আমায় শোওরের বাচ্চা বলে বিচিতে লাথি মেরেছে,
আমি ব্যথা না পাওয়ার ভান ধরে ছিলাম!
বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর বিচিটা ধুমছে ফুলে ফেপে উঠলো!
আমি বলে দেবো সব,
বড় ঘরের বড় মানুষগুলো কেমন আচরণ করেছে আমার সাথে,
আমি আল্লাহ্'কে বলে দেবো সব,
টাকার অভাবে চিকিৎসা হয়নি আমার,
অথচ দায়ী ওরা।
অথচ বড় বড় ঘরগুলোতে টাকার ছিলোনা অভাব!
আমি আল্লাহ্'কে বলে দেবো,
শুয়েছিলাম ৩দিন ধরে হসপিটাল সিটে খবর নেয়নি কেউ!
না ডাক্তার, না নার্চ না আয়া না কেরানী না কেউ না!
আল্লাহ্'কে বলে দেবো,
ওরা সুখেই ছিলো,আর আমরা যারা গরীব,
তারা মরেছি অন্ধকারে!
আল্লাহ্'কে বলে দেবো,
ওরা বড়সড় রোগ হলে চিকিৎসা নিতে আমেরিকা পারি জমায়,
আর আমি?
ঐ যে ছউচ্ছা লৌহ(পঁচারক্ত)মাখা মেঝেতে গড়ায়ে এপার হইতে ওপার যাই!
আমি কেঁদে উঠে কান ফাটানো চিৎকার দিয়ে বলব,
ওরা ঐ যে অট্টালিকাবাসী,আমারে করেছে হেলা,
গালি দিয়েছে -হেলা করেছে ডেকেছে বান্দির পোলা!
আমি হাতুরি শাবল চালায়েছি মাঠে,
ওরা ডান্ডা চালায়েছে আমার পিঠে!
না খায়া কাঁদছি,আর ওরা পরিসংখ্যান করছে,
দেশে না খায়া এখন আর কেউ মরেনা!
আমি আরো বলব,
ধনীর দুলাল মাথা ফাঁটায়েছে আমার,আর আমিই করেছি কারাবাস!
ওরা লাথি দিয়েছে তলপেটে, আমার খালিপেট!
ওরা আমার গায়ের গন্ধ শুকেছে বলেছোে শালা ক্ষ্যাত!
ক্ষাণকির পোলা নাওনা ক বছর গায়ে বিশাল গন্ধ দেওনা কি পারফিউম?
আমি তো পারফিউমই চিনিনা কোথায় দিবো?
বিকট গন্ধওয়ালা একটা পানির বোতল?
সে যাইহোক, সহ্য করেছি মুখ বুজে!
একদিন আমিও দেখবো!
ওদিন বিচার হবে, বলব ওনাকে সব,ওরা খাবে মার,আমি খবিসের মত দাঁড়ায়ে বলব সাবাস!

ও বোন তুমি নিজের স্তনকে অভিশপ্ত ভাবো?

ও বোন তুমি নিজের স্তনকে অভিশপ্ত ভাবো?

-সজল আহমেদ

আমরা ও দুটো খেয়েই বড় হয়েছি
ওদুটোই হৃষ্টপুষ্ট করছে আমাদের
নিজের স্তন কে অভিশাপ ভাবেন এমন নারীর কথা আমি জানিনে!
নিজের স্তন জোড়া নিয়েই যিনি এগিয়ে গেছেন
তিনিই বেগম রোকেয়া
তিনিই সুফিয়া কামাল
তিনিই আম্মা জাহানারা ইমাম
তিনিই মাদার তেরেসা।
তুমি নিজের স্তনকে অভিশপ্ত ভাবো
 তুমি নিজেকে নিয়েই হীনমন্যতায় ভোগো,
তুমি যে একজন "নারী" 
এটা নিয়েই তোমার জ্বালাপোড়া রয়েছে।
তুমি ভুলে যাচ্ছ,
তুমিই আমার বোন-
আমার সামনে তোমার ঘটা করে স্তন গুঁজবার মহড়া
বাহ্ নিয়তি বাহ্!
তবে,
 আদীমকাল থেকেই স্তনের উপর পুরুষের একটা টান রয়েছে,
আমি এমন ডজন খানেক লেখকের কথা জানি যারা যৌনতার ক্ষেত্রে তোমাদের"স্তন" কে যৌনতার মূল করে লেখা লিখেছেন।
এটা ওদের দোষ বোন,
আমার চোখের না।
 আমরা গোড়া থেকেই শিখে আসছি
 যৌনতার মূল একটা অংশই হলো স্তন,
আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম শিখবে
 পুরুষকে কিভাবে স্তন বিমুখ করা যায় 
স্তন গোঁজার মহড়া না করে
আমাকে ভাই হিসেবে দেখো,
আমি তোমাকে আমার বোন।

না খাইয়া কি শুধু নাম মাত্র কুত্তা থাকে?

না খাইয়া কি শুধু নাম মাত্র কুত্তা থাকে?

-সজল আহমেদ

কাঁধে সাদা বস্তা নিয়ে সেই সকালে বার হইছি,
কত পারা কত গলি যে ঘুরছি আল্লাহ মালুম!
এত ঘুইরাও বস্তা ভরেনাই দা!
কত মাইনষের কত কথা বাপু,
ওসব ডেইলি রুটিন।
এই আমার দোকানের সামনে থেইকা যাহ্,
বান্দির পোলা গাড়ির সামনে কি কলকব্জা খুইলা নিতে খাড়াইছোস?
ওয়ার্কশপের সামনে দিয়া যা, লোহা যদি একটা যায় থাপ্রায়া দন্ত ফেলায়া দিমু,
আরো কত কি গালিগালাজ দৈনিক যে হজম করি তার ইয়াত্তা নাই!
আমিও গালি দেই তয় মনে মনে,
আর ওনার কাছে কই, যেন হালাগো সব ঠাডা পইরা যায়।
গতরাতে খাওয়া হয়নি,
দুপুরে নাওয়া হয়নি,
ওস্তাদজ্বি বলছিলো-নেড়ি কুত্তা নাকি দিনের পর দিন না খায়া না নাইয়া বাঁইচা থাকে!
আমি নেড়ি কুত্তা না,
আমার লকব ও নেড়ি কুত্তা না,
তবে ২বেলা খাওয়া হয়নি।
কাগজের আইজ কাইল বড্ড কহর,
পোলাপানন কাগজ ফালায়া দেয়না
কারুকলায় ব্যয় করে।
শেষ অবলম্বনে আছে লোহা,
মাদারী সব লোহার টিনের এত দাম কমাইলো,
১ দিনের টেহা জমাইলেও হালারা ২টা বেলার খাবার দিতে চায়না,
এল্লাইগ্যা পৃথিবীর খাওন বলতে আমার কাছে ড্যান্ডির কৌটা।
কৌটা খুইলা ঠোঙ্গায় ভইরা বুক ভইরা নিঃশ্বাস লই,
পিনিক!চাইরদিকে পিনিক!
সামনে পুলিশ কাকুরা খাড়ায়া তামশা দ্যাখে কিচ্ছু কয়না।
দেখবইবা না কেন?
কিচ্ছু কইবোই বা কেন?
মাঝেমইধ্যেই যে সিগারেট আর চায়ের পয়সা দিই।
তয় মাঝেমইধ্যে আবার পাছায় লাথ্থিও খাই!
ওসব সইত্য ইতিহাস,সব বাস্তব জিনিসপাত্তি।
মিথ্যা খালি,আমার নাই বাড়ি নাই ঘর
আমার নাই ভাই,নাই মা নাই বাপ,
মিথ্যা খালি আমার স্বজন নাই কেউ,
স্বজন বইলা খালি সাদা বস্তা আর রাস্তার কলকব্জা,
মিথ্যা খালি আমি,মিথ্যা খালি আমার জীবন।
আমি পুরাই অকেজো পুরাই মিথ্যা,
আমি ২-৩ বেলা না খাইয়া থাকা মানবীয় খোলসে ভর্তি কুত্তা।



কবিতা-সাবধান!

সাবধান!

-সজল আহমেদ

মনে কর তুমি কাউরে হোগা মারোনা
কাউরে হোগামারার টাইম তোমার নাই
এলাকায় পিচ্চি থিকা মুরব্বির তুমি ভাই
চাইর পাশে চ্যালাচামুন্ডা
রাস্তায় নামলেই হাক ডাক-
এলাকায় তোমার খুব নাম ডাক,
রেইন্ট্রি গাছে পাতি কাক-
ভুলে যাও কেন যৌবন-শক্তি কাকের ডাকের লাহান ক্ষণস্থায়ী।
তুমি গু চেনো?
কত ঘৃণার বস্তু -
সেই গু, গায়ে লাগলে
ডিটারজেন্ট দিয়া চাইর পাঁচবার ধোবার পর,
আর থাকে না।
তুমি যখন কাউরে হোগা মারোনা
তুমি তখন সমাজের কাছে গু-
মনে রাইখো,গু ডিটারজেন্ট দিয়া না ধুইলে গন্ধ থাকে-
কিন্তু,
ডিটারজেন্ট দিয়া ধোয়ার পর
গু আর গু'য়ের গন্ধ থাকেনা।
তুমি যদি গু হও
তোমার গন্ধ চারদিকে ছড়াবে-
কিন্তু সমাজ যখন তোমার গন্ধে অতিষ্ঠ হবে,
তখন তোমারে সমাজ ধুয়ে ফেলবে
তোমার গন্ধ থাকবেনা-
সমাজ সর্বদা গন্ধহীন থাকবার চায়।
অতএব,
তুমি সমাজের কাছে গু হইয়োনা।

তোমার কবিত্বশক্তিডারে ডরাই আমি কবি

তোমার কবিত্বশক্তিডারে ডরাই আমি কবি

-সজল আহমেদ

কয়েকটা আকাঠ ছন্দে মেলানো শব্দগুচ্ছ,
ধাঁচে একটা বড়সড় অ্যাটমবোম্ব
তোমার ছন্দের উদ্ভাবন
উৎপীড়নকারী তামাম ভূস্বামীর পতন।
অতএব,
কবি তুমি কলম থামায়োনা।
যেদিন অতথা এহুদীয় পাত্তি পাত্তি আইন সব ধুলায় লুটায়ে যাবে,
পৃথিবীতে আর মানুষ্যত্ব বইলা কিছুই থাকবেনা,
সেদিনও তোমার ছন্দ চলবো-
এ ছন্দের কোন পতন নাই ওগো কবি
পত্তন আছে নতুন নতুন সব অভ্যুত্থান এর।
তুমি উদার মস্তকে লিখে যাও
তোমার সব অভ্যুত্থানের কথা। 

কবিতা- প্রার্থনা আমি করি

প্রার্থনা আমি করি

-সজল আহমেদ

প্রভূ আমি আপনারে দেখিনায় কোনদিন,
তবুও,
আপনার কাছে করি নত শিরে প্রার্থনা
ভুল কিছু হলে,
ক্ষেমিয়া নিও আমারে।
নিত্য তোমারে স্মরি প্রভূ
আমার সেইদিনটা কেমন হবে প্রভূ,
যেদিন মাথায় এক ঝাঁক অপরাধ বোধ নিয়া-
কান্দুম তোমার সামনে খাড়াইয়া।
তুমি কি আমারে দুরদুর কইরা তাড়ায়া দিবা?
নাকি মাফ কইরা রহমতের ছায়ায় নিবা?
আমি জানিনা।
অতএব,
তুমি আমারে এমন নজরে দেইখো না-
যেমন দেখবা নমরুদ জেহেল ফেরাউনদের।
দুনিয়াভি আমি আমার অহংবোধ দেহাইছি
কবিতায় বড় বড় কথা লিখছি-
অথচ,
আমি কেউনা
কোন ভালো কামের রেকর্ড নাই
অথচ,
সাধু সাজছি!
প্রভূ আমি লোভী-
প্রভূ আমি কৃপণ,
আমি শিংঅলা শয়তানের মতন
প্রভূ,
ক্ষেমিয়া নাও আমার এসব আচরণ।
প্রভূ,
আমি হায়াহীন খালি তোমার কাছে
তোমার কাছেই নির্লজ্জের মতন সব চাই।
আর কার কাছে চামু?
আর দেওনের মতন আমার কেহ নাই।
প্রভূ আমারে সবকিছু বেশি বেশি দেও।