মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

পর শিল্প:সজল আহমেদ এর কবিতা

পর শিল্প

-সজল আহমেদ

মাথায় চেপেছে খুন
দেশের সংস্কৃতি আজ ধুলোয় লুটিয়ে
বাল ছিড়ে হাতে নিলাম ভাষাভাষীর
প্রাধান্য দিয়েছি অপর শিল্পি
দেশী কবিরা আজ ভাত না খেয়ে মরুক তাতে আমার কি অকা?
লজ্জা হয় মা বড় লজ্জা হয় মা,
তোমার সন্তানেরা বাংলায় গান জানেনা।
স্বজাতীর গুলিবিদ্ধ করোটীর দাম দিতে জানেনা;
দাম নেই ভাষার ছিটে ফোঁটা
শাহাবাগ টিএসসিতে চেতনা ফুলিঙ্গ বিক্রিতে উদ্বুদ্ধ মন আর দিন শেষে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে উড়ে যাই জার্মানে। 
মধুসূদন বুঝেছিল সারাকাল কপচিয়ে বিদেশী বুলি কোন লাভ নেই;
কবি লর্ড বায়রন তাকে কিছু দিতে পারেনি
যুগযুগ অপর শিল্পের ভৃত্য খেটে শেষে ফিরে এসেছিলো সেই সাগরদাঁড়িতে
সেই বাংলায়।
ফিরে আসবে জানি সবাই একদিন
মধুসূদনের পথ ধরে;
সেদিনের প্রতিক্ষায় মন বিকুলি, 
আবার ওরা জড়িয়ে ধরবে বুকে বাংলাদেশের পতাকা 
মাঠের পাকা ধান নিয়ে পদ্যে মাতবে
আর গান গাইবে,আমার প্রাণের বাংলা।

ট্রাজিডি অফ বাংলা মুভি:রম্য

ট্রাজিডি অফ বাংলা মুভি

আইডিয়াঃ সজল আহমেদ
(নায়ক বা নায়িকা যখন গরীব)
নায়িকার বেলায়:বেডিরে ডিস্টার্ব বা ধর্ষন(যদিও নায়ক হালার লাইগা নায়িকা ধর্ষনের হাত দিয়া বাঁচে) করার রাইটস পাওন যায়,ধস্তা ধস্তি করন যায়,পুলিশ থানায় নায়িকার বাপের মামলা নেয়না ভিলেনের ডরে।

নায়কের বেলায়:প্রথম প্রথম হালারে ঠিকছে গুতায়(মারন) যে কোন কারণে,হেরপর হালার বাপরে পিডায়া মাইরা ফেলে,যেহেতু ভিলেন বড় লোক হইবো তাই থানায় মামলা হইবোনা পরে সামাজিক নায়ক অসামাজিক হয়া গুন্ডা হয়া যাইবে!
আর ভিলেনের যদি বোন থাকে তাইলে এইটা কওন যাইবে,চুদুরী সাহেপ আমরা গরীব কিন্তু ছুড লোক না!

(ট্রাজেডি)
আর নায়ক যখন চুদুরী সাহেপকে নায়িকার লগে প্রেমের কথা কইলো তখন হইতে চুদুরী সাহেপের রাগ,শেষ দৃশ্যে চুদুরী সাহেপ ঠাস কইরা বন্দুক বাইর কইরা পুটুস কইরা নায়কের বুকে মারলো, কিন্তু কোন জায়গা দিয়া যে আইসা নায়ক কাকার সামনে নায়িকা আপায় খাড়ায় কেউ তা দেখেনা!নায়িকা গুলি খায়া পইরা কাতরাইতে থাকে নায়ক পাশে পইরা থাকা পিস্তল নিয়া চুদুরী সাহেপকে ঠাস ঠাস কইরা দিলো,চুদুরী সাহেপ মাটিতে পইরা মইরা গেলো!নায়ক, নায়িকার পাশে বইসা সকিনা সকিনা করতে থাকবো,খোদার কসম আমি কেমনে যে ঠাস কইরা শেষ সময় নায়িকা বুৃঝিনা চোখ মেইলা তাকায়!
দুঃখিত এর জন্য ট্রাজেডি আর রচনা হইলো না,নায়ক তো জীবনেও মরার জিনিস না!

(বিঃদ্রঃবাংলায় ট্রাজেডি যদি দেখতে চান কিংবা মুভ্যি দেইখা যদি কাঁদতে চান তাইলে "ভাত দে" মুভিটা দেখবেন রিকুয়েস্ট!)

কাবিল সাহেবের ভয়:রম্য

আইডিয়াঃ সজল আহমেদ

রাত গভীর, রাস্তায় কেউ নেই!চারদিকে ঝিঁঝিঁ পোকা ডাকছে!হঠাৎ করে শো শো বাতাসে কাবিলা সাহেবের হাত হতে ব্যাগ উড়ে গেলো!ঘোত করে একটা শব্দ হলো!কাবিলা সাহেব পেছনে ফিরলেন ;না কেউ না তো!আবার শব্দ!এবার ভয় পেলেন তিনি!
কি হতে যাচ্ছে?
কে তার পেছনে?
তাহলে কি!!!!!!!!!!!!!!
সামনে তাকিয়ে কাবিলা সাহেব যা দেখলেন তাতে তার পেছনের দরজা দিয়ে সব বের হওয়ার পালা! এইবার বুঝিতার সব শেষ!জীবন,যৌবন,সম্পদ প্রতিপত্তি সব!কাবিলা সাহেব আলতো করে হাতের টর্চটা মারলেন।

লাইট মেরেই তো হকচকিত!ওমা! এইটা কী?দাঁত খিঁচায়া তার দিকে চাইয়া রইছে!
ভালো কইরা লাইট মারলো তিনি!লাইট মাইরাই মাথায় প্যারা!ক্ষাণ.....(ইত্যাদি)
পারার কালা নেড়ি কুত্তাটা ঠ্যাঙ চ্যাগায়া ক্যা ক্যা করতেছে!কাবিলা সাহেব পাছায় একটা লাথি দিয়া কুত্তাটারে (মাদ...টুট) বলে ঘরে আইলো।