বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

ভাই আর আল্লাহ্'র নিয়ম:সজল আহমেদ এর কবিতা

ভাই আর আল্লাহ্'র নিয়ম

সজল আহমেদ                                           

আজ আকাশে মেঘের দ্যাশে কত শত ঘুড্ডির প্যাঁচাপ্যাঁচি দেখি অথচ
ভাই কতকাল তোর তৈরী রঙিন ঘুড্ডির প্যাঁচাপ্যাঁচি দেখিনা;
দুই ভাই রঙিন ঘুড্ডিও মেঘ দ্যাশে উড়াই না,
আর কচাত কইররা আমার ঘুড্ডির সুতাও কেউ কাটে না কেন?
আমার লগেই এমন ঘটে কেন?
জগদীশ্বর ;এই তামাম নশ্বর দুনিয়ায় মানুষ এত হতভাগা কেন?
তামাম দুনিয়ায় জোড়া মানিক দিলা;অথচ এক লগে টানা শত বছর থাকনের নিয়ম দিলানা!
দিলা অব্যক্ত কিছু স্মৃতি;যা মনে পরনের লগে লগে কাইন্দা বার বার উঠি।
এক প্লেট তরমুজ আর আগুনে পোড়া তিতইলের বিচি;
আমারে দিলি কম তুই নিলি বেশি।
আমার হাতে যখন খাওনের বাটি,
ভাগেই জান্নাত জাহান্নাম বইলা নিয়া নিলি বেশি,
ঐসব মিস্টি জোচ্চুরি আর ম্যাঘের দ্যাশে ঘুড্ডি উড়ানোর স্মৃতিমালা পুরানা কাসুন্দি ঘাইটা পাইয়া গেলাম রঙিন স্মৃতির কথামালা।
জগদীশ্বর ;এই তামাম নশ্বর দুনিয়ায় মানুষ এত হতভাগা কেন?
মানুষ কেন জীবীকার তাগিদে বাপ মা ভাইরে ফাঁটকি দিয়া দূর দ্যাশে পারি জমায়?
সংসার ঘরে আর নতুন মানুষের লগে ঘর করে।
সংসার ঘর কি খালি তাইলে স্মৃতির জ্বলন্ত মোমবাতি,
যার একদিকে ছায়া দিলে অন্যদিক আলোকিত করে?
জগদীশ্বর ;এই তামাম নশ্বর দুনিয়ায় মানুষ এত হতভাগা কেন?
কেন মোমবাতির লাখান জীবন কাল তার?
একপাশ তার প্রতিষ্ঠিত করে অন্যপাশ হয় স্মৃতি বিজড়িত দুঃখের কষ্টের আর সাগর সম কান্দনের?
জগদীশ্বর এই যদি হয় নিয়ম নীতি তাইলে একটু ঘুরাইয়া ফিরাইয়া দেওনের আর্জি করি।