সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বই:কবিতার এক প্রহর ফ্রি ডাউনলোড PDF

কবিতার এক প্রহর
নামঃকবিতার এক প্রহর
লেখকঃসজল আহমেদ
ধরনঃপদ্য
ফরম্যাটঃপিডিএফ
সাইজঃ২.৫৮মেগাবাইট





আত্মকথা

আমি সজল আহমেদ।আমি কোন কবি না,তবে কবিতা লিখতে ভালোবাসি।কবিতা লেখা আমার বিশাল একটা শখ যার মধ্যে আমি নিজেরে নায়ক হিসাবে উপস্থাপন করতে পারি।আমি সর্বসাকুল্যে কোন কথা প্রকাশ করতে পারিনা,পারিনা কোন লম্বা বিবৃতি দিতে বা অহংকার করতে তবে কবিতা লিখতে পারি।সে যদি অন্যকারো কাছে অর্থবোধক না ও হয় তাহলেও ওগুলো আমার মনের লুকানো সব কথামালা যা আমি সবার সাথে সামনা সামনি প্রকাশ করতে পারিনা।কবিতাই আমার মনের কথা-বুঝতে হবে আমি যা কবিতায় লিখছি সেগুলাই আমার মনে আছে তবে প্রেমের কবিতাগুচ্ছ ছাড়া।কারণ প্রেম আমার জীবনে এখনো আসেনাই তাই প্রেমিক পুরুষের অনুভূতি আমি জানিনা।আমার কাছে যা অনুচিত বা গ্রহণযোগ্য না কবিতায় সেইগুলা খারাপ ভাবে উপস্থাপন করি।অশ্লীলতা আছে আমার কবিতায় তয় সেগুলাও মনের ভিতর জইমা থাকা।আমি ওগুলাও কবিতায় সরাসরি প্রকাশ করছি,ধইরা বাঁইধা রাখার জিনিস মনে হয়নাই কখোনো।কবিতা লিখা শুরু করছিলাম সেই ক্লাশ থ্রী-তে বইসা আব্বার অফিস থিক্কা পাওয়া একটা ডায়েরীতে।আমি তখন মির্জাগঞ্জ থাকি আব্বার অফিসের কাছে একটা ভাড়া বাসায়।বাসার পাশে থাকা সম্পর্কে আমাগো আত্মীয় এক সিনিয়র আপুর ছড়া লেখা দেইখা।ওনার ছড়াটা বেশ মজার আছিলো। ছড়াখান ছিলো এই রকম,
সুবিদখালীতে এত মশা
মশার জ্বালায় যায়না বসা
ও মশা তোর পায়ে পরি
আর করিসনা বাড়াবাড়ি।

আমি কি করলাম,এই ছড়াটা সব কপি কইরা আরেকটু যা-তা বাড়াইয়া সবাইরে কইলাম এইটা আমার ছড়া।তারপর আব্বার কাছ থিকা ডায়েরীটা নিলাম।আব্বার পাওয়া ডায়েরীটা বেশ মোটা আছিলো ঐটায় মোট কত পৃষ্ঠা আছিলো জানিনা তয় সেইটার প্রায় সবই ভর্তি আছিলো কবিতায়।যদিও ওইগুলা কোন কবিতা আছিলোনা তয় আমার কাছে রত্নসম।এখনও আছে, খুব যত্ন কইরা রাখছিলাম যদিও ডায়েরীটা উইপোকায় খাইছে কিছু পৃষ্ঠা। যাইহোক সেই থিকা কবিতা চর্চা করি কিন্তু ভালো কিছু পয়দা করতে পারিনাই আমি জানি!আমার কবিতা নিয়া পাছে অনেকে ঠাট্টা করে তাও আমি জানি,তারা মনে মনে আমারে নইশ্শা মনে করে তাও জানি। অবজ্ঞা করে আমার পরিচিতও অনেকেই। তাতে আমি মাইন্ড করিনা কারণ আমার মতে,
যে তোমাকে অবজ্ঞা করেনা সে তোমার বন্ধু না
সে নেহাৎই সুযোগবাদী
তবে কেউ আমারে যখন একেবারে কিছু মনে না করে তখন খারাপ লাগে।যখন আমারে কেউ অবজ্ঞা করার চেয়ে কম যোগ্যতম মনে করে তখন আমি নিজেরে বেশ বড় ভাবি কারণ,

আমি আমিই আমার মতন আমি
আমি বিশ্বাস করি আমার মতন
আমি কইরা; অন্য কাউরে বানান নাই উনি।
আমি নিজের মতন নিজেরে ফেরী করি,
আমি-তে আমি আমিময়
কবিতা -প্রবন্ধ আমিময়
আমি শ্রেষ্ঠ আমি-তে আমিময়।

জানি আমি আলমাহমুদের মত চোখের সামনে প্রেম ফুটাইয়া তুলতে পারিনা,পারিনা নজরুলের মত বিদ্রোহী মনোভাব দেখাইতে, পারিনা তাগো সমকক্ষ কিছু লিখতে তয় আমি কিছু যেন হয় চেষ্টা করি।আমার ভাষা শৈলী গ্রাম্য কারণ আমি গ্রাম থিকাই কাবিতা রচনা করি।আর গ্রাম্য বইলা সেই ভাষা যে ব্যবহার করণ যাবে না এই কথার ঘোর বিরোধীতা করি।একটা কথা জাইনা রাখা ভালো যে আমি অর্থের জন্য কবিতা লিখিনা লিখি নিজের মন থিকা মানুষের যেন ভালো/মন্দ লাগে।অার অর্থের জন্য যদি লিখতাম তাইলে একটা বই প্রকাশ করে তা বিক্রি করার মত টাকা বা পদ্ধতি আমার জানা আছে।আমি কবিতা লিখি মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য তাই বিনামূল্যে পিডিএফ প্রকাশ করি।যাইহোক আমি আমার ভবিষ্যত ফকফকা হওয়ার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।সবাইর প্রতি ভালোবাসা।ভালো থাকবেন।
আল্লাহ্ হাফিজ।