বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

পরিচয়ে একজন চেতনাবাজ

-সজল আহমেদ

রাস্তায় রাস্তায় আর হাটেঘাটে হ্যান্ডবিল ছাপিয়ে জানিয়ে দাও
সজল নামের একটা পাগল চোদা পোলা আছে
যে আমাদের চৌদ্দগুষ্টির নামে কবিতা লিখে লিখে অভিযোগ আনে
আমরা নাকি ধ্বজভঙ্গ।
সে কোন কবি না,বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর না,
 বুদ্ধিজীবী বা ভাঁড় না-না তার কোন বই বেরিয়েছে;মোদ্দকথা গর্ব করার মত দন্ড ছাড়া তার কিছু নেই।
তবুও তার কবিতার কোপ গায়ে বড্ড তেল তেলে লাগে;
প্রফেসর সম্পাদক, প্রকাশক কবিসহ সহ সাড়ে চৌদ্দ জনের বিপক্ষে তার অভিযোগ,আমরা নাকি ধ্বজভঙ্গ
বীর্যেসৌর্জে নাকি পঁচন ধরেছে আমাদের।
মহিলা কবিদের কবিতা ছেপে ছেপে আমাদের নাকি মৈথুনে সব শেষ হয়ে গেছে।
সে নাকি সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দেবে,কাব্যের মঞ্চে দেখো সুযোগবাদীদের মারামারি
কবিদের মধ্যে দ্যাখো কত ধুরন্ধরি।
ঐ ছেলেটা হাত দিয়ে প্রফেসরকে দেখিয়ে বলে,
 দেখো দেখো ঐ সার একটা ছাগল আছিলো।
পত্রিকার সাংবাদিকদের, সম্পাদকদের চিমটি কেটে বলে,
রংবেরঙয়ের সাংবাদিক আছে আমাদের ঝুলিতে
হলুদ, লাল, বাদামী আরো কত রং জানো কি?
এমন পাঁজি পিচকে হতচ্ছাড়ার বিচার না হয়ে কই যাবে?
১০ কুটি টাকার মানহানি মামলা করে দাও
হ্যান্ডবিলের সাথে রাস্তার মোড়ে চায়ের দোকানে দোকানে পোস্টার মেরে দাও;
শিরোনাম করে দাও লাল কালি দিয়ে
সজল একজন রাজাকারের নাতী
অতএব তাঁর ফাঁসি চাই।

সজল আহমেদ এর ছড়াঃ কলাগাছ

কলাগাছ

-সজল আহমেদ


কলাগাছ ঐ পারে ঠায় দাঁড়িয়ে
কলা কাঁদি কেটে নিয়ে ফেল উপড়ে
বারবার এক গাছ কলা নাহি দেয়
একবার কলা দিয়ে- বুড়িয়ে সে যায়।
এক কাঁদি কলা পেতে কত মেহনত
কলা কাঁদি পেয়ে গেলে ;মনিব যায় নিয়ে স্বহস্তে খড়গ।
কলা পেয়ে গেলে গাছের মূল্য কি?
এই বলে কলাগাছের শিরে মারে ছুড়ি।
স্বহাস্যে কলাগাছ বলে,ও মানুষ্য জাতী
নিজবক্ষের ফল খাইয়ে আজ এই পরিণতি?
শুনে রাখ,শুনে রাখ তুই তবে
যতই কাটিস উপরিভাগ- নিম্নভাগে স্বজাতী জন্মাবে।

সজল আহমেদ এর ছড়াঃ বাটে পরেছেন লস্কর সাহেব

বাটে পরেছেন লস্কর সাহেব

-সজল আহমেদ

লস্কর সাহেব;ছাতি খানা বগলে জোড়া পায়ে হাটে
ভাবখানা এমন;পৃথিবীকে যেতে চান পাশ কাটিয়ে,
পকেটে পানের কৌটা ঘনঘন বার করে
পাতার বিড়ি ধরিয়ে জোড়েসোড়ে টান মারে।

চায়ের দোকানে গিয়ে ওমা সেকি কারবার
এক কাপ চা নিয়ে ফু মারে বারবার!
সব মিলিয়ে ২০ টাকা বিল করে,
নতুন পাঞ্জাবীর পকেটে বারে বারে হাত ভরে।
খাওয়া দাওয়া শেষে বলে ওহে দোকানি বৎস
পকেটে খুচরো নেই আছে বাপু কড়কড়া পাঁচশ।
কাল দিয়ে দেবো ক্ষণ টুকে রাখো না,
এই বলে গেলো চলে আর এলোনা।
একদিন দুই দিন সপ্তাহর পর মাস পেরিয়ে যায়,
কই গেলেন লস্কর সাহেব খুুঁজে কেহ নাহি পায়।
উধাও লস্কর সাহেব মেরে টাকা কুড়ি
দোকানি রেগেছে বেশ, পেলে ফাঁসিয়ে দেবে ভুঁড়ি।
একদিন ভোরবেলা পাওয়া গেলো তাঁকে
বগলে ছাতা নিয়ে মাথা উঁচিয়ে হাটে,
দোকানি বেচারা ছিলো এমনই সুযোগে
সুযোগে সৎ ব্যবহার;লস্কর পরিলেন বাটে।

বগল থেকে ছাতা খান মেরে হ্যাচকা টান
দোকানির সাফ কথা ;ছাতা নিতে হলে বাপু পুরানা পাওনা মিটান।
লস্কর ওঠেন খ্যাকিয়ে,কত টাকা পাও ব্যাটা ওহে কিপ্টে দোকানি?
সামান্য টাকার দায়ে হাতিয়েছ মোর দামী ছাতা খানি।
আজ্ঞে কুড়ি টাকা তাড়াতাড়ি দেন,
কুড়ি টাকা দিয়ে বাপু ছাতা নিয়ে যান;
লস্কর পকেটেতে হাত ঢুকিয়ে
কুড়ি টাকা বের করে দিলো দোকানির মুখে ছুড়ে।
যাবার সময় সিংহ গর্জন,ওহে ব্যাটা দোকানি,
হিম্মত থাকে যদি যাস ও পারায় তোকে দেখে নেবো আমি!