বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বিদেশী ভাষা বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে: সজল আহমেদ




বিদেশী ভাষা বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে

সজল আহমেদ



↓প্রবন্ধটি পিডিএফ হিসাবে ডাউনলোড করুন↓
অনেকের প্রশ্ন দেখি,

"বাংলার ভিতরে ইংরেজির সংমিশ্রণ ঘটানোর আমাদের কি দরকার.???"

এইসব প্রশ্ন দেইখা হাসি যে পায় কি কমু!

শ্রদ্ধেও ভাই,আপনাগো প্রশ্নের জবাব দেওয়াটা বাংলাদেশী হিসাবে দায়িত্ব মনে কইরা উত্তর দিতাছি।লেখার বিষয়ের লগে একমত হ

প্রথমত কথা হইলো গিয়া ভাষা কি?

মনের ভাব প্রকাশ করারে কয় ভাষা।তা সেইটা যে রকম হউক সমস্যা কি? আঞ্চলিক হউক ইংরাজী মিশ্রণ হউক আর আরবী উর্দু মিশ্রণ হউক মনের ভাব বুঝাইতে পারার জন্যই একটা ভাষার জন্ম হয়।ভাষা সমৃদ্ধ করার জন্য প্রয়োজন অন্যান্য ভাষার সংমিশ্রণ।এখন আমি একজনের লেখা তুইলা ধরতাছি যিনি বাংলার লগে ইংরাজীর সংমিশ্রণের বিরোধীতা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় উৎপাত করছেনঃ
অ অা ক খ
ভাষার মাস বাংলিশ ভাষা ফেব্রুয়ারি
সেক্ষেত্রে অমর একুশ আমার ভাইয়ে রক্তে রাঙ্গানো ২১ ফেব্রুয়ারি গানটা না গেলে যেন কেমন ইই লাগে আর লাগার আরেকটা বিষয় যেটা না বললেই নয় " গ্রামীনফোন এর এড যেটা পাহারিদের নিয়েঅমর একুশ গানটা গেয়ে এড দেখানো হয় তা নিশ্চই বাংলাভাষাকে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। ভাবতেই অবাক লাগে আমার দেশের মাতৃভাষাকে অন্য জাতীর লোকেরা সেটাকে সম্মান প্রদর্শন করেছে তাদের মাতৃভাষায় না আমাদের বাংলা ভাষায়। আদৌ কি গানটা বাংলা ভাষায় গেয়ে দেখানো হয়েছে ?? সেটার প্রথমে গানে ইংরেজিটাই ব্যবহার করা হয়েছে, এক্ষেত্রে আপনি কি বলবেন. ??? বাংলা ভাষাকে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করা হয়েঠে নাকি অসম্মান করা হয়েছে ???।
বিষয়টাকে পজিটিভলি দেখলে পজিটিভ কারন স্বনামধন্য কোম্পানির বিজ্ঞাপন বলে কথা তারা তো সরকার অনুমোদিত করেই এটাকে পাব্লিসিটি করেছে তো নেগেটিভ নেওয়ার আর কি আছে ??? তবে এটা নেগেটিভ নিলে অনেক কিছু। যে ভাষার জন্য মানুষ এত স্লোগান আর বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে সেই বাংলা ভাষার সাথে আমরা ইংরেজি মিশ্রিত করে বাংলিশ ভাষায় পরিনত করে ফেলছি।।হ্যা ইংরেজি ভাষা যে আমরা অর্জন করবো না তাও কিন্তৃ নয় কারন ইন্টারন্যাশনাল ভাষা যেটা সেটাকে কখনও দূরে ঠেলে দেওয়া সম্ভব নয় কারন জীবনে চলতে হলে ইংরেজি ভাষার চর্চা অত্যাবশ্যকীয় কিন্তু তাই বলে নিজ দেশের ভাষাকে তুচ্ছ হেয় প্রতিপন্ন করে দূরে ঠেলে দিবো তা হতে পারে না।
কয়েক হাজার বাঙ্গালিকে হয়ত শুধ ইংরেজি বলতে সক্ষম করে তোলা যাবে কিন্তু কোটি কোটি বাংগালিকে কখনই কাজ চালানোর মত ইংরেজিতে শিক্ষিত করে তোলা যাবে না"আমার কথা হচ্ছে দেশের সব সব মানুষকে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করা হোক তাতে কোন আপত্তি নেই কিন্তু নিজের মাতৃভাষা বাংলাকে ভুলে থেকে কা বাংলা ভাষাকে বাদ দিয়ে নয় ' এই মাতৃভাষা বাংলাকে সর্বোচ্চ প্রধান্য দিয়ে জাতী শুধু ইংরেজি না ফরাসি জার্মানি পর্তুগাল ভাষায় বই ছাপা হোক কিংব্বা স্তুল কোচিং প্রতিষ্ঠা হোক তা যেন বাংলা ভাষাকে ছাড়িয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে আমাদের।আমরা যতটা বাংলায় কথা বলি তার থেকে ইংরেজি ভাষাটাই প্রয়োগ বেশি করে থাকি এ যেন আমাদের চিরাচরিত বদ অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে।গতকাল এক ভাইকেও দেখলাম এই ইংরেজি চর্চা আর বাংলা ভাষার চর্চা সম্পর্কে অনেক কথা লিখেছেন আর লিখবেই না কেন.?? নিজের ভাষা মাতৃ্ভাষাকে ভালবাসি বলেই। বাংলার ভিতরে ইংরেজির সংমিশ্রণ ঘটানোর আমাদের কি দরকার.???
ক্রমেই আমরা আমাদের বাংলা ভাষাকে হারিয়ে বাংলিশ ভাষাকে প্রধান্য দিয়ে যাচ্ছি।আজ আমরা রফিক সালাম আর বরকতদের রক্ত দেওয়া কথা ভুলে গিয়ে হৃদয়ে খোদাই করে দিয়েছি ইংরেজ শাসনের বানী ' ওই শাসন ভুলে আমাদের উচিৎ প্রত্যেকের যায়গা থেকে বাংলা ভাষার প্রতি সতর্ক হওয়া আর সতর্ক হলেই রফিক সালামের রক্ত বৃথা যাবেনা।ফেব্রুয়ারি মাস এলেই আমরা মাস ব্যাপি বই মেলা দিয়ে দেখিয়ে থাকি আমরা বাংলাকে বড্ড ভালবাসি আর ২৮ ফেব্রুয়ারি চলে গেলেই আমরা আবাং দীর্ঘ ১১ মাসের জন্য ভুলে যাই সেই ভাষার ব্যবহার ' বাংলা ভাষা শুধু ২১ ফেব্রুয়ারি বা একমাস জুড়ে বিচরন না করে হৃদয়ে বাংলাভাষাকে গেথে সমগ্র জীবন জুড়ে পরিচালনা করা উচিৎ যে কখনও এই ভাষা হারিয়ে না যায়।
-আরিফুল ইসলাম





পাঠক তাঁর লেখাখান লক্ষ্য করেন।দেখেন তিনি প্রমিত বাংলা শব্দ গঠনের কথা কইতাছেন কিন্তু তার দ্বারা কি ইংরাজী এড়ানো সম্ভব হইলো?

এই যেমন উনার লেখায় উনি ইউজ করলেন "এড, পজেটিভ,কোচিং " এইগুলা উনি বাংলায় যথাক্রমে "বিজ্ঞাপন,ধনাত্মক, শিক্ষালয়" লিখলে বুঝতে কষ্ট হইতো অনেকেরই।চেয়ার কে কেদারা কইলে কয়জন বুঝবে? ১০০% এ ৭০% বাংলাদেশী জানেনা কেদারা খান কি জিনিস। মনে করেন আমি কেদারা কি জানিনা এখন যদি বলেন, সজল তুমি আরাম কেদারা খান নিয়া আহো আমি শুইয়া বইয়া আরাম ফরমাইবো।এখন আমি তো আরাম কেদারা খান কি সেইটা বুঝমুইনা,সেইক্ষেত্রে আমার লগে এই পুরা বাংলা ভাষা ইউজ করা হবে মনের ভাব প্রকাশের অপব্যয় বা পন্ডিতগিরি দেখাইনা।আর রফিক, শফিক তারা মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিছে,তাগো মাতৃভাষায় যথাক্রমে,আরবী, ফারসি,ইংলিশ ইত্যাদির মিশ্রণ আছিলো।
 বাংলা ভাষায় আদীকাল থেইকাই বিদেশী ভাষার মিশ্রণ চলতেছে।পাঁচ হাজার খ্রিস্টপূর্বে জন্ম নেওয়া ইন্দো ইউরোপীয় ভাষা থেইকা পরিবর্তন হইতে হইতে শতম, আর্য, প্রাচীন প্রাচ্য, গৌড়ী প্রাকৃত/মাগধী, অপভ্রংশ, বঙ্গ কামরূপী থেইকা ৬৫০ খ্রিস্টাব্দে জন্ম নিছে বাংলা ভাষা।তারপর সেইখান থিকা বিবর্তন হইতে হইতে আজকের আমাগো এই চলিত বাংলা।এর লগে মিক্সড আছে প্রচুর বিদাশী শব্দ,এর জন্যই মূলত হইছে এই বিবর্তন।কেউ পারছে ভাষার বিবর্তন ঠেকাইতে?

যদি বাংলা ভাষার মধ্য থেইকা বিদেশী ভাষা তাড়াইতে চান আপনে সে ক্ষেত্রে অযৌক্তিক একটা কাজ হাতে নিতাছেন বা অযৌক্তিক কিছু লিখলেন,এবং এইটা জীবনে সম্ভব না যেহেতু ডাঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ ভাষা বিজ্ঞানী হইয়াও পারেন নাই নিজেরে ফারসি, ইংরাজী শব্দ থেইকা দূরে রাখতে।

আরবী, ফারসি, ইংলিশ,ফ্রান্সিস

,পর্তুগিজ, হিন্দি, উর্দু তথা এইসব বিদেশী শব্দ প্রাচীন থেইকা বাংলা ভাষা সমৃদ্ধ করছে।আমরা যদি ১০০ শব্দের কথা কই তার মধ্যে দশটা /বিশটা কই বিদেশী শব্দ।খালি যে আমরা কই তা কিন্তু না,প্রত্যেকটা ভাষাভাষী তাগো ভাষা সমৃদ্ধ করছে বিদেশী শব্দ দিয়া,এমন কি ইংরেজী ভাষাও।এই নিয়মটা চিরাচারিত,এইটার পিছনে ইতিহাস না কই।এখন ভাই বলেন,

"বাংলার ভিতরে ইংরেজির সংমিশ্রণ ঘটানোর আমাদের কি দরকার?"

এই প্রশ্নটাই বা কতটা যৌক্তিক যেইখানে আপনারা কথায় কথায় নিজেরাই বাংলায় ইংরাজী ইউজ করতেছেন দেধারছে! এমনকি বাংলায় যারা বিন্দুমাত্র ইংরাজীর ছিটেফোঁটা দেখতে চায়না তারাও ইংরাজী স্ট্রাকচার ইউজ করতাছেন।সেইক্ষেত্রে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীরে ধরি।তিনি সারাটা জীবন বাংলায় ইংরাজীর মিশ্রণের বিরোধীতা করছেন কিন্তু নিজে কি ইংরাজী থেইকা নিজেরে মুক্ত করতে পারছে? আসেন ব্রাত্য রাইসুর লেখা থেইকা জানি,


সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর হইলে english নইলে বাংলা! ~
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী নাকি হইলে english আর নইলে বাংলা লেখেন।
খালি লেখা না, বলার সময়ও এই শুদ্ধতা বজায় রাখেন।
উনি banglay ইংরাজির মিশ্রণ ঘটান না। ইংরাজিতে অবশ্য উনি কেন, কেউই বাংলার misron ঘটায় না।
তার ছাত্রছাত্রীদের দেখছি এই বিষয়ে মুগ্ধতা আছে। যেইখানে ভাষা, অন্তত বাংলা ভাষা গইড়াই উঠছে হইল ভাষামিশ্রণ দিয়া, সেইখানে ওনার এই রকম অবিমিশ্রতার তপস্যা কেন?
২.
তা উনি কেমন বাংলা লেখেন দেখা যাউক:
“ইংরেজ যে এসেছিল সে তো কেবল বন্দুক ও আইনকানুন নিয়ে নয়, সঙ্গে পুরো একটা ব্যবস্থাকেও নিয়ে এসেছিল বৈকি। ওই ব্যবস্থাটাকে বলা যায় পুঁজিবাদী। পুঁজিবাদ একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, সেই সঙ্গে সে একটি আদর্শও বটে। এদেশের শিক্ষিত মানুষেরা ওই ব্যবস্থা ও আদর্শের কাছেও বিলক্ষণ নতি স্বীকার করেছে। এই নতি স্বীকারটিই বরঞ্চ স্থায়ী হয়েছে, এবং তা মেরুদণ্ডকে শক্ত হতে দেয়নি। শাসক বদল হয়েছে, কিন্তু ব্যবস্থা ও আদর্শের কোনো হেরফের ঘটেনি। এখন আর বিদেশিরা নেই, এখন আমরা নিজেরাই নিজেদের শাসন করছি।”— (শিরদাঁড়াটা কোথায় থাকে)
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর এই বাংলা শেষ পর্যন্ত ইংরেজি-বাংলা। বাক্য গঠনে ইংরেজি স্ট্রাকচার খলবলাইতেছে। যিনি বাংলায় ইংরেজি ওয়ার্ডের টিকিটিও দেখিতে নাহি চান তার বাংলায় ইংরেজি বাক্যগঠনের এমন নকলদারি কেন?
৩.
বোধহয় উনি ইংরেজের তরেই বাংলাটি লেইখা থাকেন। তা আমাদের সব শুদ্ধ ভাষা অলারাই লেখেন।
ব্রাহ্ম সমাজের নামে খ্রিষ্ট ধর্মের ছুৎমার্গরে জনমণ্ডলীর ভাষায় পরিব্যপ্ত কইরা দিছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তা আমরা এখনো সকল প্রাতিষ্ঠানিকতায়, আনুষ্ঠানিকতায় বহাল রাখতেছি।"
-ব্রাত্য রাইসু
২২/০২/২০১৭
ফেসবুক থেকে নেওয়া।

তবে আপনাগো ফাঁকে আরেকটা কথা জানাইয়া রাখন ভালো,মাতৃভাষা একচেটিয়া ভাবে ব্যবহারের বিপক্ষে ও আমি না,উপরে ভাষার বিবর্তন সম্বন্ধে বলা হইছে,এবং মাতৃভাষা বিষয়ক কিছু কথা আছে।আমি আগেই জানাইয়া রাখি,
 ১.আমি একচেটিয়া মাতৃভাষা ফলানোর বিপক্ষে না বরংচ এইটার প্রশংসা করি। ২.আমি চাইনা মাতৃভাষার জায়গায় অন্য কোন ভাষা অধিপত্য বিস্তার করুক। ৩.এবং ভাষা বিবর্তন এর বিপক্ষেও না। 
আমি মূলত আলোচনা করতে চাইতেছি আপনাগো উত্থাপিত প্রশ্ন,
❝বাংলার ভিতরে ইংরেজির সংমিশ্রণ ঘটানোর আমাদের কি দরকার? ❞ 
এই আলোচনার মধ্যে ইন্দো ইউরোপীয় থেইকা ভাষার বিবর্তন, মাতৃভাষার একচেটিয়া ব্যবহার,বা অপর ভাষার অধিপত্য ইত্যাদি নিয়া আপনাগো সব মতামতের বিপক্ষে আমি না।আমি খালি এইটার বিপক্ষে, ❝বাংলার ভিতরে ইংরেজির সংমিশ্রণ ঘটানোর আমাদের কি দরকার? ❞ আমি আগেই কইছি ভাষা সমৃদ্ধ করছে বিদাশী ভাষা।তবে একচেটিয়া বিদাশী ভাষা ইউজ করার কথা আমি কইনা,ইংরাজী দিয়া যারা অফিস শুরু করে সেইটা তাগো নীতিগত সমস্যা, এইটার বিপক্ষ আমি কেন সব বাংলাদেশীরা করে প্রকাশ্যে বা মনে মনে এইটা আমার ধারণা।তবে আমি এইটার লগে একমত না যে, বাংলায় ইংরাজীর সংমিশ্রণ থাকলে সেইটা হবে অশুদ্ধ।যদি বক্তার কথা বলায় অতিরিক্ত ইংরাজী থাকে আর সেইটা বুঝতে ২য় ব্যক্তির বুঝতে কষ্ট হয় তাইলে সেইটা জ্যাঠামী বা ভাষার অপব্যবহার।আর, চিরাচরিত ভাবে একটা ভাষা অন্য একটা ভাষারে সমৃদ্ধ করছে এইটা দোষের কিছু কি? আর এইগুলা আমাগো ভাষায় এমন ভাবে মিলছে যে দ্রুত সেইগুলা বাদ দেওন হবে একেবারে অসম্ভব!আর আস্তে আস্তে ভাষায় যেইভাবে বিদাশী ভাষার মিশ্রণ হইতাছে তাতে ভবিষ্যতে "আমি" কইলে "চা খামু" কইবে ইংরাজী বা হিন্দি তে।এই ব্যাপারটার বিরোধীতা করণ যায়, কিন্তু এক্কেবারে সব গুলা উপড়ায়া ফেলা অসম্ভব!


সজল আহমেদ
mrsajal2@gmail.com
facebook/sajalahmed2222


আমি এক জ্ঞান তাপসরে খুঁজি:অধ্যাপক আঃ রাজ্জাকের প্রতি

আমি এক জ্ঞান তাপসরে খুঁজি

(অধ্যাপক আঃ রাজ্জাকের প্রতি)

-সজল আহমেদ


স্যার কত শত যে প্রফেসর দেখি মিনিটে মিনিটে জন্ম লয়
দাঁড়াইয়া উচ্চস্থানে জ্ঞানপিপাসুদের ভাবেন চুদির ছেলে;