শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৭

কবিতার বই পিডিএফ ডাউনলোড

এষামিলা সিরিজ

-সজল আহমেদ

সাইজ ৪ মেগাবাইট
ডাউনলোড লিংকঃ

এষামিলা কথন
এষামিলা একজন নারী, যাঁরে আমি স্বপ্নে দেখি কিন্তু আদতে সে আছে কিনা আমি জানি না! তাঁরে আমি সর্বদা স্মরণ করি দিল থিকা। আমার আর তার লগে ব্যবধান খালি কল্পনার একটা পর্দা! সে আমার কবিতায় ভাসে। দেখতে সে অতীব সুন্দরী! হাসলে তাঁর গালে একটা টোল পরে। সেই টোল অবলম্বন কইরা আমি হাজার বছর বাইচা থাকতে পারি। পৃথিবীর সব টোলপরা প্রেমিকাদের মধ্যে আমি এষামিলারে দেখি। পৃথিবীর সব টোলপরা মেয়ে হোক এষামিলা।
সজল আহমেদ
১৫/০৮/২০১৭

রবিবার, ২১ মে, ২০১৭

শ্রমিক


-সজল আহমেদ

শ্রমিকের ঘাম গড়িয়ে মুখে পরে নোনতা স্বাদে মুখ থিতু হয়ে যায়
বক্তার বকবকে কান ফেটে চৌচির হয়।
তুমি বক্তা বকবকে ১ টা বেলা,
শ্রমের মূল্য দিতে ফাল পারো ম্যালা।
সাম্বাধিক সকল কলম হাতে

বুধবার, ১০ মে, ২০১৭

‘পেটি বুর্জোয়া ’ মানববন্ধন এবং ‘নিম্নবিত্ত’

-সজল আহমেদ

আমাগো ছাত্র-শিক্ষক-লেখক-শিল্পী-সাংবাদিক-সংস্কৃতিকর্মী নামক পেটি বুর্জোয়ারা যে গরীবগো জন্য না তাঁরা যে সেই

সোমবার, ৮ মে, ২০১৭

রবীন্দ্র সমালোচনার নামে

-সজল আহমেদ


আমরা রবীন্দ্র সমালোচনার নামে কিছু সমালোচনা করি বাইবেল নীতিতে অথবা প্রথিত বিদ্বেষ থেকে। বাইবেলের মত বাপের দোষ সন্তানের মাথায় চাপাতে চাই।

মঙ্গলবার, ২ মে, ২০১৭

কবিতাঃ দেবী দুবি প্রগতি

দেবী দুবি প্রগতি

-সজল আহমেদ

পুনঃপুন ঈসরাফিলের চোঙ্গায়
প্যাঁপু ফুক মারে,
দুনিয়া তো ধ্বংসের পথে।
মানুষই তো মানুষের গোয়া মেরে খায়
দেবী থেমিস ভেতরথে ব্লোজব দেয়
জেগে ওঠ প্রগতি পাছায় তোমার কে শিঙ্গা লাগায়।
বসচা পুনরায় মাথাচাড়া দেয়

বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৭

রবীন্দ্র সমালোচনা- অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক কেন রবীন্দ্রনাথকে বড় মানুষ ভাবতেন না?

বাংলা সাহিত্যে পদার্পণ মানে আপনি ইতোমধ্যে রবীন্দ্রনাথ পাঠ করে ফেলেছেন। বঙ্গে রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিয়ে বাংলা সাহিত্য পাঠ মানে-লবনহীন তরকারী। কোন এক অদৃশ্য হাত বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ পাঠ বাধ্যগত করেছেন। সেই ছোটবেলায় শুরু জাতীয় সংগীত "আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি" থেকেই আপনার আমার রবীন্দ্রনাথ পাঠ শুরু হয়েছে। এরপর "ব্যক্তিস্বাধীনতা" বোধ হও.....বিস্তারিত পড়ুন সদালাপে→

সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৭

বাঙ্গালী মুসলমানদের সংস্কৃতি বিরোধী দোষে দোষারোপকারীদের অবশ্যপাঠ্য

বাঙ্গালী মুসলমানদের সংস্কৃতি বিরোধী দোষে দোষারোপকারীদের অবশ্যপাঠ্য

-সজল আহমেদ





মঙ্গোল শোভাযাত্রা হবে এটা নিয়ে চুপই ছিলাম আমার চারুকলার বন্ধুদের খাতিরে।এই যে তাঁরা রাক্ষস-টাক্ষস নিয়ে লাফাবে সেটাও তাদের খাতিরে সাম্প্রদায়িকতা ধরিনি কিন্তু এখন

মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০১৭

বয়ান নামা -১

দেখা গেছে সকল জ্ঞানীরেই "পাগল" বইলা অপজিটরা সম্বোধন করছেন নিজেদের লুঙ্গীর গিট্টু খোলার ডরে।সেইক্ষেত্রে মহানবীরেও ছাড়েনাই ঐকালে।এইকালে রবীন্দ্র ভক্তরাও রবীন্দ্রনাথ এর সমালোচনা সহ্য করতে পারে না তাই সমালোচকরে পাগল ডাইকা রবীন্দ্রনাথ বাঁচানোর ব্যর্থ চেষ্টা আরকি।
আমি যে জ্ঞানী তাতে আপনের সন্দেহ আছে?
-সজল আহমেদ

শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০১৭

একাকী কান্না-সজল আহমেদ এর কবিতা



একাকী কান্না

-সজল আহমেদ

যখন নিজেকে একা মনে কর;
কিংবা কাউকে হারিয়ে ফেলো;
পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে দেখো-
প্রতিটা কোনায় কোনায় তাকাও

শনিবার, ১১ মার্চ, ২০১৭

গল্পঃ গন্ধপোকা

গন্ধপোকা

(ছোটগল্প)
যিযাম এক মধ্যবিত্ত পরিবারের একমাত্র ছেলে,পিতা রহমত মিয়া মধ্যবিত্ত চাষী।যিযামের সপ্ন বিরাট বড় লোক হওয়া।তার থাকবে একটি বিশাল বাড়ি।সুস্মিতা নামক একটা

বুধবার, ৮ মার্চ, ২০১৭

Oh My Lord-Poetry of Sajal Ahmed

Oh My Lord

-Sajal Ahmed

Oh my Lord!
That day, 
I would be like,when I
See you in front of My eyes?
You can look at me with pity, and I will look
At the bottom,
On that day, my face becomes pale with fear or joy,bright,
I do not know!
So please Forgive me!

মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০১৭

পন্ডিত-সজল আহমেদ এর কবিতা

পন্ডিত

-সজল আহমেদ

শত শত পন্ডিত গোয়া মেরে আজ তালবেলেম থিকা পুরোদস্তুর পন্ডিত হইয়াছি;
একটা সময় গেছে পারার চায়ের টঙে প্রতদিন দু-একটা পন্ডিত জন্মাইছি-
আমি যহন পারার বুদ্ধিজীবীদের বাপ
আর তখনো টোলে মেধাহীন ছাত্রদের ঠ্যাঙায় পন্ডিত সাপ।
পন্ডিতেগো বিদ্যাবুদ্ধিতে ঠাডা পরুক,ক্লাশ অন টুর বইতে-তে সীমবদ্ধ পন্ডিতগণ বিদ্যে বুদ্ধির জাহাজ সাজতে চায়
তাইতো কবিদের আসরে,বুদ্ধিজীবীদের আসরে খালি,গোয়ামারা খায়।

শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০১৭

বুদ্ধ কে দেখেছি:সজল আহমেদ এর কবিতা


বুদ্ধ কে দেখেছি


সজল আহমেদ

আধো আলো আধো অন্ধকারে এচড়ে পাকা চিত্ত ছুটে চলতে চাচ্ছে বুদ্ধের আসরে বুদ্ধের দেশে
অথচ ভিখেরিদের আমি পছন্দ করিনা।
ভিখিরির বেশে বুদ্ধ ভিক্ষে করছে যেখানে থালাহীন ন্যাড়া মাথা নিয়ে;

মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

কষ্ট আমার একারই থাক:সজল আহমেদ এর কবিতা

কষ্ট আমার একারই থাক

(বন্ধু স্বর্নার জন্য লেখা)

সজল আহমেদ

আবৃতিঃ

আমার লুকানো কষ্টের গলিতে নিয়মিত কষ্টেরা দল বেঁধে মিছিল করছে;
হিংসেয় জ্বলে পুড়ে মরছে কিছু নরকের কীট;

ভাতের অভাব নাই :সজল আহমেদ এর কবিতা

ভাতের অভাব নাই

~সজল আহমেদ~

ভাত উড়ছে আকাশে বাতাসে দরীদ্রতার কোন ছাপ নেই এই শহরের গোপন পতিতা পল্লিতে খদ্দেরের ও অভাব নেই।
দেহের কোটরে

রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

শোকরিয়া প্রভূ:সজল আহমেদ এর কবিতা

শোকরিয়া প্রভূ

-সজল আহমেদ


আজ দ্বীনহীনা আমি প্রভূর কাছে শুকরিয়া করে যাব,
কতকাল আর করে যাব চির বেঈমানদের মত নিজের পূজোপাঠ,
আজ অনেক কিছু বলার আছে প্রিয় প্রভূর কাছে প্রভূ শুনবেন কিন্তু বেঈমানের ফরিয়াদ।
না না প্রভূ আমি ফরহাদ মজহারের মত না তোমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবনা,
আমি প্রভূ অতটা বেত্তমিস না
আমার কাব্য হবে ভালোবাসার
যাতে কোন রক্তের দাগ থাকবেনা থাকবেনা বেত্তমিসতার কোন ছাপ।
আমি যুক্তির জালে তোমাকে বাঁধবনা
করবনা ছিটেফোটা অপমান
মানুষ করে গড়েছো করনি অপমান
আমি তো আর চারপেয়ে জানোয়ার হইনি
জানোয়ার হলে ;ঘাস চিবুতাম আর আকাশের পানে তাকিয়ে তাকি হাম্বা হাম্বা রবে ডাকতাম।
দয়া করে এতটা কাল বাঁচতে দিয়েছো;
আঙ্গুর নাশপতি দিয়েছো ঘাস খেয়ে তো তরতর করে বড় হইনি।
মুখে অন্ন দিয়া পেটে শান্তির নহর বইয়েছো
এটাই অনেক, এতেই খুশি এরপর আর লাগে কি?
দ্বীনহীন আমি বারে বারে আল্লাহ্ পাকের দরবারে দুহাত তুলে কাঁদি;
জড়াব্যাধি যত আছে মোর মাফ করে দাও যদি
চীর কৃতজ্ঞ থাকবো আলহামদুলিল্লাহ্ আলহামদুলিল্লাহ্ প্রভূ।
হীন আমি তোমার কাছে কীটের মতন;
পাপীতাপী বড় আমি বেঈমান আমি ঈমানের করেছি অযতন।
প্রভূ মাফ করে দিবেন কি?
রহমান কি মাফ না করে পারে
পাপীতাপী এই কীট সম বান্দারে।

শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

কবি আমি তো আর আগের মতন নাই:সজল আহমেদ এর কবিতা

কবি আমি তো আর আগের মতন নাই

-সজল আহমেদ


কবিতা লিখতে লিখতে কবে যে বাস্তব থেইকা হারাইছি অলীকে;
কবি আমি তো এখন আমারেই চিনিনা
আমি যে কে বা একজন মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়া ভাবি না।
ঘুঘু পক্ষীর ডাক লাগে কুকিলের মত কুহুকুহু;
ঘুঘুরা কি তবে কুকিল হয়েছে?
নাকি উকিলের মত কুকিলদ্বয় সব ভোল পাল্টাইছে?
নাকি আমার মতন প্রকৃতিবিরুদ্ধ হওনের তালে আছে?
একটি সাদা পক্ষী ছিলো উড়ে গিয়াছিলো শান্তি নিকেতনে,
গিয়া দ্যাখে প্রকৃতিবিরুদ্ধ রবীন্দ্রনাথ ঘুমিয়ে আছেন অবচেতনে।
ঢাকা শিক্ষালয়ে আল্লাহ্'র ঘরের পাশে অবচেতনে
ঘুমায়ে আছেন প্রকৃতিবিরুদ্ধ নজরুল সাব
ঘুমায়ে আছেন শামসুর রহমান ঝিম মেরে আছে আলমাহামুদ, ফরহাদ মজহার;
একটা সাদা পক্ষী ছিলো আমার বার্তা বাহক
ঘুমন্ত সব প্রকৃতিবিরুদ্ধ কবিদের কাছে বার্তা পাঠায়েছি তার কাছে;
ওগো কবিরা,আমি তো আর আগের মতন নাই।

শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

শহীদ সেনা দিবস

শহীদ সেনা দিবস

-সজল আহমেদ


দুই হাজর নয় ভোলবার মত নয়
আমাদের ইতিহাসের কালো একটা অধ্যায় রচিত হয়েছে ফেব্রুয়ারির ২৫ তারিখ
বিডিআর বিদ্রোহ শুরু হইলো
ঝাঁক ঝাঁক পরাণ গেলো
৫৭ অফিসার ১৬ সেনা মোট
৭৩ জনের তাজা রক্তে গোসল করা গেলো
কবি তখনো নিরব;রাগে দুঃখে তার কলম চলতেছিলোনা তখনো তার রক্ত দেখনের খুবই হাউশ হিমোগ্লোবিনের স্বাদ মিডা  মিডা নোনতা।
২রা মার্চ এক নাটকীয় ভঙ্গিতে শত শত বিডিয়ার নওজোয়ান এক বিশাল হেরফেরের মধ্যে পরলো,
উপরে রাজা তার কাম সাড়িলো;
সুশীলগণ তখনো চুপ;রাজার গোয়া চেটে যেহেতু টিইক্কা থাকা;

সেহেতু অরূপরাহী গায়,
রাজায় কইছে চুদির ভাই আনন্দের আর সীমা নাই।
আমরা যেই ইতিহাস দ্যাখিনাই অথচ তার জন্য কত কী কত শত কাম কাজ করি;
মিনারে গিয়া ফুল দিই;
শহীদ মিনারের ৫ টা খুটি বরাবর সেলুট মারি;
৭৩ টা মিনারের খুটিতে সালাম দিবে কি আমার আব্বায়?

বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বিদেশী ভাষা বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে: সজল আহমেদ




বিদেশী ভাষা বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে

সজল আহমেদ



↓প্রবন্ধটি পিডিএফ হিসাবে ডাউনলোড করুন↓
অনেকের প্রশ্ন দেখি,

"বাংলার ভিতরে ইংরেজির সংমিশ্রণ ঘটানোর আমাদের কি দরকার.???"

এইসব প্রশ্ন দেইখা হাসি যে পায় কি কমু!

শ্রদ্ধেও ভাই,আপনাগো প্রশ্নের জবাব দেওয়াটা বাংলাদেশী হিসাবে দায়িত্ব মনে কইরা উত্তর দিতাছি।লেখার বিষয়ের লগে একমত হ

প্রথমত কথা হইলো গিয়া ভাষা কি?

মনের ভাব প্রকাশ করারে কয় ভাষা।তা সেইটা যে রকম হউক সমস্যা কি? আঞ্চলিক হউক ইংরাজী মিশ্রণ হউক আর আরবী উর্দু মিশ্রণ হউক মনের ভাব বুঝাইতে পারার জন্যই একটা ভাষার জন্ম হয়।ভাষা সমৃদ্ধ করার জন্য প্রয়োজন অন্যান্য ভাষার সংমিশ্রণ।এখন আমি একজনের লেখা তুইলা ধরতাছি যিনি বাংলার লগে ইংরাজীর সংমিশ্রণের বিরোধীতা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় উৎপাত করছেনঃ
অ অা ক খ
ভাষার মাস বাংলিশ ভাষা ফেব্রুয়ারি
সেক্ষেত্রে অমর একুশ আমার ভাইয়ে রক্তে রাঙ্গানো ২১ ফেব্রুয়ারি গানটা না গেলে যেন কেমন ইই লাগে আর লাগার আরেকটা বিষয় যেটা না বললেই নয় " গ্রামীনফোন এর এড যেটা পাহারিদের নিয়েঅমর একুশ গানটা গেয়ে এড দেখানো হয় তা নিশ্চই বাংলাভাষাকে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। ভাবতেই অবাক লাগে আমার দেশের মাতৃভাষাকে অন্য জাতীর লোকেরা সেটাকে সম্মান প্রদর্শন করেছে তাদের মাতৃভাষায় না আমাদের বাংলা ভাষায়। আদৌ কি গানটা বাংলা ভাষায় গেয়ে দেখানো হয়েছে ?? সেটার প্রথমে গানে ইংরেজিটাই ব্যবহার করা হয়েছে, এক্ষেত্রে আপনি কি বলবেন. ??? বাংলা ভাষাকে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করা হয়েঠে নাকি অসম্মান করা হয়েছে ???।
বিষয়টাকে পজিটিভলি দেখলে পজিটিভ কারন স্বনামধন্য কোম্পানির বিজ্ঞাপন বলে কথা তারা তো সরকার অনুমোদিত করেই এটাকে পাব্লিসিটি করেছে তো নেগেটিভ নেওয়ার আর কি আছে ??? তবে এটা নেগেটিভ নিলে অনেক কিছু। যে ভাষার জন্য মানুষ এত স্লোগান আর বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে সেই বাংলা ভাষার সাথে আমরা ইংরেজি মিশ্রিত করে বাংলিশ ভাষায় পরিনত করে ফেলছি।।হ্যা ইংরেজি ভাষা যে আমরা অর্জন করবো না তাও কিন্তৃ নয় কারন ইন্টারন্যাশনাল ভাষা যেটা সেটাকে কখনও দূরে ঠেলে দেওয়া সম্ভব নয় কারন জীবনে চলতে হলে ইংরেজি ভাষার চর্চা অত্যাবশ্যকীয় কিন্তু তাই বলে নিজ দেশের ভাষাকে তুচ্ছ হেয় প্রতিপন্ন করে দূরে ঠেলে দিবো তা হতে পারে না।
কয়েক হাজার বাঙ্গালিকে হয়ত শুধ ইংরেজি বলতে সক্ষম করে তোলা যাবে কিন্তু কোটি কোটি বাংগালিকে কখনই কাজ চালানোর মত ইংরেজিতে শিক্ষিত করে তোলা যাবে না"আমার কথা হচ্ছে দেশের সব সব মানুষকে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করা হোক তাতে কোন আপত্তি নেই কিন্তু নিজের মাতৃভাষা বাংলাকে ভুলে থেকে কা বাংলা ভাষাকে বাদ দিয়ে নয় ' এই মাতৃভাষা বাংলাকে সর্বোচ্চ প্রধান্য দিয়ে জাতী শুধু ইংরেজি না ফরাসি জার্মানি পর্তুগাল ভাষায় বই ছাপা হোক কিংব্বা স্তুল কোচিং প্রতিষ্ঠা হোক তা যেন বাংলা ভাষাকে ছাড়িয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে আমাদের।আমরা যতটা বাংলায় কথা বলি তার থেকে ইংরেজি ভাষাটাই প্রয়োগ বেশি করে থাকি এ যেন আমাদের চিরাচরিত বদ অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে।গতকাল এক ভাইকেও দেখলাম এই ইংরেজি চর্চা আর বাংলা ভাষার চর্চা সম্পর্কে অনেক কথা লিখেছেন আর লিখবেই না কেন.?? নিজের ভাষা মাতৃ্ভাষাকে ভালবাসি বলেই। বাংলার ভিতরে ইংরেজির সংমিশ্রণ ঘটানোর আমাদের কি দরকার.???
ক্রমেই আমরা আমাদের বাংলা ভাষাকে হারিয়ে বাংলিশ ভাষাকে প্রধান্য দিয়ে যাচ্ছি।আজ আমরা রফিক সালাম আর বরকতদের রক্ত দেওয়া কথা ভুলে গিয়ে হৃদয়ে খোদাই করে দিয়েছি ইংরেজ শাসনের বানী ' ওই শাসন ভুলে আমাদের উচিৎ প্রত্যেকের যায়গা থেকে বাংলা ভাষার প্রতি সতর্ক হওয়া আর সতর্ক হলেই রফিক সালামের রক্ত বৃথা যাবেনা।ফেব্রুয়ারি মাস এলেই আমরা মাস ব্যাপি বই মেলা দিয়ে দেখিয়ে থাকি আমরা বাংলাকে বড্ড ভালবাসি আর ২৮ ফেব্রুয়ারি চলে গেলেই আমরা আবাং দীর্ঘ ১১ মাসের জন্য ভুলে যাই সেই ভাষার ব্যবহার ' বাংলা ভাষা শুধু ২১ ফেব্রুয়ারি বা একমাস জুড়ে বিচরন না করে হৃদয়ে বাংলাভাষাকে গেথে সমগ্র জীবন জুড়ে পরিচালনা করা উচিৎ যে কখনও এই ভাষা হারিয়ে না যায়।
-আরিফুল ইসলাম





পাঠক তাঁর লেখাখান লক্ষ্য করেন।দেখেন তিনি প্রমিত বাংলা শব্দ গঠনের কথা কইতাছেন কিন্তু তার দ্বারা কি ইংরাজী এড়ানো সম্ভব হইলো?

এই যেমন উনার লেখায় উনি ইউজ করলেন "এড, পজেটিভ,কোচিং " এইগুলা উনি বাংলায় যথাক্রমে "বিজ্ঞাপন,ধনাত্মক, শিক্ষালয়" লিখলে বুঝতে কষ্ট হইতো অনেকেরই।চেয়ার কে কেদারা কইলে কয়জন বুঝবে? ১০০% এ ৭০% বাংলাদেশী জানেনা কেদারা খান কি জিনিস। মনে করেন আমি কেদারা কি জানিনা এখন যদি বলেন, সজল তুমি আরাম কেদারা খান নিয়া আহো আমি শুইয়া বইয়া আরাম ফরমাইবো।এখন আমি তো আরাম কেদারা খান কি সেইটা বুঝমুইনা,সেইক্ষেত্রে আমার লগে এই পুরা বাংলা ভাষা ইউজ করা হবে মনের ভাব প্রকাশের অপব্যয় বা পন্ডিতগিরি দেখাইনা।আর রফিক, শফিক তারা মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিছে,তাগো মাতৃভাষায় যথাক্রমে,আরবী, ফারসি,ইংলিশ ইত্যাদির মিশ্রণ আছিলো।
 বাংলা ভাষায় আদীকাল থেইকাই বিদেশী ভাষার মিশ্রণ চলতেছে।পাঁচ হাজার খ্রিস্টপূর্বে জন্ম নেওয়া ইন্দো ইউরোপীয় ভাষা থেইকা পরিবর্তন হইতে হইতে শতম, আর্য, প্রাচীন প্রাচ্য, গৌড়ী প্রাকৃত/মাগধী, অপভ্রংশ, বঙ্গ কামরূপী থেইকা ৬৫০ খ্রিস্টাব্দে জন্ম নিছে বাংলা ভাষা।তারপর সেইখান থিকা বিবর্তন হইতে হইতে আজকের আমাগো এই চলিত বাংলা।এর লগে মিক্সড আছে প্রচুর বিদাশী শব্দ,এর জন্যই মূলত হইছে এই বিবর্তন।কেউ পারছে ভাষার বিবর্তন ঠেকাইতে?

যদি বাংলা ভাষার মধ্য থেইকা বিদেশী ভাষা তাড়াইতে চান আপনে সে ক্ষেত্রে অযৌক্তিক একটা কাজ হাতে নিতাছেন বা অযৌক্তিক কিছু লিখলেন,এবং এইটা জীবনে সম্ভব না যেহেতু ডাঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ ভাষা বিজ্ঞানী হইয়াও পারেন নাই নিজেরে ফারসি, ইংরাজী শব্দ থেইকা দূরে রাখতে।

আরবী, ফারসি, ইংলিশ,ফ্রান্সিস

,পর্তুগিজ, হিন্দি, উর্দু তথা এইসব বিদেশী শব্দ প্রাচীন থেইকা বাংলা ভাষা সমৃদ্ধ করছে।আমরা যদি ১০০ শব্দের কথা কই তার মধ্যে দশটা /বিশটা কই বিদেশী শব্দ।খালি যে আমরা কই তা কিন্তু না,প্রত্যেকটা ভাষাভাষী তাগো ভাষা সমৃদ্ধ করছে বিদেশী শব্দ দিয়া,এমন কি ইংরেজী ভাষাও।এই নিয়মটা চিরাচারিত,এইটার পিছনে ইতিহাস না কই।এখন ভাই বলেন,

"বাংলার ভিতরে ইংরেজির সংমিশ্রণ ঘটানোর আমাদের কি দরকার?"

এই প্রশ্নটাই বা কতটা যৌক্তিক যেইখানে আপনারা কথায় কথায় নিজেরাই বাংলায় ইংরাজী ইউজ করতেছেন দেধারছে! এমনকি বাংলায় যারা বিন্দুমাত্র ইংরাজীর ছিটেফোঁটা দেখতে চায়না তারাও ইংরাজী স্ট্রাকচার ইউজ করতাছেন।সেইক্ষেত্রে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীরে ধরি।তিনি সারাটা জীবন বাংলায় ইংরাজীর মিশ্রণের বিরোধীতা করছেন কিন্তু নিজে কি ইংরাজী থেইকা নিজেরে মুক্ত করতে পারছে? আসেন ব্রাত্য রাইসুর লেখা থেইকা জানি,


সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর হইলে english নইলে বাংলা! ~
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী নাকি হইলে english আর নইলে বাংলা লেখেন।
খালি লেখা না, বলার সময়ও এই শুদ্ধতা বজায় রাখেন।
উনি banglay ইংরাজির মিশ্রণ ঘটান না। ইংরাজিতে অবশ্য উনি কেন, কেউই বাংলার misron ঘটায় না।
তার ছাত্রছাত্রীদের দেখছি এই বিষয়ে মুগ্ধতা আছে। যেইখানে ভাষা, অন্তত বাংলা ভাষা গইড়াই উঠছে হইল ভাষামিশ্রণ দিয়া, সেইখানে ওনার এই রকম অবিমিশ্রতার তপস্যা কেন?
২.
তা উনি কেমন বাংলা লেখেন দেখা যাউক:
“ইংরেজ যে এসেছিল সে তো কেবল বন্দুক ও আইনকানুন নিয়ে নয়, সঙ্গে পুরো একটা ব্যবস্থাকেও নিয়ে এসেছিল বৈকি। ওই ব্যবস্থাটাকে বলা যায় পুঁজিবাদী। পুঁজিবাদ একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, সেই সঙ্গে সে একটি আদর্শও বটে। এদেশের শিক্ষিত মানুষেরা ওই ব্যবস্থা ও আদর্শের কাছেও বিলক্ষণ নতি স্বীকার করেছে। এই নতি স্বীকারটিই বরঞ্চ স্থায়ী হয়েছে, এবং তা মেরুদণ্ডকে শক্ত হতে দেয়নি। শাসক বদল হয়েছে, কিন্তু ব্যবস্থা ও আদর্শের কোনো হেরফের ঘটেনি। এখন আর বিদেশিরা নেই, এখন আমরা নিজেরাই নিজেদের শাসন করছি।”— (শিরদাঁড়াটা কোথায় থাকে)
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর এই বাংলা শেষ পর্যন্ত ইংরেজি-বাংলা। বাক্য গঠনে ইংরেজি স্ট্রাকচার খলবলাইতেছে। যিনি বাংলায় ইংরেজি ওয়ার্ডের টিকিটিও দেখিতে নাহি চান তার বাংলায় ইংরেজি বাক্যগঠনের এমন নকলদারি কেন?
৩.
বোধহয় উনি ইংরেজের তরেই বাংলাটি লেইখা থাকেন। তা আমাদের সব শুদ্ধ ভাষা অলারাই লেখেন।
ব্রাহ্ম সমাজের নামে খ্রিষ্ট ধর্মের ছুৎমার্গরে জনমণ্ডলীর ভাষায় পরিব্যপ্ত কইরা দিছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তা আমরা এখনো সকল প্রাতিষ্ঠানিকতায়, আনুষ্ঠানিকতায় বহাল রাখতেছি।"
-ব্রাত্য রাইসু
২২/০২/২০১৭
ফেসবুক থেকে নেওয়া।

তবে আপনাগো ফাঁকে আরেকটা কথা জানাইয়া রাখন ভালো,মাতৃভাষা একচেটিয়া ভাবে ব্যবহারের বিপক্ষে ও আমি না,উপরে ভাষার বিবর্তন সম্বন্ধে বলা হইছে,এবং মাতৃভাষা বিষয়ক কিছু কথা আছে।আমি আগেই জানাইয়া রাখি,
 ১.আমি একচেটিয়া মাতৃভাষা ফলানোর বিপক্ষে না বরংচ এইটার প্রশংসা করি। ২.আমি চাইনা মাতৃভাষার জায়গায় অন্য কোন ভাষা অধিপত্য বিস্তার করুক। ৩.এবং ভাষা বিবর্তন এর বিপক্ষেও না। 
আমি মূলত আলোচনা করতে চাইতেছি আপনাগো উত্থাপিত প্রশ্ন,
❝বাংলার ভিতরে ইংরেজির সংমিশ্রণ ঘটানোর আমাদের কি দরকার? ❞ 
এই আলোচনার মধ্যে ইন্দো ইউরোপীয় থেইকা ভাষার বিবর্তন, মাতৃভাষার একচেটিয়া ব্যবহার,বা অপর ভাষার অধিপত্য ইত্যাদি নিয়া আপনাগো সব মতামতের বিপক্ষে আমি না।আমি খালি এইটার বিপক্ষে, ❝বাংলার ভিতরে ইংরেজির সংমিশ্রণ ঘটানোর আমাদের কি দরকার? ❞ আমি আগেই কইছি ভাষা সমৃদ্ধ করছে বিদাশী ভাষা।তবে একচেটিয়া বিদাশী ভাষা ইউজ করার কথা আমি কইনা,ইংরাজী দিয়া যারা অফিস শুরু করে সেইটা তাগো নীতিগত সমস্যা, এইটার বিপক্ষ আমি কেন সব বাংলাদেশীরা করে প্রকাশ্যে বা মনে মনে এইটা আমার ধারণা।তবে আমি এইটার লগে একমত না যে, বাংলায় ইংরাজীর সংমিশ্রণ থাকলে সেইটা হবে অশুদ্ধ।যদি বক্তার কথা বলায় অতিরিক্ত ইংরাজী থাকে আর সেইটা বুঝতে ২য় ব্যক্তির বুঝতে কষ্ট হয় তাইলে সেইটা জ্যাঠামী বা ভাষার অপব্যবহার।আর, চিরাচরিত ভাবে একটা ভাষা অন্য একটা ভাষারে সমৃদ্ধ করছে এইটা দোষের কিছু কি? আর এইগুলা আমাগো ভাষায় এমন ভাবে মিলছে যে দ্রুত সেইগুলা বাদ দেওন হবে একেবারে অসম্ভব!আর আস্তে আস্তে ভাষায় যেইভাবে বিদাশী ভাষার মিশ্রণ হইতাছে তাতে ভবিষ্যতে "আমি" কইলে "চা খামু" কইবে ইংরাজী বা হিন্দি তে।এই ব্যাপারটার বিরোধীতা করণ যায়, কিন্তু এক্কেবারে সব গুলা উপড়ায়া ফেলা অসম্ভব!


সজল আহমেদ
mrsajal2@gmail.com
facebook/sajalahmed2222


আমি এক জ্ঞান তাপসরে খুঁজি:অধ্যাপক আঃ রাজ্জাকের প্রতি

আমি এক জ্ঞান তাপসরে খুঁজি

(অধ্যাপক আঃ রাজ্জাকের প্রতি)

-সজল আহমেদ


স্যার কত শত যে প্রফেসর দেখি মিনিটে মিনিটে জন্ম লয়
দাঁড়াইয়া উচ্চস্থানে জ্ঞানপিপাসুদের ভাবেন চুদির ছেলে;

বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

ভাই আর আল্লাহ্'র নিয়ম:সজল আহমেদ এর কবিতা

ভাই আর আল্লাহ্'র নিয়ম

সজল আহমেদ                                           

আজ আকাশে মেঘের দ্যাশে কত শত ঘুড্ডির প্যাঁচাপ্যাঁচি দেখি অথচ
ভাই কতকাল তোর তৈরী রঙিন ঘুড্ডির প্যাঁচাপ্যাঁচি দেখিনা;
দুই ভাই রঙিন ঘুড্ডিও মেঘ দ্যাশে উড়াই না,
আর কচাত কইররা আমার ঘুড্ডির সুতাও কেউ কাটে না কেন?
আমার লগেই এমন ঘটে কেন?
জগদীশ্বর ;এই তামাম নশ্বর দুনিয়ায় মানুষ এত হতভাগা কেন?
তামাম দুনিয়ায় জোড়া মানিক দিলা;অথচ এক লগে টানা শত বছর থাকনের নিয়ম দিলানা!
দিলা অব্যক্ত কিছু স্মৃতি;যা মনে পরনের লগে লগে কাইন্দা বার বার উঠি।
এক প্লেট তরমুজ আর আগুনে পোড়া তিতইলের বিচি;
আমারে দিলি কম তুই নিলি বেশি।
আমার হাতে যখন খাওনের বাটি,
ভাগেই জান্নাত জাহান্নাম বইলা নিয়া নিলি বেশি,
ঐসব মিস্টি জোচ্চুরি আর ম্যাঘের দ্যাশে ঘুড্ডি উড়ানোর স্মৃতিমালা পুরানা কাসুন্দি ঘাইটা পাইয়া গেলাম রঙিন স্মৃতির কথামালা।
জগদীশ্বর ;এই তামাম নশ্বর দুনিয়ায় মানুষ এত হতভাগা কেন?
মানুষ কেন জীবীকার তাগিদে বাপ মা ভাইরে ফাঁটকি দিয়া দূর দ্যাশে পারি জমায়?
সংসার ঘরে আর নতুন মানুষের লগে ঘর করে।
সংসার ঘর কি খালি তাইলে স্মৃতির জ্বলন্ত মোমবাতি,
যার একদিকে ছায়া দিলে অন্যদিক আলোকিত করে?
জগদীশ্বর ;এই তামাম নশ্বর দুনিয়ায় মানুষ এত হতভাগা কেন?
কেন মোমবাতির লাখান জীবন কাল তার?
একপাশ তার প্রতিষ্ঠিত করে অন্যপাশ হয় স্মৃতি বিজড়িত দুঃখের কষ্টের আর সাগর সম কান্দনের?
জগদীশ্বর এই যদি হয় নিয়ম নীতি তাইলে একটু ঘুরাইয়া ফিরাইয়া দেওনের আর্জি করি।

সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

কবি ইয়া নফসি ইয়া নফসি:সজল আহমেদ এর কবিতা

কবি ইয়া নফসি ইয়া নফসি

-সজল আহমেদ

ঐ বিচ্ছিরি চুলের গন্ধ
একটা সময় আমায় টানতো,
ও কি মদের নেশা,না ভালোবাসা?
অব্যক্ত কথাগুলি,আর ফিরে দেখা কিছু স্মৃতি;
চুলের নেশা আর আমায় টানেনা;
কবি যার যার পথ সে ধরছে-
ইয়া নফসি ইয়া নফসি।
একাই পথ খুঁজি ;কাটা তারের বেড়া ভাঙ্গি
আর জঙ্গলের পানে তাকাইয়া রবী ঠাকুরের গানের করুণ বীণায় তান বাজাই;
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে
তবে একলা চলরে।
জানি এই পথে যতই কাঁটা থাকুক না কেন-
একলাই হৈবে চলতে;
যতই পিছলা হউক একলাই পার হমু কাদা
ধরনি ছাড়া সাকো আর পুল সেরাত-
তোমারে দরকার নাই মুড়ি চাবাও গিয়া।
কবি সাব যার যার পথ সে ধরছে-
ইয়া নফসি ইয়া নফসি।

রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

অন্যপ্রসঙ্গঃসজল আহমেদ

অন্যপ্রসঙ্গঃ

-সজল আহমেদ

কিছু সত্য জিনিস আমার দেখা আমার মতে এবং আমার দীর্ঘ গবেষণার ফলঃ


  • পৃথিবীতে ক্ষণিকের জন্য সুখকর একমাত্র হস্তমৈথুনই পাওয়া যায় যার জন্য গ্যাটের কড়ি খোয়াইতে হয়না।
  • বাংলাদেশে সাহিত্যের মধ্যে পর্ণ ঢুকানোর জন্য কখনো তসলিমা হুমায়ুন আজাদদের সমালোচনা করা হয়না গুণীদের আসরে। কিন্তু,সামান্য চুমুর ইঙ্গিতের জন্য কাশেম মিয়াদের চৌদ্দগোষ্ঠীর সমালোচনা করা হয়।আর সে যদি হয় কবি তাইলে সবাই মিইলা খিস্তি খেউড় তো আছেই!
  • আহমেদ ছফার ভক্তবৃন্দ জোড় কইরা হুমায়ুন আজাদের লগে ছফার সম্পর্ক গভীর করতে চায়,অথচ আজাদ ভক্তরা চায়না।আহমেদ ছফা পরবর্তীকালে সব চাইয়া হুমায়ুন আহমেদ ও আজাদরে চউক্ষের শূল ভাবতো।হুমায়ুন আজাদ বড্ড অহংকারী আর কথাবার্তায় পিছলা পদের আছিলো।পেটে কোন কথা হজম তো হইতোইনা উপরন্তু সবাইরে (বন্ধুধুবান্ধব) অপমান করনে ওস্তাদ আছিলেন।সবার কথা লিকড করনে তার জুড়ি মেলা ভার।
  • আহমেদ ছফার ৫০% পাঠকই হুমায়ুন আহমেদরে তেমন একটা লেখক ভাবেন না।
  • অভিজিৎ মইরা যাওয়ার পর তাকে বিজ্ঞানী প্রচারে তার ভক্তরা প্রকাশ্যে প্রচারণা চালাইছে অথচ তার কোন গবেষণার এখনো কোন খোঁজ পাওন যায়নি।অভিজিৎ মূলত একজন ছ্যাচড়া লেখা চোর আছিলো,ইংরেজী ব্লগ গুলা অনুবাদ করে জোড়াতালি দিয়া নিজের বইলা চালাইছে।
  • পৃথিবীতে খালি আমি না "বিখ্যাত লেখকরাও "অশ্লীল বাক্যর আশ্রয় নিয়েছেন"।আর তারা নিজের নাম জাহিরেই লেখালেখি করছেন।
  • হুমায়ুন আহমেদ এর ইগো প্রবলেম আছিলো সব লেখকগো থিকা বেশি।
  • আজকে বাঙ্গালীর লগে মুসলমানদের ফুটবল খেলা -শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এরপর দেশ ভাগ হইলো,জাতী ভাগ হইলো কিন্তু আমরা কোনদিন লেখিনাই বাংলাদেশী মুসলমানদের লগে হিন্দুগো ক্রিকেট খেলা।আর এই জায়গা থেইকাই আমরা বড় মনের।
  • পাকিস্তানের প্রতি অনলাইনে যারা ছ্যাঃ ছ্যাঃ কইরা মরে আদতে তারা পাকিস্তান বিরোধী না,নেহাৎ সুযোগের লাইগা করে(প্রশ্নঃ শহীদ আফ্রিদির পেজে বাংলাদেশীগো এত লাইক কেন?)।তয় জনসাধারণ যদি ঘৃণা প্রকাশ করে তাইলে ভাবতে হবে এইটা সামান্য সত্য হইতে পারে কারণ এইখানে তার কোন স্বার্থ নাই(যেমন আমি)।তয় সে যদি হিন্দু হয় তাইলে তার ঘৃণা প্রকাশ সহীহ্ হয়। কারণ মূলত ২ টা।১.পাকিস্তান ভারতরে সব সময় দৌড়ানি দেয়। ২.তারা মুসলমান।
  • বাংলাদেশীরা পকিস্তানের থিকা বর্তমানে ভারতরে বেশি অপছন্দ করে।কারণ? (কারণটা আমি ভালো জানিনা,জানলেও কমুনা।আপনি নিজেরে প্রশ্ন করেন)
  • বাঙ্গালী হইলে পাকিস্তানের মানুষ আর মুসলমান হইলে ভারতরে ঘৃণা করতে হইবো এইটা আমি মানিনা।তারেক ফাতাহ একজন পাকিস্তানি এবং ভারত এক সময়কার মুসলমান ঘাটি।
  • সাহিত্যের সমাজে কথা কইতে গেলে রবীন্দ্রনাথ ও শরৎ বাবুরে সেলাম ঠুকতে হইবো এইটা আমি মানিনা।বাংলাদেশীগো শিক্ষাদীক্ষার গোয়া মারার পিছনে রবী ঠাকুরের হাত আছিলো(দ্রষ্টব্য ঃ ইতিহাসের ইতিহাস)।আর শরৎবাবু কখনো মুসলমানগো বাঙ্গালী ভাবেনাই।
  • আমরা মূলত খালি বাঙ্গালী না!আমরা বাংলাদেশী ও।
  • বাংলা ভাষার হকদার মূলত আমরা বাংলাদেশীরা, আমাগো দেশের নাম বাংলাদেশ।বাকি যারা বাংলা কয় তাগো দেশের নামের আগে বাংলা উল্লেখ নাই। তাই বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবিগো সাহিত্য এবং ব্যাকরণ রাইখা বাকি সব বাতিল করা উচিৎ।যেমন রবী ঠাকুরের ভাষা নিয়া পন্ডিতি।
  • রবী ঠাকুরের চেয়ে কাজী নজরুল আমার কাছে হাজারগুণ শ্রদ্ধেও কারণ মরবার আগেই সে বাংলাদেশের নাগরিক হইছে। আর রবী ঠাকুরের চেয়ে একজন পাতি কবিরেও আমি সম্মানের চোখে দেখি।
  • রবী ঠাকুরই একমাত্র লোক যিনি বাঙ্গালী বালকরে ব্রিটিশগো হাঁস চোর বানাইছে।
  • বেশিরভাগ মানুষই তার গার্লফ্রেন্ডের কাছে বন্ধুর স্ট্যাটাস পাংচার করে যাতে করে গার্লফ্রেন্ড ঐ বন্ধুর প্রতি আকৃষ্ট না হয়।
  • সবাই জামাতি বামাতি বইলা চেচাইয়া মরলেও এ যুগে একমাত্রর কবিই হইলো আল-মাহমুদ।

শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বন্ধুর কষ্ট!

 বন্ধুর কষ্ট

~সজল আহমেদ~

নিজ চোখে যখন বন্ধুটাকে সর্বশান্ত হয়ে যেতে দেখি,
চটপটে ওর স্বভাবকে গড়িয়ে যেতে দেখি
দেহ গহ্বর থেকে পতিতা পল্লির কোটড়ে,
ফিরে যাচ্ছে গুহা যুগে-

বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

পরিচয়ে একজন চেতনাবাজ

-সজল আহমেদ

রাস্তায় রাস্তায় আর হাটেঘাটে হ্যান্ডবিল ছাপিয়ে জানিয়ে দাও
সজল নামের একটা পাগল চোদা পোলা আছে
যে আমাদের চৌদ্দগুষ্টির নামে কবিতা লিখে লিখে অভিযোগ আনে
আমরা নাকি ধ্বজভঙ্গ।
সে কোন কবি না,বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর না,
 বুদ্ধিজীবী বা ভাঁড় না-না তার কোন বই বেরিয়েছে;মোদ্দকথা গর্ব করার মত দন্ড ছাড়া তার কিছু নেই।
তবুও তার কবিতার কোপ গায়ে বড্ড তেল তেলে লাগে;
প্রফেসর সম্পাদক, প্রকাশক কবিসহ সহ সাড়ে চৌদ্দ জনের বিপক্ষে তার অভিযোগ,আমরা নাকি ধ্বজভঙ্গ
বীর্যেসৌর্জে নাকি পঁচন ধরেছে আমাদের।
মহিলা কবিদের কবিতা ছেপে ছেপে আমাদের নাকি মৈথুনে সব শেষ হয়ে গেছে।
সে নাকি সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দেবে,কাব্যের মঞ্চে দেখো সুযোগবাদীদের মারামারি
কবিদের মধ্যে দ্যাখো কত ধুরন্ধরি।
ঐ ছেলেটা হাত দিয়ে প্রফেসরকে দেখিয়ে বলে,
 দেখো দেখো ঐ সার একটা ছাগল আছিলো।
পত্রিকার সাংবাদিকদের, সম্পাদকদের চিমটি কেটে বলে,
রংবেরঙয়ের সাংবাদিক আছে আমাদের ঝুলিতে
হলুদ, লাল, বাদামী আরো কত রং জানো কি?
এমন পাঁজি পিচকে হতচ্ছাড়ার বিচার না হয়ে কই যাবে?
১০ কুটি টাকার মানহানি মামলা করে দাও
হ্যান্ডবিলের সাথে রাস্তার মোড়ে চায়ের দোকানে দোকানে পোস্টার মেরে দাও;
শিরোনাম করে দাও লাল কালি দিয়ে
সজল একজন রাজাকারের নাতী
অতএব তাঁর ফাঁসি চাই।

সজল আহমেদ এর ছড়াঃ কলাগাছ

কলাগাছ

-সজল আহমেদ


কলাগাছ ঐ পারে ঠায় দাঁড়িয়ে
কলা কাঁদি কেটে নিয়ে ফেল উপড়ে
বারবার এক গাছ কলা নাহি দেয়
একবার কলা দিয়ে- বুড়িয়ে সে যায়।
এক কাঁদি কলা পেতে কত মেহনত
কলা কাঁদি পেয়ে গেলে ;মনিব যায় নিয়ে স্বহস্তে খড়গ।
কলা পেয়ে গেলে গাছের মূল্য কি?
এই বলে কলাগাছের শিরে মারে ছুড়ি।
স্বহাস্যে কলাগাছ বলে,ও মানুষ্য জাতী
নিজবক্ষের ফল খাইয়ে আজ এই পরিণতি?
শুনে রাখ,শুনে রাখ তুই তবে
যতই কাটিস উপরিভাগ- নিম্নভাগে স্বজাতী জন্মাবে।

সজল আহমেদ এর ছড়াঃ বাটে পরেছেন লস্কর সাহেব

বাটে পরেছেন লস্কর সাহেব

-সজল আহমেদ

লস্কর সাহেব;ছাতি খানা বগলে জোড়া পায়ে হাটে
ভাবখানা এমন;পৃথিবীকে যেতে চান পাশ কাটিয়ে,
পকেটে পানের কৌটা ঘনঘন বার করে
পাতার বিড়ি ধরিয়ে জোড়েসোড়ে টান মারে।

চায়ের দোকানে গিয়ে ওমা সেকি কারবার
এক কাপ চা নিয়ে ফু মারে বারবার!
সব মিলিয়ে ২০ টাকা বিল করে,
নতুন পাঞ্জাবীর পকেটে বারে বারে হাত ভরে।
খাওয়া দাওয়া শেষে বলে ওহে দোকানি বৎস
পকেটে খুচরো নেই আছে বাপু কড়কড়া পাঁচশ।
কাল দিয়ে দেবো ক্ষণ টুকে রাখো না,
এই বলে গেলো চলে আর এলোনা।
একদিন দুই দিন সপ্তাহর পর মাস পেরিয়ে যায়,
কই গেলেন লস্কর সাহেব খুুঁজে কেহ নাহি পায়।
উধাও লস্কর সাহেব মেরে টাকা কুড়ি
দোকানি রেগেছে বেশ, পেলে ফাঁসিয়ে দেবে ভুঁড়ি।
একদিন ভোরবেলা পাওয়া গেলো তাঁকে
বগলে ছাতা নিয়ে মাথা উঁচিয়ে হাটে,
দোকানি বেচারা ছিলো এমনই সুযোগে
সুযোগে সৎ ব্যবহার;লস্কর পরিলেন বাটে।

বগল থেকে ছাতা খান মেরে হ্যাচকা টান
দোকানির সাফ কথা ;ছাতা নিতে হলে বাপু পুরানা পাওনা মিটান।
লস্কর ওঠেন খ্যাকিয়ে,কত টাকা পাও ব্যাটা ওহে কিপ্টে দোকানি?
সামান্য টাকার দায়ে হাতিয়েছ মোর দামী ছাতা খানি।
আজ্ঞে কুড়ি টাকা তাড়াতাড়ি দেন,
কুড়ি টাকা দিয়ে বাপু ছাতা নিয়ে যান;
লস্কর পকেটেতে হাত ঢুকিয়ে
কুড়ি টাকা বের করে দিলো দোকানির মুখে ছুড়ে।
যাবার সময় সিংহ গর্জন,ওহে ব্যাটা দোকানি,
হিম্মত থাকে যদি যাস ও পারায় তোকে দেখে নেবো আমি!

মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

পর শিল্প:সজল আহমেদ এর কবিতা

পর শিল্প

-সজল আহমেদ

মাথায় চেপেছে খুন
দেশের সংস্কৃতি আজ ধুলোয় লুটিয়ে
বাল ছিড়ে হাতে নিলাম ভাষাভাষীর
প্রাধান্য দিয়েছি অপর শিল্পি
দেশী কবিরা আজ ভাত না খেয়ে মরুক তাতে আমার কি অকা?
লজ্জা হয় মা বড় লজ্জা হয় মা,
তোমার সন্তানেরা বাংলায় গান জানেনা।
স্বজাতীর গুলিবিদ্ধ করোটীর দাম দিতে জানেনা;
দাম নেই ভাষার ছিটে ফোঁটা
শাহাবাগ টিএসসিতে চেতনা ফুলিঙ্গ বিক্রিতে উদ্বুদ্ধ মন আর দিন শেষে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে উড়ে যাই জার্মানে। 
মধুসূদন বুঝেছিল সারাকাল কপচিয়ে বিদেশী বুলি কোন লাভ নেই;
কবি লর্ড বায়রন তাকে কিছু দিতে পারেনি
যুগযুগ অপর শিল্পের ভৃত্য খেটে শেষে ফিরে এসেছিলো সেই সাগরদাঁড়িতে
সেই বাংলায়।
ফিরে আসবে জানি সবাই একদিন
মধুসূদনের পথ ধরে;
সেদিনের প্রতিক্ষায় মন বিকুলি, 
আবার ওরা জড়িয়ে ধরবে বুকে বাংলাদেশের পতাকা 
মাঠের পাকা ধান নিয়ে পদ্যে মাতবে
আর গান গাইবে,আমার প্রাণের বাংলা।

ট্রাজিডি অফ বাংলা মুভি:রম্য

ট্রাজিডি অফ বাংলা মুভি

আইডিয়াঃ সজল আহমেদ
(নায়ক বা নায়িকা যখন গরীব)
নায়িকার বেলায়:বেডিরে ডিস্টার্ব বা ধর্ষন(যদিও নায়ক হালার লাইগা নায়িকা ধর্ষনের হাত দিয়া বাঁচে) করার রাইটস পাওন যায়,ধস্তা ধস্তি করন যায়,পুলিশ থানায় নায়িকার বাপের মামলা নেয়না ভিলেনের ডরে।

নায়কের বেলায়:প্রথম প্রথম হালারে ঠিকছে গুতায়(মারন) যে কোন কারণে,হেরপর হালার বাপরে পিডায়া মাইরা ফেলে,যেহেতু ভিলেন বড় লোক হইবো তাই থানায় মামলা হইবোনা পরে সামাজিক নায়ক অসামাজিক হয়া গুন্ডা হয়া যাইবে!
আর ভিলেনের যদি বোন থাকে তাইলে এইটা কওন যাইবে,চুদুরী সাহেপ আমরা গরীব কিন্তু ছুড লোক না!

(ট্রাজেডি)
আর নায়ক যখন চুদুরী সাহেপকে নায়িকার লগে প্রেমের কথা কইলো তখন হইতে চুদুরী সাহেপের রাগ,শেষ দৃশ্যে চুদুরী সাহেপ ঠাস কইরা বন্দুক বাইর কইরা পুটুস কইরা নায়কের বুকে মারলো, কিন্তু কোন জায়গা দিয়া যে আইসা নায়ক কাকার সামনে নায়িকা আপায় খাড়ায় কেউ তা দেখেনা!নায়িকা গুলি খায়া পইরা কাতরাইতে থাকে নায়ক পাশে পইরা থাকা পিস্তল নিয়া চুদুরী সাহেপকে ঠাস ঠাস কইরা দিলো,চুদুরী সাহেপ মাটিতে পইরা মইরা গেলো!নায়ক, নায়িকার পাশে বইসা সকিনা সকিনা করতে থাকবো,খোদার কসম আমি কেমনে যে ঠাস কইরা শেষ সময় নায়িকা বুৃঝিনা চোখ মেইলা তাকায়!
দুঃখিত এর জন্য ট্রাজেডি আর রচনা হইলো না,নায়ক তো জীবনেও মরার জিনিস না!

(বিঃদ্রঃবাংলায় ট্রাজেডি যদি দেখতে চান কিংবা মুভ্যি দেইখা যদি কাঁদতে চান তাইলে "ভাত দে" মুভিটা দেখবেন রিকুয়েস্ট!)

কাবিল সাহেবের ভয়:রম্য

আইডিয়াঃ সজল আহমেদ

রাত গভীর, রাস্তায় কেউ নেই!চারদিকে ঝিঁঝিঁ পোকা ডাকছে!হঠাৎ করে শো শো বাতাসে কাবিলা সাহেবের হাত হতে ব্যাগ উড়ে গেলো!ঘোত করে একটা শব্দ হলো!কাবিলা সাহেব পেছনে ফিরলেন ;না কেউ না তো!আবার শব্দ!এবার ভয় পেলেন তিনি!
কি হতে যাচ্ছে?
কে তার পেছনে?
তাহলে কি!!!!!!!!!!!!!!
সামনে তাকিয়ে কাবিলা সাহেব যা দেখলেন তাতে তার পেছনের দরজা দিয়ে সব বের হওয়ার পালা! এইবার বুঝিতার সব শেষ!জীবন,যৌবন,সম্পদ প্রতিপত্তি সব!কাবিলা সাহেব আলতো করে হাতের টর্চটা মারলেন।

লাইট মেরেই তো হকচকিত!ওমা! এইটা কী?দাঁত খিঁচায়া তার দিকে চাইয়া রইছে!
ভালো কইরা লাইট মারলো তিনি!লাইট মাইরাই মাথায় প্যারা!ক্ষাণ.....(ইত্যাদি)
পারার কালা নেড়ি কুত্তাটা ঠ্যাঙ চ্যাগায়া ক্যা ক্যা করতেছে!কাবিলা সাহেব পাছায় একটা লাথি দিয়া কুত্তাটারে (মাদ...টুট) বলে ঘরে আইলো।

সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

কোরাণিক বাক্যের লীলাখেলাঃবাণী চিরন্তন

আমরা নাস্তিকরা যখন সাহিত্যের পদ্যের শব্দের অলঙ্কার শব্দের লীলা খেলায় মত্ত হই তখন পদ্য বার বার পড়ি এত যে ভালো লাগে যে

রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

ফেসবুক এবং বাস্তবতা:রম্য

আইডিয়াঃ সজল আহমেদ

(ফেইসবুক)
রাকিব ভাইঃঐ তুই আমারে নিয়া স্ট্যাটাস দিয়েছিস কেন?
সজলঃবাক স্বাধীনতা তাই।
রাকিব ভাই নির্বাক।

যাবা আমার সাথে?

যাবা আমার সাথে?

~সজল আহমেদ~

তোমাকে নিয়ে উড়ে যাব আজব এক দেশে
লাল পরী নীল পরী তোমার পা টিপে দিবে
বুলবুলি হিরামন ময়নারা গান শুনাবে
জ্বীনের বাদশাহর বউ বেনী বুনে দেবে
ডালা সাজিয়ে থুড়থুড়ে বুড়ি পান খাওয়াবে।
পান খেয়ে গোলাপী অধর যখন লাল হয়ে যাবে
আমি প্রেমিক পুরুষ হয়ে তখন চুমু এঁকে দেবো।
এক ফাঁকে সকলের দিয়ে দেবো ছুটি
তোমার জমিনে রব ফুল হয়ে ফুটি।

শিরোনাম নির্বাচনঃসাইফুল ইসলাম স্বপন

শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বই মেলায় যাবানা প্রিয় বই মেলায় হুজুর:সজল আহমেদ এর কবিতা

বই মেলায় যাবানা প্রিয় বই মেলায় হুজুর

~সজল আহমেদ~

মাদ্রাসা ছাত্ররা কেন প্রগতিশীল নয়
প্রতিটা দিক থেকে পিছে পরে রয়
সেলিনা অজয়দের মুখরোচক বিবৃতি
জঙ্গী প্রহসনে প্রিয় প্রথম আলোর তুবড়ি
অকবি কবিতা লিখে প্রতিবাদ করে
জঙ্গী জন্ম হয় শফী হুজুরের ঘরে।
 মাদ্রাসায় বিজ্ঞান নেই;বাংলা সাহিত্যে রবী ঠাকুর নেই
সুকুমার নেই, আজাদ তসলিমা নেই
তাহলে পড়ছেটা কি?
দুখান আরবী কেতাব, ৩খান ফার্সী কেতাব যত জেহাদী বই আর লাগে কি?
ওরা আকাশের ফাঁদে ফাঁদেও যৌনতা ছড়াতে পারেনা
ওদের সীমিত জ্ঞানে
নতুন গজানো ভাঁড়দের মত অসৎ বুদ্ধিও
পারেনা রচনা করতে মিথ্যে যত অতীত বৃত্তান্ত
নেই নেই ওরকম কুফা এলেম ওদের নেই।
স্বাধীন এদেশে নানাবিধ সংবিধান রচনা করা যায় বটে
৩৬, ৩৭ এবং ৩৯ নং সংবিধান প্রয়োগ তো চুলোয় যাবে -
বই মেলায় যাবানা প্রিয় বই মেলায় হুজুর
দাঁড়ি আর পাঞ্জাবী তে যাবানা প্রিয় বইমেলায়;
কাউন্টার টেররিজমের বাবাদের কাছে বলে;৪৮ ঘন্টা খাইয়ে দেবো লাল দালানের ভাত
বাংলাদেশ পুলিশ রেস'ইজম দোচেনা।
১২-০২-২০১৭

ভিক্কি ও তার বাবা -আইডিয়া সজল আহমেদ:রম্যরচনা

ভিক্কি ও তার  বাবা

 আইডিয়াঃ সজল আহমেদ


গলাতক মদ খেয়ে ভিক্কি দরজা বন্ধ করে বাসার ছাদে গিয়ে বসে আছে।বাসার কাজের লোক গিয়ে এত ডাকাডাকি করছে সে-কি গালাগাল!তারপর আর সাড়া নেই।কাজের লোক বল্লেন দারোয়ানকে, দারোয়ান বল্লেন বল্লেন কাজের মেয়েকে,কাজের মেয়ে বল্ল বাড়ির বাড়ির বড় ছেলের বউকে,বড় ছেলের বউ বল্ল বড় ছেলেকে,বড় ছেলে বল্ল মাকে,মা বল্লো ছোট মেয়েকে,ছোট মেয়ে বল্ল বাবাকে। বাবা হাতে বড় একটা ঝাড়ু নিয়ে ছুটলেন ছোট ছেলেকে ছাদ থেকে নামাতে সোজা তিনতলায়,
"টুংটং"(কলিংবেল)
"কেরে?"
"আমি। দরজা খোল"
"আমি কেডা?"
"আমিরে আমি"
"আমিডা কেডা?"
"আরে আমি" দাঁতে দাঁত চেপে।
"আমি কোন হালায়? হালা নাম ক মাইন্দার"
"ফুডার পো আগে দরজা খুইল্লা দেখ আমি কেডা" দাঁতের কড়কড় শব্দ।
"তুমি কি জর্জ না ব্যারিস্টার না মাইন্দার? আগে ক তুই কেডা নইস্যা?"
"তুই দর্জা খুলবি কি-না?"
"খুলমুনা পারলে হালাইস হালা মোকসেদ!"
"আরে মাইন্দারের ফো আমি মোকসেদ না আবুল হোসেন তোর বাপ!" 
"কেডা? আবার কনদিহি!"
"তোর বাপ!"
"গড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়" দরজা খুলে দিলো!পরক্ষণে,
শপাং শপাং শপাং(ঝাড়ুর বারি) "আর মাল খাবি? শপাং!শপাং! আর বাপরে গালাগাল দিবি?শপাং!শপাং!শপাং!শপাং
(মুড়া পিছার বারি খেয়ে বিক্কি বেহুশ!)

শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

সজল আহমেদ এর ছড়া :কলাগাছ

কলাগাছ

-সজল আহমেদ

কলাগাছ ঐ পারে ঠায় দাঁড়িয়ে
কলা কাঁদি কেটে নিয়ে ফেল উপড়ে
বারবার এক গাছ কলা নাহি দেয়
একবার কলা দিয়ে- বুড়িয়ে সে যায়।
এক কাঁদি কলা পেতে কত মেহনত
কলা কাঁদি পেয়ে গেলে ;মনিব যায় নিয়ে স্বহস্তে খড়গ।
কলা পেয়ে গেলে গাছের মূল্য কি?
এই বলে কলাগাছের শিরে মারে ছুড়ি।
স্বহাস্যে কলাগাছ বলে,ও মানুষ্য জাতী
নিজবক্ষের ফল খাইয়ে আজ এই পরিণতি?
শুনে রাখ,শুনে রাখ তুই তবে
যতই কাটিস উপরিভাগ- নিম্নভাগে স্বজাতী জন্মাবে।

সজল আহমেদ এর কবিতাঃপরিকল্পনা

পরিকল্পনা

-সজল আহমেদ

বুদ হয়ে আছো কোন নেশার ঝলকে
আমি জানি না।
এই দুনিয়া আজ ভাগ করে নেবো দুজনায়
এক প্রান্তে নিহারিকাদের সাজাবে তুমি
অন্য প্রান্তে তারাদের চাষ করবো আমি
চাঁদের মাটিতে করব হলুদ সরষে ফুলের চাষ
সূর্যের বুকে ফোটাব শিউলি,সেফালি,বকুল আর তাজা লাল গোলাপ।
বুদ হয়ে আছো কোন নেশার জগতে
আমি বুঝিনা
শনি-রবি দুটো গ্রহে যুদ্ধ লাগিয়ে দেবো
শনির বলয় হবে ছেদিত
পরমাণু মেরে উড়িয়ে দেবো নেপচুন প্লুটো
বুধে চড়াব গরু গাধা ইউরেনাসে হাতিশালা
মঙ্গলের মাটিতে করব তামাকের চাষ
বাকি যদি থাকে কোন গ্রহ
তাতে সাদা প্যালেস গড়ে হবে দুজনার সুখ বাস।
১০/০২/২০১৭

বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

কবিতা: বন্ধু প্রয়াত রায়হান

প্রিয় রায়হান,
আকাশের ঠিকানায় আজ
চিঠি লিখে দিলাম;কান্নাগুলো মেঘে ভাসিয়ে আমাদের কথোপকথনের মেইল পাঠালাম বজ্রধ্বনীতে
বন্ধু রিপ্লাই দিবি কিন্তু!
একদিন বলেছিলি;বন্ধু চলে আসিস আমার বাড়ি আড্ডা হবে চায়ের কাপে;
তোর বাড়ি তো মেঘের ওপারে যাবো কি করে?
ইনিয়ে বিনিয়ে পাশের গায়ের অমুক মেয়েকে টেনে আনা আর সুরুৎ করে শিউলি ফুফুর এক কাপ আদা চা সাবাড় করে দেয়াকে মনে করে;
তোর ঠিকানায় এক কাপ চা পার্সেল করে দিতে চাই বল খুশি মনে গল্পটা জমবে কি?
চায়ের দাম আমিই দেবো সিগারেট তোর টাকার,তবুও গল্পটা আজ জমাতে চাই;
জানি গল্প শেষে মুভি চাইবি তাই নতুন কালেকশন নিয়ে এসেছি।
কাকিমার পা ছুুঁয়ে সালাম করে সেই যে একবেলার চাকুরী করে এলি আর গেলিনা
মা পরের চাকুরী করা মোর সহ্য হয়না বলে গেলি পাশ কাটিয়ে;
চায়ের কাপ হাতে বল্লি এসব কথা সহাস্যে
তোর সেই পুরোনো হাসি;ওসব ভুলে যাবে কার সাধ্যি?
আবার ফোন করে মুভি আছে কিনা জিজ্ঞেস কর,
চা খাওয়াবো কিনা জানতে ফোনেই বাতচিত কর
আমি খুশি হব,তোকে মনে করে।
তোর গোশত গুলো হাড়গোড় গুলো ব্যাকটেরিয়া গায়েব করেছে জানি
স্মৃতি কেটে ফেলার কে আছে?
স্মৃতি তো পারবেনা কেউ কাটতে এটুকুই মনের বল।
তোর কথা আর মনে করতে চাইনা।
ওগুলো এখন পুরোনো স্মৃতি
ওতে শান দেই আর ভাবি -
বন্ধু তুই কবে ফিরবি?
কবে তোর ছুটি?
০৬/০২/২০১৭ (সজল আহমেদ)

বাণী চিরন্তন ২ :কবিরা মিথ্যুক

কবিরা সব মিথ্যুক হয়
কারণ তাগো সব কবিতা মিথ্যা আশা ভরসা আর কাহিনী দিয়া পরিপূর্ণ 
-সজল আহমেদ

বাণী চিরন্তন ১

যে তোমাকে অবজ্ঞা করেনা সে তোমার বন্ধু না
সে নেহাৎই সুযোগবাদী
-সজল আহমেদ

সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বই:কবিতার এক প্রহর ফ্রি ডাউনলোড PDF

কবিতার এক প্রহর
নামঃকবিতার এক প্রহর
লেখকঃসজল আহমেদ
ধরনঃপদ্য
ফরম্যাটঃপিডিএফ
সাইজঃ২.৫৮মেগাবাইট





আত্মকথা

আমি সজল আহমেদ।আমি কোন কবি না,তবে কবিতা লিখতে ভালোবাসি।কবিতা লেখা আমার বিশাল একটা শখ যার মধ্যে আমি নিজেরে নায়ক হিসাবে উপস্থাপন করতে পারি।আমি সর্বসাকুল্যে কোন কথা প্রকাশ করতে পারিনা,পারিনা কোন লম্বা বিবৃতি দিতে বা অহংকার করতে তবে কবিতা লিখতে পারি।সে যদি অন্যকারো কাছে অর্থবোধক না ও হয় তাহলেও ওগুলো আমার মনের লুকানো সব কথামালা যা আমি সবার সাথে সামনা সামনি প্রকাশ করতে পারিনা।কবিতাই আমার মনের কথা-বুঝতে হবে আমি যা কবিতায় লিখছি সেগুলাই আমার মনে আছে তবে প্রেমের কবিতাগুচ্ছ ছাড়া।কারণ প্রেম আমার জীবনে এখনো আসেনাই তাই প্রেমিক পুরুষের অনুভূতি আমি জানিনা।আমার কাছে যা অনুচিত বা গ্রহণযোগ্য না কবিতায় সেইগুলা খারাপ ভাবে উপস্থাপন করি।অশ্লীলতা আছে আমার কবিতায় তয় সেগুলাও মনের ভিতর জইমা থাকা।আমি ওগুলাও কবিতায় সরাসরি প্রকাশ করছি,ধইরা বাঁইধা রাখার জিনিস মনে হয়নাই কখোনো।কবিতা লিখা শুরু করছিলাম সেই ক্লাশ থ্রী-তে বইসা আব্বার অফিস থিক্কা পাওয়া একটা ডায়েরীতে।আমি তখন মির্জাগঞ্জ থাকি আব্বার অফিসের কাছে একটা ভাড়া বাসায়।বাসার পাশে থাকা সম্পর্কে আমাগো আত্মীয় এক সিনিয়র আপুর ছড়া লেখা দেইখা।ওনার ছড়াটা বেশ মজার আছিলো। ছড়াখান ছিলো এই রকম,
সুবিদখালীতে এত মশা
মশার জ্বালায় যায়না বসা
ও মশা তোর পায়ে পরি
আর করিসনা বাড়াবাড়ি।

আমি কি করলাম,এই ছড়াটা সব কপি কইরা আরেকটু যা-তা বাড়াইয়া সবাইরে কইলাম এইটা আমার ছড়া।তারপর আব্বার কাছ থিকা ডায়েরীটা নিলাম।আব্বার পাওয়া ডায়েরীটা বেশ মোটা আছিলো ঐটায় মোট কত পৃষ্ঠা আছিলো জানিনা তয় সেইটার প্রায় সবই ভর্তি আছিলো কবিতায়।যদিও ওইগুলা কোন কবিতা আছিলোনা তয় আমার কাছে রত্নসম।এখনও আছে, খুব যত্ন কইরা রাখছিলাম যদিও ডায়েরীটা উইপোকায় খাইছে কিছু পৃষ্ঠা। যাইহোক সেই থিকা কবিতা চর্চা করি কিন্তু ভালো কিছু পয়দা করতে পারিনাই আমি জানি!আমার কবিতা নিয়া পাছে অনেকে ঠাট্টা করে তাও আমি জানি,তারা মনে মনে আমারে নইশ্শা মনে করে তাও জানি। অবজ্ঞা করে আমার পরিচিতও অনেকেই। তাতে আমি মাইন্ড করিনা কারণ আমার মতে,
যে তোমাকে অবজ্ঞা করেনা সে তোমার বন্ধু না
সে নেহাৎই সুযোগবাদী
তবে কেউ আমারে যখন একেবারে কিছু মনে না করে তখন খারাপ লাগে।যখন আমারে কেউ অবজ্ঞা করার চেয়ে কম যোগ্যতম মনে করে তখন আমি নিজেরে বেশ বড় ভাবি কারণ,

আমি আমিই আমার মতন আমি
আমি বিশ্বাস করি আমার মতন
আমি কইরা; অন্য কাউরে বানান নাই উনি।
আমি নিজের মতন নিজেরে ফেরী করি,
আমি-তে আমি আমিময়
কবিতা -প্রবন্ধ আমিময়
আমি শ্রেষ্ঠ আমি-তে আমিময়।

জানি আমি আলমাহমুদের মত চোখের সামনে প্রেম ফুটাইয়া তুলতে পারিনা,পারিনা নজরুলের মত বিদ্রোহী মনোভাব দেখাইতে, পারিনা তাগো সমকক্ষ কিছু লিখতে তয় আমি কিছু যেন হয় চেষ্টা করি।আমার ভাষা শৈলী গ্রাম্য কারণ আমি গ্রাম থিকাই কাবিতা রচনা করি।আর গ্রাম্য বইলা সেই ভাষা যে ব্যবহার করণ যাবে না এই কথার ঘোর বিরোধীতা করি।একটা কথা জাইনা রাখা ভালো যে আমি অর্থের জন্য কবিতা লিখিনা লিখি নিজের মন থিকা মানুষের যেন ভালো/মন্দ লাগে।অার অর্থের জন্য যদি লিখতাম তাইলে একটা বই প্রকাশ করে তা বিক্রি করার মত টাকা বা পদ্ধতি আমার জানা আছে।আমি কবিতা লিখি মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য তাই বিনামূল্যে পিডিএফ প্রকাশ করি।যাইহোক আমি আমার ভবিষ্যত ফকফকা হওয়ার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।সবাইর প্রতি ভালোবাসা।ভালো থাকবেন।
আল্লাহ্ হাফিজ।

শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

ঘুম:সজল আহমেদ এর কবিতা

ঘুম

-সজল আহমেদ

কত ঘুম যে জীবনে হারাম করেছি তার হিসেব দেবো কাকে?
ঘুমগুলো মোর হাওয়া হয়ে সব উড়ে গেছে দূর আকাশে,
ঘুম রাজ্যে লাগছে তালা,
আমার ঘুম সব হারাম করে ঘুমিয়ে আছেন
ঘুমরাজা। 
ঘুম গুলো সব চোখে জড় হোক
চোখের পাতা ঘুমে ভারি হোক
জনমের ঘুম ঘুমাইতে চাই
একটু ঘুমাইতে চাই।
শীতের রাইত আইলে পরে হুক্কা হুয়া শিয়ালের ডাক শুনছি তবুও ঘুমাইনি
রাতের শিকারী বাদুর পেঁচা-পেঁচী ঘুমায়ে গিয়েছে তবু আমার চোখে ঘুম আসেনি।

গরমের রাইত আইলে পরে গরমে এপাশ ওপাশ করেছি,
গা-গতর ঘামে ভিজছে ঘুম চোখে আসেনি
ঝিঁঝি করে ঝিঁঝিঁ পোকাদ্বয় একসময় ক্লান্ত হয়ে ঘুমায়ে নিয়াছে আমি কিন্তু ঘুমাইনি।
বর্ষা আমার প্রিয় ঋতু;ভাবতাম একদা তুমুল বর্ষনে ঘুমায়ে যামু
ঘুমায়ে ঘুমায়ে রূপকথার সপ্ন দেখমু
যখন রিমঝিম বৃষ্টির শব্দ চোখে এনেছে ঘুম
হঠাৎ আকাশে ঠাটার আওয়াজ ঘুমাইতে দেয়নি!

তাই,শ্রান্ত আমি ক্লান্ত দেহে একটু ঘুমাইতে চাই,
সারাটা রাইত বিছানার পর, অবিবাহিত রমনী দিগদের ন্যায় এপাশ ওপাশ করে
একটু ঘুমাইতে চাই।
-সজল আহমেদ
কত ঘুম যে জীবনে হারাম করেছি তার হিসেব দেবো কাকে?
ঘুমগুলো মোর হাওয়া হয়ে সব উড়ে গেছে দূর আকাশে,
ঘুম রাজ্যে লাগছে তালা,
আমার ঘুম সব হারাম করে ঘুমিয়ে আছেন
ঘুমরাজা। 
ঘুম গুলো সব চোখে জড় হোক
চোখের পাতা ঘুমে ভারি হোক
জনমের ঘুম ঘুমাইতে চাই
একটু ঘুমাইতে চাই।
শীতের রাইত আইলে পরে হুক্কা হুয়া শিয়ালের ডাক শুনছি তবুও ঘুমাইনি
রাতের শিকারী বাদুর পেঁচা-পেঁচী ঘুমায়ে গিয়েছে তবু আমার চোখে ঘুম আসেনি।

গরমের রাইত আইলে পরে গরমে এপাশ ওপাশ করেছি,
গা-গতর ঘামে ভিজছে ঘুম চোখে আসেনি
ঝিঁঝি করে ঝিঁঝিঁ পোকাদ্বয় একসময় ক্লান্ত হয়ে ঘুমায়ে নিয়াছে আমি কিন্তু ঘুমাইনি।
বর্ষা আমার প্রিয় ঋতু;ভাবতাম একদা তুমুল বর্ষনে ঘুমায়ে যামু
ঘুমায়ে ঘুমায়ে রূপকথার সপ্ন দেখমু
যখন রিমঝিম বৃষ্টির শব্দ চোখে এনেছে ঘুম
হঠাৎ আকাশে ঠাটার আওয়াজ ঘুমাইতে দেয়নি!

তাই,শ্রান্ত আমি ক্লান্ত দেহে একটু ঘুমাইতে চাই,
সারাটা রাইত বিছানার পর, অবিবাহিত রমনী দিগদের ন্যায় এপাশ ওপাশ করে
একটু ঘুমাইতে চাই।

শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বাংলাদেশ কারো বাপের নিলাম না:সজল আহমেদ এর কবিতা

বাংলাদেশ কারো বাপের নিলাম না

-সজল আহমেদ

যদি ভেবে থাক এইটা তোমার বাপের নিলাম;
তবে এইটা বাংলাদেশ না
বাংলাদেশ কারো বাপের নিলাম না।
ক্ষমতার লড়াইয়ে আমরা কুপোকাত হয়ে
ক্ষণিকের জন্য তোমাদের হাতে দিয়েছি;
তোমরা ভেবেছো আমরা হেরে গিয়ে হাল ছেড়েছি
অথচ মনে রাখনি; একাত্তরে একদল তাড়িয়েছি
এবার তোমাদের পালা
বাংলাদেশ কারো বাপের নিলাম না।
হরতাল চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি ভোগদখল দুর্নীতি 
যদি ভাব করে তুমি পার পেয়ে যাবে
মনে রেখো একদিন ফল পেয়ে যাবে
যদি ভাবো করেছি এসব এদেশ বাপের নিলাম,
আসলে আত্মা তোমার পেয়ারী পাকিস্তান
বাংলাদেশ কারো বাপের নিলাম না।
যদি ভেবে থাক মন্ত্রী তুমি;নুন চুরি জায়েয তোমার বাংলাদেশ তোমার বাপের নিলাম
তাহলে বেশ ভুলে ডুবে আছো,
নুন চোর-চাউল চোর কম্বল চোররা পেয়ারে পাকিস্তান
বাংলাদেশ কারো বাপের নিলাম না।
কালচারে কালিলেপন করে ভাবো যদি পার পেয়ে যাবে
ভুল করেছ তবে ধরা একদিন খাবে
ইতিহাসের কালোপাতা ধরবে কষে
চপেটাঘাত করবে প্রজন্ম তোমাদের মুখে
ইতিহাস কাউকে ক্ষমা তো করেনা
বাংলাদেশ কারো বাপের নিলাম না।

একটি স্ক্যান্ডালের কান্না:সজল আহমেদ এর কবিতা


একটি স্ক্যান্ডালের কান্না

-সজল আহমেদ

সেক্স তোমাকে বিশ্বাস করে
বন্ধুর বিছানায় নিজেকে এলিয়ে দিয়ে
 তার ত্যাজ্য কে দেহে গ্রহণ করলাম
টেবিলের ফাঁকে পাতা ছিলো প্রতিবিম্বধারক
আমি লক্ষ্য করিনি ঐ বেঈমানকে
একটি রাতের পত্নি হয়ে
যাবতীয় সুখ দেহের কারিডোরে ঢেলে দিয়েছিলাম।
শিহরিত তুমি বলেছিলে এসব গোপনীয়
সব গোপন থাকবে; কাকপক্ষীও জানবেনা
আমি বিশ্বাস করে নিজেকে সপেছি
ডুবেছি তোমার চাহিদায় ;হেতু আমি শিহরিত
তুমি ডেস্কের পাশে লুকিয়ে রেখেছো বাক্স ভরা বেঈমান
আমি দেখিনি বা ভাবিনি ওটা কি।
তোমাকে তৃপ্ত করে যখন আমি ক্লান্ত
তখন নীতিকথা গুলা বেশ মনে পরে;
মামা কোন একদিন কথার ফাঁকে বলেছিলে;ভাদ্দরমাসে কুত্তা দেইখা শিক্ষা নিয়োনা
ভাদ্দর মাসে কুত্তাগুলা কি করে?
যৌনসংগম করে;যা একটা মানুষের দৈনন্দিন রুটিরুজির লাহান।
তবে কুত্তা করে ব্রাত্যদের মত আর আমরা ঘরে বসে।
আমার এখন নিজেকে ব্রাত্যদের মতন মনে হয়,
যখন নিজের স্ক্যান্ডাল প্রতিবিম্বে দেখি,
ভাঙ্গাভাঙ্গা স্বরে,অামার অর্গাজম দর্শকদের শিশ্নে জল আনে।

বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

পীরপতন:কিশোরদের মজার ছোট গল্প


পীরপতন

-সজল আহমেদ
ছবিঃবিগস্টোক


এক গ্রামে এক ভন্ড লোক আখড়া বানালো।আখড়া বানিয়ে ওনার নাম দিলেন ত্যানাপীর।আখড়া বানিয়ে উনি বেশ ভক্ত ও জুটিয়ে ফেল্লেন।দিনকে দিন ওনার বেশ ভক্ত গজিয়ে উঠতে লাগলো, সপ্তাহ পপর পর আসর ও বসে আর হাদিয়াও পেতে থাকলো।উনি আবার ল্যাংটা থাকতেন।তো এ নিয়ে ঐ গ্রামের ধর্মীয় পন্ডিতগণ ওনার বিরোধিতা করতে লাগলো।তারা সবাইকে সচেতন করলো এই বলে যে,ধর্মে ল্যাংটা থাকার কোন আইন নেই।তারা একসময় প্রমাণ করে ফেল্ল যে ঐ পীর সাহেব একটা বিশাল ভন্ড এবং কুৎসিত মনের লোক,ল্যাংটা থাকা ধর্মে নিষিদ্ধ। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হলোনা ঐ ভন্ড ল্যাংটা বাবা তার ভন্ডামি চালিয়েই যেতে থাকলো।উপায় আপায় না পেয়ে ঐ আলেমগণ সবাই ভন্ড পীর কে শায়েস্তা করতে গেলো।এই কথা আবার ভন্ডপীর কেমন করে যেন শুনে ফেল্ল।ঐ ব্যাটা আবার ছিলো খুব ধূর্ত।উনি ওনার কিছু চ্যালাকে ডেকে বুদ্ধি করলো।
ওলামারা অাখড়ার বাইরে দাঁড়িয়ে ডাকলো,ঐ ভন্ডপীর আগে ভাগে চ্যালা পাঠিয়ে দিয়ে তার শিখানো কথা বলতে বল্ল।ওনার চ্যালারা এসে জোরসে ডাক দিয়ে বল্ল,বাবা আসছেন।আপনাদের মাঝে যারা অসৎ,কাফের,ফাসেক,মিথ্যাবাদী, শয়তান,ছিনতাইকারী,নেশাখোর,সুদখোর,ঘুষখোর,জেনাকারি একমাত্র তারাই বাবার পরনে কোন কাপড় দেখতে পাবেন না।আর যারা সৎ তারা সবাই বাবার পরনে কাপড় দেখতে পাবেন।ঘোষনা দেয়া মাত্রই ল্যাংটাপীর নামলো পরনে কোন কাপড় ছাড়াই।এবার চ্যালারা জিজ্ঞেস করলো,আপনারা কে কে কাপড় দেখতে পাচ্ছেন তারা হাত তুলুন।দেখা গেলো সেই আলেমরা সহ সবাই হাত তুল্ল।চ্যালারা আবার বল্ল,কাপড় ছাড়া কারা দেখছেন?
কেউই হাত তুল্লোনা।এবার ভন্ডপীর অপরিষ্কার দাঁতগুলো বের করে বল্ল,তাহলে তো প্রমাণই হলো আমি ভন্ড না!
সেদিনকার মত ব্যর্থ হয়ে আলেমরা সবাই চলে আসলো,কাজে সফল না হয়ে তারা যারপরনাই লজ্জিত এবং পীরের ওপর ক্ষিপ্ত হলো।তারা সবাই প্রতিজ্ঞা করলো এইবার এই ভন্ডকে তাড়াবেই!তারা এর পরের দিন ঐ তারা ঐ পীর সাহেবের আখড়ায় গেলো,তাদের সাঞে নিয়ে গেলো একটা ৪ বছরের শিশুকে।পীরের আখড়ায় গিয়ে তারা আবার ত্যানাপীরকে ডাকলো।ত্যানাপীর পূণরায় তার চ্যালাদের পাঠিয়ে আগের মত বক্তব্য দেওয়ালো।এরপর ত্যানাপীর নামলো।ত্যানাপীর বুঝতে পারেনি আসলে তার সাথে কি ঘটতে যাচ্ছে,উনি এসে বেশ ভাব নিয়ে দাঁড়ালো।ওনার ভক্তরা এবার আগের মত বল্ল,আপনারা কে কে কাপড় দেখতে পাচ্ছেন তারা হাত তুলুন।দেখা গেলো সেই আলেমরা সহ সবাই হাত তুল্ল।চ্যালারা আবার বল্ল,কাপড় ছাড়া কারা দেখছেন?
কেউই হাত তুল্লোনা।এবার ওলামারা সুযোগ বুঝেই ৪ বছরের শিশুটাকে আড়াল থেকে বের করলেন এবং সবার উদ্দেশ্যে বল্লেন,
"আপনারা শুনুন!" উপস্থিত সবাই চুপ মেরে গেলো।
"আজই প্রমাণ হয়ে যাবে এই ত্যানাপীর ভন্ড নাকি ওলী" সবাই বেশ আগ্রহ নিয়ে ওলামাদের দিকে তাকালো।ওলামাদের মধ্যে একজন বল্ল,
"শিশুরা কি পাপী না নিষ্পাপ?" উপস্থিত সবাই বল্লেন" নিষ্পাপ "।তাহলে ও'ই বলুক পীর সাহেবের পরনে কাপড় আছে কিনা" ওলামারা বাচ্চাটাকে মঞ্চে উঠালেন এবং জিজ্ঞেস করলেন,আচ্ছা বাবু ঐ যে লোকটাকে দেখছো ওনার গায়ে কি কোন কাপড় আছে?
শিশুটা বেশ কিছুক্ষণ দেখে ভয় পেয়ে বল্ল,
"ও মা থিঃথিঃ উনিটো নেংতা থিঃ থিঃ পাগোল পাগোল!"
 এবার ওলামারা বেশ রাগ নিয়ে বল্ল,
"দেখলেন তো এই নিষ্পাপ শিশুটি কি বল্ল? আসলে আমরা সবাই এই শয়তানটাকে ন্যাংটা দেখেছি কিন্তু অসৎ হওয়ার ভে বলিনি!আসলে ও একটা ভন্ড এবং চালবাজ।ওকে সবাই গণধোলাই দিলেই সত্য বের হবে।"
এবার সবাই ক্ষেপে গেলো।সুযোগ বুঝে পীর আর চ্যালারা দিলো দৌড়,কিন্তু এতগুলো লোকে
ছবিসূত্রঃইন্টারনেট
র মধ্য থেকে আর কই যাবেন।দৌড়ে ওনাকে ধরে রামধোলাই দিলো।রামধোলাইর চোটে ব্যাটা ভন্ডপীর অক্কা পেলো।

  • টীকাঃঅতি চালাক এর গলায় দড়ি। 
  • টীকাঃ অসৎ এর সম্পদ দীর্ঘস্থায়ী নয়। 
  • টীকাঃনিশ্চই মিথ্যে বিলুপ্ত হবে,এবং সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে,মিথ্যে সে তো বিলুপ্ত হওয়ারই ছিলো।(কোরআন)
(এই গল্পটির কিছু অংশ গ্রাম্য গল্পকারদের কাছ থেকে শোনা বাকিটা আমার স্বরচিত।এই গল্পে ককোন ধর্ম বর্ণ বা কোন জাতীকে উদ্দেশ্য ককরা হয় িন।গল্পের জন্য যদি নিছকই কেউ মনে ব্যাযাথা টপান তাহলে নিজগুণে ক্ষেমিয়া নিবেন
সজল আহমেদ) 

কবিতা:বৃষ্টি

বৃষ্টি

-সজল আহমেদ

মেঘের ঘনঘটা,
নর্তকীর পায়ের ঘুঙুরের তান
মেঘ ঝুমঝুম টিনের চালায় পরেরে
টিনের চালায় টিনের চালায়
বৃষ্টি দ্যাখো নাচেরে।
খামখেয়ালির একটা বিকাল
চা চিগারেট ফুকিরে
বৃষ্টি এলো মেঘের লগে
বড় বড় ঠাডা পরেরে
টিনের চালায় টিনের চালায়
বৃষ্টি দ্যাখো নাচেরে।
বন্ধ কোলাহল ;একটা বিকাল
খোকা কোলে বসে, গল্প শোনেরে
বৃষ্টি দেখো বৃষ্টি কত-
ব্যাঙে ঘ্যাঙরঘ্যাঙ চো**রে
খামখেয়ালির একটা বিকেল
বৃষ্টি দ্যাখো পরেরে।
কাজের কাজ ঠনঠনা ঠন
বৃষ্টি কেমন পরেরে
কাজগুলো সব চুলোয় দিয়ে
বৃষ্টি হোগা মারোরে।
বৃষ্টি বড় অবাক করা
নামছে যে সেই বেইন্নাবেলা
পথঘাট সব ভিজেই এক সার
বৃষ্টি যে আইজ সারাবেলা।
এত বৃষ্টি দরকার নাইকো
বৃষ্টি তুমি চলে যাও
আবার তুমি পরে আইসোরে
রাগ অভিমান ;ধুলায় লুটায়
পরে তুমি আইসোরে।

স্মৃতিপট:সজল আহমেদ এর প্রেমেরর কবিতা

কবিতাটা উৎসর্গ করলাম,আমি নতুন কবিতা লিখি জাইনাও উৎসাহ না দিয়া চামেচোমে আমার কবিতাদি নিয়া যিনি হাসাহাসি করেন সেই বিখ্যাত মামা সুজন পারী এবং কিছু হয়নাই জেনেও যেই কইলজার ভাই উৎসাহ দেয় রাকিব হাওলাদার কে।


স্মৃতিপট

-সজল আহমেদ

______________________________________
ফিরে দেখা সেই আমার স্মৃতিপট
আজ নিকটিনে ভাসিয়ে দিয়েছি
আমি ক্লান্ত আমি শ্রান্ত
তবুও নয় আশাহত
যখনি সামনে পা বাড়িয়েছি
পেছন ফিরে তাকিয়েছি
পথভরা ছিলো লিক-লিকে জোক
ঘুমহীন দুটো চোখকে সান্তনা দিয়েছি এই বলে;
'কা' আমার কেউ নাই অতএব পিছপা কেন?
ওগুলো জোক না অভিশপ্ত স্মৃতিপট 
নিজেকে গালি দিয়েছি ;মামদির নাতী তোরে ভূতে চোদে?
একবার দোদুল্যমান মন বলে না পেছনে তাকাস না;
আরেকবার বলে;পেছনের সব স্মৃতি মনে কর।
মানুষের মন নঞর্থকেই আসক্ত;
বার বার সেই হিজল গাছ-নীল শাড়ি আর বাড়ির ছাদে গেঁথে গিয়ে,
স্মৃতিরা আমার সাথে ঠাট্টা করে।
হিজল গাছটা ঠিকই আছে 
শুধু বসা নেই পাখিটা-
বাড়ির ছাদে তুমিও দাঁড়িয়ে নেই
একপায়ে শুধু দাঁড়িয়ে আছে তোমার বাড়িটা।
আমি একবুক ভরসা নিয়ে
দাঁড়াই হিজলতলা -ফিরে এসেছে বুঝি পাখিটা,
দাঁড়িয়ে আছো তুমি রেলিং ধরে
পরে আছো সেই নীল শাড়িটা।
সব নিষ্ফল ;আমি বাধ্য হয়ে ফিরে আসি,
পুরোনো ডায়েরী খুলে বারবার আওড়াই
তোমায় নিয়ে রচিত সেই পুরোনো কবিতা।
জানি ফিরবেনা আর, দাড়াবেনা হেথা
আগের মত রেলিং ধরে,
তবুও আমার হায়াহীন মন
কাঁদবে তোমার রেখে যাওয়া সব পুনরাবৃত্তি করে।

মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৭

এই তামাম দুনিয়ায়: সজল আহমেদ এর কবিতা

এই তামাম দুনিয়ায়
এই তামাম দুনিয়ায়,
বিলাইতে দেয় কুত্তার গোয়ায়
দুনিয়াভি এইরাম হই গেসে ভাই-
ইত্যবসরে বেবাক চামচিকায়
বাদুড়রে খোঁচায়।
এই তামাম দুনিয়ায়
সব বান্দরে বাঘেরে গোয়ায়!
আসছে নব দিন,নব দুন্নাই
যেইদিন কুত্তা বিলাই
আর,
পাতি শৃগাল মিইলা-
মানুষরে গোয়াইবে।

সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৭

সাবধান ভার্সন ২

সাবধান ভার্সন ২

- সজল আহমেদ

মনে কর তুমি কাউরে হোগা মারোনা
কাউরে হোগামারার টাইম তোমার নাই
এলাকায় পিচ্চি থিকা মুরব্বির তুমি ভাই
চাইর পাশে চ্যালাচামুন্ডা
রাস্তায় নামলেই হাক ডাক-
এলাকায় তোমার খুব নাম ডাক,
রেইন্ট্রি গাছে পাতি কাক-
ভুলে যাও কেন যৌবন-শক্তি কাকের ডাকের লাহান ক্ষণস্থায়ী।
তুমি গু চেনো?
জানো-তো কত ঘৃণার বস্তু, 
সেই গু, গায়ে লাগলে
ডিটারজেন্ট দিয়া চাইর পাঁচবার ধোবার পর,
আর থাকে না।
তুমি যখন কাউরে হোগা মারোনা
তুমি তখন সমাজের কাছে গু-
মনে রাইখো,গু ডিটারজেন্ট দিয়া না ধুইলে গন্ধ থাকে-
কিন্তু,
ডিটারজেন্ট দিয়া ধোয়ার পর
গু আর গু'য়ের গন্ধ থাকেনা।
তুমি যদি গু হও
তোমার গন্ধ চারদিকে ছড়াবে-
কিন্তু সমাজ যখন তোমার গন্ধে অতিষ্ঠ হবে,
তখন তোমারে সমাজ ধুয়ে ফেলবে
তোমার গন্ধ থাকবেনা-
সমাজ সর্বদা গন্ধহীন থাকবার চায়।
অতএব,
তুমি সমাজের কাছে গু হইয়োনা।
আর এখন,
এই তামাম দুনিয়ায়,
বিলাইতে দেয় কুত্তার গোয়ায়
দুনিয়াভি এইরাম হই গেছে ভাই-
ইত্যবসরে বেবাক চামচিকায়
বাদুড়রে খোঁচায়।
এই তামাম দুনিয়ায়
সব বান্দরে বাঘেরে গোয়ায়!
আসছে নব দিন,নব দুন্নাই
যেইদিন কুত্তা বিলাই
আর,
পাতি শৃগাল মিইলা-
মানুষরে গোয়াইবে।

না খাইয়া কি শুধু নাম মাত্র কুত্তা থাকে?: সজল আহমেদ এর কবিতা


না খাইয়া কি শুধু নাম মাত্র কুত্তা থাকে?

-সজল আহমেদ

কাঁধে সাদা বস্তা নিয়ে সেই সকালে বার হইছি,
কত পারা কত গলি যে ঘুরছি আল্লাহ মালুম!
এত ঘুইরাও বস্তা ভরেনাই দা!
কত মাইনষের কত কথা বাপু,
ওসব ডেইলি রুটিন।
এই আমার দোকানের সামনে থেইকা যাহ্,
বান্দির পোলা গাড়ির সামনে কি কলকব্জা খুইলা নিতে খাড়াইছোস?
ওয়ার্কশপের সামনে দিয়া যা, লোহা যদি একটা যায় থাপ্রায়া দন্ত ফেলায়া দিমু,
আরো কত কি গালিগালাজ দৈনিক যে হজম করি তার ইয়াত্তা নাই!
আমিও গালি দেই তয় মনে মনে,
আর ওনার কাছে কই, যেন হালাগো সব ঠাডা পইরা যায়।
গতরাতে খাওয়া হয়নি,
দুপুরে নাওয়া হয়নি,
ওস্তাদজ্বি বলছিলো-নেড়ি কুত্তা নাকি দিনের পর দিন না খায়া না নাইয়া বাঁইচা থাকে!
আমি নেড়ি কুত্তা না,
আমার লকব ও নেড়ি কুত্তা না,
তবে ২বেলা খাওয়া হয়নি।
কাগজের আইজ কাইল বড্ড কহর,
পোলাপান কাগজ ফালায়া দেয়না
কারুকলায় ব্যয় করে।
শেষ অবলম্বনে আছে লোহা,
মাদারী সব লোহার টিনের এত দাম কমাইলো,
১ দিনের টেহা জমাইলেও হালারা ২টা বেলার খাবার দিতে চায়না,
এল্লাইগ্যা পৃথিবীর খাওন বলতে আমার কাছে ড্যান্ডির কৌটা।
কৌটা খুইলা ঠোঙ্গায় ভইরা বুক ভইরা নিঃশ্বাস লই,
পিনিক!চাইরদিকে পিনিক!
সামনে পুলিশ কাকুরা খাড়ায়া তামশা দ্যাখে কিচ্ছু কয়না।
দেখবইবা না কেন?
কিচ্ছু কইবোই বা কেন?
মাঝেমইধ্যেই যে সিগারেট আর চায়ের পয়সা দিই।
তয় মাঝেমইধ্যে আবার পাছায় লাথ্থিও খাই!
ওসব সইত্য ইতিহাস,সব বাস্তব জিনিসপাত্তি।
মিথ্যা খালি,আমার নাই বাড়ি নাই ঘর
আমার নাই ভাই,নাই মা নাই বাপ,
মিথ্যা খালি আমার স্বজন নাই কেউ,
স্বজন বইলা খালি সাদা বস্তা আর রাস্তার কলকব্জা,
মিথ্যা খালি আমি,মিথ্যা খালি আমার জীবন।
আমি পুরাই অকেজো পুরাই মিথ্যা,
আমি ২-৩ বেলা না খাইয়া থাকা মানবীয় খোলসে ভর্তি কুত্তা।

মহাপুরুষ : সজল আহমেদ এর কবিতা

মহাপুরুষ 

-সজল আহমেদ

তুমি একজন বাংলাদেশী নও
যখন,
তুমি বিএনপি আর বঙ্গবন্ধুরে গালি দাও;
যখন,
তুমি আওয়ামিলীগ জিয়ারে তার খুনি বানাও।
পৃথিবী যখন ঘুরে দাঁড়ালো
নিজেগো নায়কদের মহাপুরুষের কাতারে আনলো।
মহা পুরুষ দ্বারা নিজেদের সমৃদ্ধ করলো
পৃথিবীর বাইরে যখন তারা বার্তা পাঠাইলো
আমরা তখন পরের বানানো ইন্টারনেট দিয়া ব্লগ চালাই
আর লুটেরাদের মাসোয়ারা দিয়ে
কেডা ধার্মিক কেডা বিধর্মী কেডা নাস্তিক
অথবা মহাপুরুষদের বদনাম গাই।

সাবাস বাংলাদেশ আগাইয়া যাও: সজল আহমেদ এর কবিতা

সাবাস বাংলাদেশ আগাইয়া যাও

-সজল আহমেদ


সাবাস বাংলাদেশ তুমি দুরন্ত গতিতে আগাইয়া যাও
ঠিক তোমার মত কইরা আগাও
বাকি পৃথিবীর হোগা জ্বলে জ্বলুক
তুমি পিছনে ফিইরা তাকাবানা।
সাবাস বাংলাদেশ তুমি লাফাইয়া লাফাইয়া আগাও
হোগা জ্বলে জ্বলুক প্রতিবেশী বা শত্রুপক্ষের
তুমি থামবা কেন ৭১ এ যখন থামোনি?
থামনি যখন হিংস্রদের থাবায়
জানি ওরা তোমার ভালো দেখতে পারেনা
কিংবা তলে তলে ওস্তাদগীরী ফলায়
কিংবা ক্রিকেট মাঠে তোমার ছেলেদের সাথে ক্ষমতা ফলায়,
তুমি তাতে পিছ পা হবা কেন?
জানি ওরা তোমার উন্নয়ন দেখতে পারেনা
হয়তবা তোমার উপরে বড়গীরী ফলায়
তলে কিংবা প্রকাশ্যে
তুমি তাতে থামবা কেন?
সমৃদ্ধ হচ্ছে তোমার অস্ত্র ভান্ডার
ক্ষণে ক্ষণে জন্মাইতেছে তোমার দামাল পোলা মাইয়া;
শাহরিয়ার কবিরের মত ভ্রুন ছুইড়া ফেলে 
যারা এই সবের সমুচিত জবাব দেবে,
পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে শোধ নেওয়া হবে
তোমার উপর চলা সব অমানবিকতার।
অতএব তুমি মাথা উঁচা করো আগাইয়া যাও
ওগো হোগা জ্বলছিলে,ভবিষ্যতে আরো জ্বলবে,
তাতে কি তুমি থাইমা থাকবা?
না কখনো না।


মিডিয়া আর পাগলা কুত্তা


সারা দুনিয়াভি ঝনঝন কইরা
বাজতাছে যুদ্ধের দামামা;
বাজতে যে আছে বাজতেই আছে,
দামামা আর থামেনা।
পাগলা কুত্তার দল সব দৌড়াইতাছে
নিরীহ প্রাণী কামড়াইতে
দৌড়াইতে যে আছে দৌড়াইতেই আছে কুত্তারা পিছন ফেরেনা।
শান্তির চুক্তি হাতে কুত্তার মালিকগণ
নীরিহ প্রাণীগণের দ্বারেদ্বারে ঘোরে,
সাবধান মাইরোনা মোর আবাল কুত্তাডারে।
নিরীহ প্রাণীকূল যখন-
 কামড় সামলাইতে একটা কুত্তা মারে,
কুত্তার মালিকগণ তহন
উপায় হারা;মিডিয়া চাইপা ধরে।
রংবেরঙয়ের মিডিয়া ভাই,
হলুদ, লাল আর বাদামী
ব্রেকিং নিউজ ভইরা তহন
কুত্তা লইয়া পিছলামি।
হাজার প্রাণী কামড়াইয়াও তহন
কুত্তাখান হয় সাধু,
কুত্তা মারার বিচার চাইয়া
ব্রেকিং নিউজ হয় শুধু।
নিরীহ প্রাণী উপায়হারা
কি করণ যায় ভাবে;
এমন ফাকে সুযোগ পাইয়া
চার-পাঁচ দেশের কুত্তা মালিক
 সবে মিল্লা কুত্তা ছাড়ে প্লেন ভইরা।



২৯-০১-২০১৭ (সজল আহমেদ)

রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৭

সজল আহমেদ এর প্রেমের কবিতা: এই জোসনা তোমার আমার

এই জোসনা তোমার আমার

-সজল আহমেদ


তোমার হাতটা ছুঁয়ে দেয়;
আমার অবাধ্য স্পর্ধা,
চায় না এ চিত্ত এই জোসনায়
থাকুক দুজনার মাঝে কোন বেড়াজাল বা পর্দা।
জোনাকি শুসে নিয়েছে
আমার যত ছিলো কুন্ঠা,
চাঁদের আলোয় তোমাকে দেখে ;
পালিয়েছে ছিলো যত ভয় কুন্ঠা,
তুমি ও নয় লজ্জা-মন
প্রকাশ পাচ্ছে তোমার উত-রোল আবেগ
আমায় জড়িয়ে ধর।
কোন ভয়ভীতি হীণমন্যতা;
ছুঁতে পারবেনা আমাদের-
এই জোসনা;আমি-তুমি
আর,
জোনাকি ঝিঁঝিঁ পোকা ;চাঁদ তারাদের।
অধরে-অধর চেপে আছি
অধরা আবেগ দুজনাতে-
একজোড়া জড়িয়ে আছি;কায়া শিহরিত,
তুমিও নয় লজ্জা-মন
প্রকাশ পাচ্ছে তোমার উত-রোল আবেগ
শক্ত করে আমায় জড়িয়ে ধর।
২৮/০১/২০১৭ ইং

শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৭

কোন ফ্যাসিবাদী আমার ভাই না -সজল আহমেদ এর কবিতা



যারা একটিমাত্র ইস্যু নিয়ে যুদ্ধ করে
আবার দিনশেষে,
তেনাদের পদতলে ঠাই খুঁজে মরে-
তোমরা আমার ভাই না
ফ্যাসিবাদী কখনো আমার ভাই না।
যারা অনৌচিত কে সেলুট মারে
ফ্যাসিবাদ কে আকড়ে ধরে
কলহকারী আমার ভাই না।
যারা বস্তি উচ্ছেদে চুপ মেরে যায়
বেশ্যা উচ্ছেদে গলা টাটায়
তারাও আমার ভাই না
কোন কলহকারী আমার ভাই না
কোন ফ্যাসিবাদী আমার ভাই না।
যারা উগ্রবাদকে চুমু দিয়ে
ফ্যাসাদ বাঁধায় মসজিদ কি মন্দিরে
ইমাম - পুরোহিতের গলা কাটে
তারাও আমার ভাইনা
কোন কলহকারী আমার ভাই না।
যারা পাঠ্যবইয়ের একাংশের সমালোচনা করে
ক্ষমতাসীনদের দু পা চাটে
আর মিথ্যে চেতনায় উদ্বুদ্ধ করায়
অলীক কল্পনায় ভাসায়
তারাও আমার ভাই না
কোন ফ্যাসিবাদী আমার ভাই না।
যারা মধ্যপথে যুদ্ধ থামিয়ে
হাত উঁচু করে হেরে যাওয়ার ভয়ে
তারাও আমার ভাই না
কোন ভীতুর-ডিম আমার ভাই না
কোন হেরোরা আমার ভাই না।
হেরে যাবে কেন?
হেরে যাওয়া শিখোনা কখনো
হেরে যায় পলপট ;স্ট্যালিন-হেরে যায় হিটলার
তুমি হারবে কেন?
পলপট ;স্ট্যালিন হিটলাররা কখনো আমার ভাই না।
তুমি হেরে যাবে কেন?
হেরোরা নয় বিখ্যাত
হেরো না হেরো না তুমি কখনো।

বাচ্চাকে কেন গোপাল ভাঁড় দেখতে দিবেন না?




জাতীতে আমাদের যেমন বাংলাদেশী ভারতী কিংবা হিন্দু মুসলমান ভাগ রয়েছে তেমনই ভাগ রয়েছে আমাদের ইতিহাসে।আর মানুষের ইতিহাসের দরকার রয়েছে ঐতিহাসিক গোলাম আহমেদ মোর্তজার মতে,মানুষই একমাত্র প্রাণী যাদের ইতিহাসের দরকার হয়।তবে এই দরকারি ইতিহাস পাল্টে যায়,জাতী ভেদে পাল্টায় আবার কিছু কুচক্রির হাতে পরে,সময়ে পাল্টায় অসময়ে ও পাল্টায়।
আবার ইতিহাস না বদলেও তৈরী হয় মানুষের মাঝে বিভক্তি।আমাদের কাছে যারা হিরো হয়তবা তেনাদের কাছে তাঁরা হচ্ছে কাপুরুষ বা বেঈমান। আবার আমাদের কাছে যারা কাপুরুষ, সুযোগবাদী তাদের কাছে তাঁরা সুপুরুষ ।
ধরুন গজনীর সুলতান মাহমুদ। আমাদের দেশে সুলতান মাহমুদকে দুই রুপে আমরা দেখি।"ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি " এই পাঠ্যবই তে আমরা সুলতান মাহমুদ কে বীর হিসেবে দেখি আবার কলকাতার পাঠ্য "ইতিহাসের" বই তে চিনি একজন সনামধন্য "লুটেরা" হিসেবে।
হ্যা ইতিহাস এমনই।আমাদের হিরো তো ওনাদের কাছে ভিলেন আবার ওনাদের হিরো তো আমাদের ভিলেন।
তখন কেমন হবে যখন আমাদের কাছে তাদের হিরো তথা আমাদের নিকট মীরজাফর জগৎশেঠদের চরিত্রের লোকদের আমাদের কাছে হিরোরুপে উপস্থাপন করা হবে? আর আমাদের বাচ্চারাও তাদের হিরোরুপে দেখা শুরু করবে?
এতদিন ধরে আমি "সনি আট" চ্যানেলটির গোপাল ভাঁড় কার্টুনটির প্রায় ৩৫৪ টি পর্ব দেখেছি।শুধুমাত্র যে এই ৩৫৪টি পর্বে বিনোদনই নিয়েছি তা কিন্তু নয়,সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা নিয়েছি কিভাবে ভারতীয় চ্যানেল সনি আট বিকৃত ইতিহাস বাচ্চাদের শিখায়।আপনি ভাবতেও পারবেননা কিভাবে বাচ্চাদের মনে আমাদের ইতিহাসের বিকৃতিরুপ ঢোকানো হয়।
তাই আপনাদের কাছে আমার একটা অনুরোৎঅনুরোধ দয়াকরে আপনার বাচ্চাকে কখনোই গোপাল ভাঁড় দেখতে দিয়েন না।
ছবিসূত্রঃ ইত্তেফাক

কেন গোপাল ভাঁড় বাচ্চারা দেখবেনা?

গোপাল ভাঁড়ে মাঝে মাঝেই আমরা "নবাব" কে দেখতে পাই,যিনি সব সময়ই কৃষ্ণচন্দ্রের গোপাল ভাঁড়ের কাছে জব্দ হচ্ছেন। কৃষ্ণচন্দ্র কে তিনি সিংহাসনচ্যুত করতে চান, ইত্যাদি ইত্যাদি।

১.আপনি জানেন ঐ নবাব কে?

যদি না জানেন তাহলে আমার এই তথ্য আপনাকে আশ্চর্য করবে! ভাবতে থাকুন নবাব টা কে! হ্যাঁ ঐ নবাব মূলত বাংলার নবাব " নবাব সিরাজউদদৌলা"। অ্যানিমেটেড সিরিজটিতে নবাবকে অন্যকোথার নবাব বা নবাব আলীর্বাদী খা হিসেবে বোঝাবে বোঝাতে চায় কিন্তু আসলে এই নবাবই হচ্ছেন আমাদের নবাব "সিরাজউদদৌলা"।অনেকে বলবেন উনি দিল্লির নবাব কিন্তু ইতিহাস বলে, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র নবাব সিরাজউদদৌলার সময়কার রাজা এবং উনি শত্রু ভাবতেন একমাত্র নবাব সিরাজউদদ্দৌলাকেই।আর কৃষ্ণচন্দ্র হলেন নদীয়ার রাজা যে রাজ্যটি ছিলো নবাব সিরাজউদদৌলার আয়ত্ত্বে।

২.বিকৃত ও সঠিক ইতিহাসে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ও নবাবের চরিত্র

২.১
মিথ্যে ঐতিহাসিক ঘটনা
উল্লেখ্য,আমরা গোপাল ভাঁড়ের পর্বগুলোতে দেখতে পাই, "কৃষ্ণচন্দ্রর খুবই সৎ নিষ্ঠাবান,দেশ প্রেমিক,প্রজাপ্রেমিক লোক গোপাল ভাঁড় সহ তার আরো বেশ কিছু রত্নসম লোক আছে।এর মধ্যে গোপাল ভাঁড়ই বেশি বুদ্ধিমান,দেশপ্রেমিক,গরীবের বন্ধু যিনি সব রকমের বিপদ থেকে রাজাকে বাঁচান। নবাব বারবার কৃষ্ণচন্দ্র কে জব্দ করতে চায় এবং গোপাল বুদ্ধি দিয়ে তাকে বাঁচান।নবাবের আরেকটা খারাপ দিক তিনি ইংরেজ তোষণ করে থাকেন।বাংলায় নবাব সর্বপ্রথম ইংরেজদের স্থান দিয়ে তাদের সাথে সুসম্পর্ক রাখছে অথবা দেখা যায় কৃষ্ণ চন্দ্র ইংরেজদের তোষণ করেন না।তিনি তোষামোদ করলেও গোপাল ইংরেজদের তাড়িয়ে দেয় ইত্যাদি ইত্যাদি।

২.২

গোপাল ভাঁড় বলে ইতিহাসে কেউ নেইঃ
আমরা মনে করি গোপাল ভাঁড় সত্যিই ছিলেন যিনি দুষ্টের দমন করতেন,বিখ্যাত হাস্যরসিক ও ভাঁড়, যিনি হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমে অন্যদের আনন্দ দিতেন ইত্যাদি। আসল বা সঠিক হচ্ছে এর বিপরীত। গোপাল ভাঁড় নামক কারো অস্তিস্ত কখনোই ছিলোনা।এই চরিত্রটি মূলত কাল্পনিক।
গোপাল ভাঁড় নামে কেউ রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সময় নির্দিষ্ট করে ছিলেন না। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজত্ব সম্পর্কে ইতিহাসে প্রচুর তথ্য পাওয়া গেলেও তার কোথাও উল্লেখ নেই যে, তাঁর সভায় গোপাল নামে একজন ভাঁড় ছিলেন।(বাংলা পিডিয়া)তবে কোনো না কোনো বিদূষক রাজার প্রিয়পাত্র হন,সে বুদ্ধিমান হলেও হাস্যরসিক ছিলেন না। তবে সে যে গোপাল ভাঁড় তার কোন ইতিহাস কোন গ্রন্থে লেখিত নেই। গোপালের জন্ম কত বঙ্গাব্দে বা খ্রীষ্টাব্দে তার কোন নথিপত্র ইতিহাস দূরে থাক পুঁথিপত্রে ও তা কোথাও লেখা নেই,এমনকি বটতলার সাহিত্যেও না। তার জন্মস্থানের পক্ষেও কোনো নথি নেই, কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা হিসেবে তার সম্পত্তির কিংবা জায়গা-জমির কোনো প্রমান পাওয়া যায়নি কোথাও।উনিশ শতকের প্রথম দিককার "বটতলার সাহিত্যে" গোপাল ভাঁড়ের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়।গোপাল ভাঁড়ের বংশ পরিচয় পাওয়া যায় নগেন্দ্রনাথ এর বই "নবদ্বীপ কাহিনি" থেকে। তবে তা সূত্রহীন এবং অবিশ্বাস্য কেননা ঐ বইটায় নবদ্বীপ নিয়ে কিছু রূপকথার গল্পটল্প ও আছে। আশ্চর্যের বিষয় বইটির লেখক "গোপাল" চরিত্রে রহস্য রাখতে ঐ গ্রন্থে ভাঁড় গোপালের বাবার নাম জানালেও তার মা ও স্ত্রী সম্পর্কে কিছুই লিখেননি। নগেন্দ্রনাথ দাসের মতে গোপালের পদবী ছিল 'নাই'। তার মতে, মহারাজ তাকে হাস্যার্ণব উপাধী দান করেন। প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ও ভাষাবিদ সুকুমার সেন বলেছেন ‘গোপাল ভাঁড় সম্পর্কে আধুনিক বাঙালির কৌতুহল থাকার ফলে বাস্তব অথবা কল্পিত ব্যক্তিটির সম্পর্কে যে জনশ্রুতি জাতীয় ঐতিহ্য গজিয়ে উঠেছে ও উঠছে তার বীজ হচ্ছে ভাঁড় নামের অংশটি, গোপাল ভাঁড়ের ভাঁড়টুকু সংস্কৃত শব্দ ভাণ্ডারের ‘ভাণ্ড’-জাত মনে করে অনেক গোপালের জাতি নির্ণয় করেছেন'।
চিত্রঃ কাল্পনিক গোপাল ভাঁড়(ছবিসূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা)

গোপাল ভাঁড় সম্বন্ধে বাংলাপিডিয়ার বক্তব্য হচ্ছে,
"গোপাল ভাঁড়ের কোনো ঐতিহাসিক স্বীকৃতি নেই। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজত্ব সম্পর্কে ইতিহাসে প্রচুর তথ্য পাওয়া গেলেও তার কোথাও উল্লেখ নেই যে, তাঁর সভায় গোপাল নামে একজন ভাঁড় ছিলেন।
উনিশ শতকের প্রথম দিককার বটতলার সাহিত্যে গোপাল ভাঁড়ের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়। বাংলার ইতিহাস, এমনকি পৃথিবীর ইতিহাসেও, অল্প হলেও দেখা যায় সমষ্টিগতভাবে জনগণের উপস্থিত বুদ্ধি ও জ্ঞান কোনো একজন অতীত লোকের নামে প্রচলিত হয় এবং কালক্রমে তিনি জনগণের মধ্যে হিরো হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। গোপাল ভাঁড় হয়ত এমনি এক কাল্পনিক ব্যক্তিত্ব।"
[বাংলাপিডিয়ার তথ্য উপাত্ত]
মূলত এই বুদ্ধিমান প্রাণী বিশেষটি মোল্লা নাসির উদ্দিন এবং বীরবল চরিত্র দুটো কে কাউন্টার করতে তৈরী করা।

২.৩

রাজা কৃষ্ণচন্দ্র(১৭১০-৮৩)
চিত্রঃ কৃষ্ণচন্দ্রের মূর্তি

আমরা গোপাল ভাঁড়ে নিশ্চই রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে চিনি যিনি খুবই সৎ নিষ্ঠাবান,শিক্ষিত,দেশ প্রেমিক,প্রজাপ্রেমিক লোক। হ্যা একথা সত্য যে, তিনি শিক্ষিত লোক ছিলেনমোট ৩ টি ভাষা সহ সঙ্গীত ও অস্ত্রবিদ্যায় ও তিনি পারদর্শী ছিলেন।তিনি ছিলেন রাজনৈতিক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন কূটকৌশলী ব্যক্তি।এসব গুণ তার মধ্যে বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও তিনি ছিলেন একজন ইংরেজ প্রেমিক রাজা। রাজা কৃষ্ঞচন্দ্রের আমলেই মূলত বাংলায় ইংরেজরা ঢোকেন।যাকে নবাব সিংহাসনে বসিয়েছিলেন।এবং ১৭৫৭ সালে যখন ইংরেজ সাহেবদের কাছে বাংলার নবাব সিরাজউদদৌলা পরাজিত ও নিহত হলেন তখন নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এবং কোলকাতার রাজা নবকৃষ্ঞদেব সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছিলেন।উল্লেখ্য যে, রবার্ট ক্লাইভ পলাশীর যুদ্ধ ময়দানে যাওয়ার সময় কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের প্রাসাদে রাত যাপন করেছিলো।তারা কোম্পানির জয় কে হিন্দুদের জয় মনে করতেন।আরো উল্লেখ্য যে,নবাব হেরেছেন আর কোম্পানি জিতেছেন এই খুশিতে সেই ১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন এর পরপরই নবকৃষ্ঞ চালু করেন দুর্গাপূজা।আর কৃষ্ণচন্দ্র চালু করেন জগদ্ধাত্রী পুজা।
বঙ্কিমচন্দ্র কৌতুক করে লিখেছিলেন, দূর্গোপূজোর মন্ত্র ইংরেজীতে পঠিত হইবে।[বাঙ্গালী জীবনে রমনী:নীরদচন্দ্র চৌধুরী,পৃষ্ঠা নং ১৮]
ইংরেজদের প্রতি পক্ষপাতিত্বের পুরস্কারস্বরূপ কৃষ্ণচন্দ্র ইংরেজ কর্তৃক ‘মহারাজা’ উপাধিতে ভূষিত হন। তদুপরি ক্লাইভের নিকট থেকে উপঢৌকন হিসেবে পান পাঁচটি কামান।(বাংলাপিডিয়া)
[কৃষ্ণচন্দ্র সম্বন্ধে সামান্য তথ্য "এ এক অন্য ইতিহাস গ্রন্থের পৃষ্ঠা নং ৩২ এ দ্রষ্টব্য ]

শেষকথা
আমরা ইতিহাসে মীর জাফর মীর জাফর বা জগৎশেঠ জগৎ শেঠ করে ঘৃণা প্রকাশ করলেও তাদেরই মত একজনকে হিরো রুপে আমাদের শিশুদের কে দেখাই।আবার প্রকৃত ইতিহাসকে লুকিয়ে, আমাদের নায়ক নবাব সিরাজউদদৌলাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এই কার্টুন সিরিজে বদ,শয়তান, ইংরেজ তোষণকারী হিসেবে দেখানো হয়, অথচ তিনি ইংরেজদের বিপক্ষে যুদ্ধ করে নবাব প্রাণটাই খোয়ালেন।অপরদিকে ইংরেজদের পা চাটচাটি করা রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কে দেখানো হয় সুপার হিরো হিসেবে!এই সিরিজটায় একেবারে সুক্ষ্ম ভাবে কাল্পনিক গোপাল দ্বারা শিশুর কাছে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে হিরোরুপে তুলে ধরা হচ্ছে যা ন্যাক্কার জনক!
আপনি কি চান আপনার বাচ্চা ছোটবেলা থেকেই আপনার আমার হিরো সিরাজউদদৌলার প্রতি তীব্র ঘৃণা নিয়ে বড় হোক?
যদি না চান তাহলে মিথ্যা ইতিহাসের ভিত্তিতে গড়া গোপাল ভাঁড় থেকে তাকে দূরে রাখুন তাকে।
তথ্যসূত্রঃ

  1. উইকিপিডিয়া(কৃষ্ণচন্দ্র রাজা)
  2. বাংলাপিডিয়া(গোপাল ভাঁড়)
  3. এ এক অন্য ইতিহাস পৃষ্ঠা ৩২(গোলাম আহমেদ মোর্তজা)


২৭/০১/২০১৭ (সজল আহমেদ-প্রবন্ধ)
©লেখাটি অনুমতি ব্যাতিত অন্যকোথাও প্রকাশ করা বেআঈনি