সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৭

সাবধান ভার্সন ২

সাবধান ভার্সন ২

- সজল আহমেদ

মনে কর তুমি কাউরে হোগা মারোনা
কাউরে হোগামারার টাইম তোমার নাই
এলাকায় পিচ্চি থিকা মুরব্বির তুমি ভাই
চাইর পাশে চ্যালাচামুন্ডা
রাস্তায় নামলেই হাক ডাক-
এলাকায় তোমার খুব নাম ডাক,
রেইন্ট্রি গাছে পাতি কাক-
ভুলে যাও কেন যৌবন-শক্তি কাকের ডাকের লাহান ক্ষণস্থায়ী।
তুমি গু চেনো?
জানো-তো কত ঘৃণার বস্তু, 
সেই গু, গায়ে লাগলে
ডিটারজেন্ট দিয়া চাইর পাঁচবার ধোবার পর,
আর থাকে না।
তুমি যখন কাউরে হোগা মারোনা
তুমি তখন সমাজের কাছে গু-
মনে রাইখো,গু ডিটারজেন্ট দিয়া না ধুইলে গন্ধ থাকে-
কিন্তু,
ডিটারজেন্ট দিয়া ধোয়ার পর
গু আর গু'য়ের গন্ধ থাকেনা।
তুমি যদি গু হও
তোমার গন্ধ চারদিকে ছড়াবে-
কিন্তু সমাজ যখন তোমার গন্ধে অতিষ্ঠ হবে,
তখন তোমারে সমাজ ধুয়ে ফেলবে
তোমার গন্ধ থাকবেনা-
সমাজ সর্বদা গন্ধহীন থাকবার চায়।
অতএব,
তুমি সমাজের কাছে গু হইয়োনা।
আর এখন,
এই তামাম দুনিয়ায়,
বিলাইতে দেয় কুত্তার গোয়ায়
দুনিয়াভি এইরাম হই গেছে ভাই-
ইত্যবসরে বেবাক চামচিকায়
বাদুড়রে খোঁচায়।
এই তামাম দুনিয়ায়
সব বান্দরে বাঘেরে গোয়ায়!
আসছে নব দিন,নব দুন্নাই
যেইদিন কুত্তা বিলাই
আর,
পাতি শৃগাল মিইলা-
মানুষরে গোয়াইবে।

না খাইয়া কি শুধু নাম মাত্র কুত্তা থাকে?: সজল আহমেদ এর কবিতা


না খাইয়া কি শুধু নাম মাত্র কুত্তা থাকে?

-সজল আহমেদ

কাঁধে সাদা বস্তা নিয়ে সেই সকালে বার হইছি,
কত পারা কত গলি যে ঘুরছি আল্লাহ মালুম!
এত ঘুইরাও বস্তা ভরেনাই দা!
কত মাইনষের কত কথা বাপু,
ওসব ডেইলি রুটিন।
এই আমার দোকানের সামনে থেইকা যাহ্,
বান্দির পোলা গাড়ির সামনে কি কলকব্জা খুইলা নিতে খাড়াইছোস?
ওয়ার্কশপের সামনে দিয়া যা, লোহা যদি একটা যায় থাপ্রায়া দন্ত ফেলায়া দিমু,
আরো কত কি গালিগালাজ দৈনিক যে হজম করি তার ইয়াত্তা নাই!
আমিও গালি দেই তয় মনে মনে,
আর ওনার কাছে কই, যেন হালাগো সব ঠাডা পইরা যায়।
গতরাতে খাওয়া হয়নি,
দুপুরে নাওয়া হয়নি,
ওস্তাদজ্বি বলছিলো-নেড়ি কুত্তা নাকি দিনের পর দিন না খায়া না নাইয়া বাঁইচা থাকে!
আমি নেড়ি কুত্তা না,
আমার লকব ও নেড়ি কুত্তা না,
তবে ২বেলা খাওয়া হয়নি।
কাগজের আইজ কাইল বড্ড কহর,
পোলাপান কাগজ ফালায়া দেয়না
কারুকলায় ব্যয় করে।
শেষ অবলম্বনে আছে লোহা,
মাদারী সব লোহার টিনের এত দাম কমাইলো,
১ দিনের টেহা জমাইলেও হালারা ২টা বেলার খাবার দিতে চায়না,
এল্লাইগ্যা পৃথিবীর খাওন বলতে আমার কাছে ড্যান্ডির কৌটা।
কৌটা খুইলা ঠোঙ্গায় ভইরা বুক ভইরা নিঃশ্বাস লই,
পিনিক!চাইরদিকে পিনিক!
সামনে পুলিশ কাকুরা খাড়ায়া তামশা দ্যাখে কিচ্ছু কয়না।
দেখবইবা না কেন?
কিচ্ছু কইবোই বা কেন?
মাঝেমইধ্যেই যে সিগারেট আর চায়ের পয়সা দিই।
তয় মাঝেমইধ্যে আবার পাছায় লাথ্থিও খাই!
ওসব সইত্য ইতিহাস,সব বাস্তব জিনিসপাত্তি।
মিথ্যা খালি,আমার নাই বাড়ি নাই ঘর
আমার নাই ভাই,নাই মা নাই বাপ,
মিথ্যা খালি আমার স্বজন নাই কেউ,
স্বজন বইলা খালি সাদা বস্তা আর রাস্তার কলকব্জা,
মিথ্যা খালি আমি,মিথ্যা খালি আমার জীবন।
আমি পুরাই অকেজো পুরাই মিথ্যা,
আমি ২-৩ বেলা না খাইয়া থাকা মানবীয় খোলসে ভর্তি কুত্তা।

মহাপুরুষ : সজল আহমেদ এর কবিতা

মহাপুরুষ 

-সজল আহমেদ

তুমি একজন বাংলাদেশী নও
যখন,
তুমি বিএনপি আর বঙ্গবন্ধুরে গালি দাও;
যখন,
তুমি আওয়ামিলীগ জিয়ারে তার খুনি বানাও।
পৃথিবী যখন ঘুরে দাঁড়ালো
নিজেগো নায়কদের মহাপুরুষের কাতারে আনলো।
মহা পুরুষ দ্বারা নিজেদের সমৃদ্ধ করলো
পৃথিবীর বাইরে যখন তারা বার্তা পাঠাইলো
আমরা তখন পরের বানানো ইন্টারনেট দিয়া ব্লগ চালাই
আর লুটেরাদের মাসোয়ারা দিয়ে
কেডা ধার্মিক কেডা বিধর্মী কেডা নাস্তিক
অথবা মহাপুরুষদের বদনাম গাই।

সাবাস বাংলাদেশ আগাইয়া যাও: সজল আহমেদ এর কবিতা

সাবাস বাংলাদেশ আগাইয়া যাও

-সজল আহমেদ


সাবাস বাংলাদেশ তুমি দুরন্ত গতিতে আগাইয়া যাও
ঠিক তোমার মত কইরা আগাও
বাকি পৃথিবীর হোগা জ্বলে জ্বলুক
তুমি পিছনে ফিইরা তাকাবানা।
সাবাস বাংলাদেশ তুমি লাফাইয়া লাফাইয়া আগাও
হোগা জ্বলে জ্বলুক প্রতিবেশী বা শত্রুপক্ষের
তুমি থামবা কেন ৭১ এ যখন থামোনি?
থামনি যখন হিংস্রদের থাবায়
জানি ওরা তোমার ভালো দেখতে পারেনা
কিংবা তলে তলে ওস্তাদগীরী ফলায়
কিংবা ক্রিকেট মাঠে তোমার ছেলেদের সাথে ক্ষমতা ফলায়,
তুমি তাতে পিছ পা হবা কেন?
জানি ওরা তোমার উন্নয়ন দেখতে পারেনা
হয়তবা তোমার উপরে বড়গীরী ফলায়
তলে কিংবা প্রকাশ্যে
তুমি তাতে থামবা কেন?
সমৃদ্ধ হচ্ছে তোমার অস্ত্র ভান্ডার
ক্ষণে ক্ষণে জন্মাইতেছে তোমার দামাল পোলা মাইয়া;
শাহরিয়ার কবিরের মত ভ্রুন ছুইড়া ফেলে 
যারা এই সবের সমুচিত জবাব দেবে,
পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে শোধ নেওয়া হবে
তোমার উপর চলা সব অমানবিকতার।
অতএব তুমি মাথা উঁচা করো আগাইয়া যাও
ওগো হোগা জ্বলছিলে,ভবিষ্যতে আরো জ্বলবে,
তাতে কি তুমি থাইমা থাকবা?
না কখনো না।


মিডিয়া আর পাগলা কুত্তা


সারা দুনিয়াভি ঝনঝন কইরা
বাজতাছে যুদ্ধের দামামা;
বাজতে যে আছে বাজতেই আছে,
দামামা আর থামেনা।
পাগলা কুত্তার দল সব দৌড়াইতাছে
নিরীহ প্রাণী কামড়াইতে
দৌড়াইতে যে আছে দৌড়াইতেই আছে কুত্তারা পিছন ফেরেনা।
শান্তির চুক্তি হাতে কুত্তার মালিকগণ
নীরিহ প্রাণীগণের দ্বারেদ্বারে ঘোরে,
সাবধান মাইরোনা মোর আবাল কুত্তাডারে।
নিরীহ প্রাণীকূল যখন-
 কামড় সামলাইতে একটা কুত্তা মারে,
কুত্তার মালিকগণ তহন
উপায় হারা;মিডিয়া চাইপা ধরে।
রংবেরঙয়ের মিডিয়া ভাই,
হলুদ, লাল আর বাদামী
ব্রেকিং নিউজ ভইরা তহন
কুত্তা লইয়া পিছলামি।
হাজার প্রাণী কামড়াইয়াও তহন
কুত্তাখান হয় সাধু,
কুত্তা মারার বিচার চাইয়া
ব্রেকিং নিউজ হয় শুধু।
নিরীহ প্রাণী উপায়হারা
কি করণ যায় ভাবে;
এমন ফাকে সুযোগ পাইয়া
চার-পাঁচ দেশের কুত্তা মালিক
 সবে মিল্লা কুত্তা ছাড়ে প্লেন ভইরা।



২৯-০১-২০১৭ (সজল আহমেদ)