বাঙ্গালী মুসলমানদের সংস্কৃতি বিরোধী দোষে দোষারোপকারীদের অবশ্যপাঠ্য
-সজল আহমেদ
মঙ্গোল শোভাযাত্রা হবে এটা নিয়ে চুপই ছিলাম আমার চারুকলার বন্ধুদের খাতিরে।এই যে তাঁরা রাক্ষস-টাক্ষস নিয়ে লাফাবে সেটাও তাদের খাতিরে সাম্প্রদায়িকতা ধরিনি কিন্তু এখন
চুপ থাকা গেলোনা যখন সেই সাম্প্রদায়িকতা বাঙ্গালী মুসলমানদের গায়ে লেপ্টানো হলো!মঙ্গোলে গোল করেন না মানা করছে কে আপনাদের? কিন্তু এই হালের গজানো উৎসবকে শ্রেফ পুরানা বাঙ্গালী সংস্কৃতি বানাতে হবে?তা ও মানলাম যান বানান মানা করছে কে? কিন্তু এটার দোহাই দিয়ে আপানি বাঙ্গালী মুসলমানদদের সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী,বাংলা সংস্কৃতি বিরোধী ইত্যাদি বলছেন কেন?
এই লেখাটাতে আমাকে সাম্প্রদায়িক মনে হতে পারে,আমি সাম্প্রদায়িক নয়।কিন্তু সামনে যখন সত্যটা এসে দাঁড়ায় তখন সেটা প্রকাশ না করা হলো নিজের উপর জুলুম!দুঃখিত আমি নিজের উপর জুলুম করতে পারছিনা।আমাদের দেশীয় গৃহপালিত বুদ্ধিজীগণের পাশাপাশি আমার পশ্চিম বঙ্গের বন্ধুরা এ নিয়ে সমানে খিস্তি দিয়েই যাচ্ছে অনলাইনে। পূর্ব বঙ্গের মুসলমান সমাজকে যারপরনাই "অবাঙালী,ম্লেচ্ছ" ইত্যাদির ফোয়ারা ছোটাচ্ছেন তাঁরা।আমার ঐ বন্ধুরা এই উৎসব তাদের বঙ্গে পালন করা হয় কিনা কে জানে!তবে-মঙ্গোল শোভাযাত্রা বাংলাদেশীদের ঘটা করে পালনের উৎসব হলো কবে থেকে? বাংলাদেশীরা প্যাগান সভ্যতা ছেড়ছেন সেই কবে মুসলমান হওয়ার পর পরই। পূর্ববঙ্গ নয় সম্পূর্ণ ভারতের কোন প্রাচীন ইতিহাসে এর উল্লেখ নেই তবুও এটা হয়ে গেলো বাঙ্গালীর প্রাচীনতম উৎসব!যারা ব্লগ পত্রপত্রিকাতে বিজ্ঞানের তুবড়ি ছোটান তাঁরাও বলছেন এই উৎসব নাকি সকল অমঙ্গল তাড়াতে (জঙ্গীবাদ,মৌলবাদ,সন্ত্রাসবাদ) ইত্যাদি তাড়াতে পালন করা হচ্ছে!আমার জোড়ে হাসি পাচ্ছিলো শুনে,সরকার কেন যে প্রশাসন পুষছেন কে জানে! তারচে মাসে একবার দুইবার মঙ্গোল শোভাযাত্রা করলেই পারেন!
বাঙ্গালী মুসলমানদের যেহেতু সাম্প্রদায়িক বলা হলো সেহেতু সত্য বলতেই হয়, 'এই উৎসবে সাম্প্রদায়িকতার ছোঁয়া আছে'!ঐযে রাক্ষস-টাক্ষস ঐসব হিন্দুধর্ম থেকে ধার করা হয়েছে।আর এটাই সাম্প্রদায়িকতার ছাপ চাক্ষুষ দেখা যাচ্ছে। এই উৎসব কে বড়জোর পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের উৎসব হিসাবে খাটান যাবে। যেহেতু এটায় প্যাগানিজমের ছাপ ১০০% দেখা যাচ্ছে আর বিশ্বাসের দিক দিয়েও তাঁরা প্যাগান।
যারা এই উৎসব কে বাঙ্গালীর প্রাচীন উৎসব বলে চালাচ্ছেন তাদের অবগতির জন্য জানানো হচ্ছে, এই উৎসবের বয়স কিন্তু বেশি নয়।
চারুপীঠ নামের একটি সংগঠনের শামীম আর তাঁর বন্ধুরা সহ ৩০০ শিক্ষার্থী ১৯৮৫ সালে যশোরে প্রথমবারের মতো নববর্ষের উৎসবে পাপেট ও মুখোশ নিয়ে বাদ্যাটাদ্য বাজিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে। এরপর ১৯৮৯ সাল থেকে ঢাকা চারুকলার শিক্ষার্থীরা পহেলা বৈশাখের সকালে মঙ্গোল শোভাযাত্রার আয়োজন করে আসতেছেন।আমি যে সাল হতে লেখছি তার মাত্র ৩২ বছর আগে থেকে এই উৎসবের আবিষ্কার হয়।আর নিয়মিত হয় তারও ৪ বছর পর থেকে ৮৯ সালে।
বৈশাখে পান্তাভাত ইলিশমাছ খাওয়া রীতির মতো এটাও হালের নতুন উৎসব।যদি ধরিই হোলীর মতো পালন করবেন, মূর্তি সাজিয়ে "রাক্ষস " কাঁধে ফেলে প্যাঁপু বাঁশি বাজিয়ে দৌড়াতে হবে বাংঙ্গালী হিসাবে এটা ফরজ।বা সরকার ফরজ করছেন বা উৎসব মানেই করতে হবে বাঙ্গালী হিসাবে ইত্যাদি ইত্যাদি, তাহলে আগেই বলে রাখা ভালো এটা পূর্ববঙ্গে ফরজ করা খাটে না। এই উৎসব পশ্চিমবঙ্গেও যদি ফরজ করা হতো তাহলেও কোন আফসুস ছিলোনা। আমাদের জন্য শুধু পহেলা বৈশাখ উৎযাপনই যথেষ্ট ছিলো।পহেলা বৈশাখের পুরানা কোন অনুষ্ঠানে বাঙ্গালী মুসলমান বাগড়া দেয়নি বা বলেনি যে, এটা করা যাবেনা। পহেলা বৈশাখের সাথে মুসলমানরা প্রথম থেকেই জড়িত।যেই ক্যালেন্ডার দেখে বৈশাখ উদযাপন করা হয় সেই ক্যালেন্ডারই 'ফতেউল্লাহ সিরাজি' নামের একজন মুসলমান তৈরী করছেন মোঘল সম্রাট আকবরের আমলে।তাই এটা প্রমাণিত যে,পূর্ব থেকেই নববর্ষ উদযাপনের সাথে মুসলমানরা জড়িত।আসেন বঙ্গাব্দ'র ও পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ইতিহাস দেখিঃ
"ভারতবর্ষে মুঘল সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর সম্রাটরা হিজরী পঞ্জিকা অনুসারে কৃষি পণ্যের খাজনা আদায় করত। কিন্তু হিজরি সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সাথে মিলত না। এতে অসময়ে কৃষকদেরকে খাজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করতে হত। খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জিতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। সম্রাটের আদেশ মতে তৎকালীন বাংলার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে "বঙ্গাব্দ " বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়। আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে বাংলা চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে বাধ্য থাকত। এর পর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। এ উপলক্ষে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হত। এই উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয় যার রূপ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে এই পর্যায়ে এসেছে। তখনকার সময় এই দিনের প্রধান ঘটনা ছিল একটি হালখাতা তৈরি করা। হালখাতা বলতে একটি নতুন হিসাব বই বোঝানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া।"[দ্রঃউইকিপিডিয়া]
ইতিহাসের নিরিখে এইটাকে হাল বৈশাখ বলা যায়।এরপর বিবর্তন হতে হতে আজকের এই পান্তা ইলিশে পৌঁছেছে।আকবরের আমল থেকেই মুসলমান কেউ বৈশাখ উদযাপন নিয়ে টু শব্দটি করেনি বরঞ্চ পালন করে আসছেন খুশির সাথেই,এই নিয়র মুসলমানদের কেউ সংস্কৃতি বিরোধী বলতেতে পারেনি। কিন্তু হালের কিছু বুদ্ধিজীবি, মঙ্গোল শোভা যাত্রার বিরোধীতা করায় মুসলমানদের সংস্কৃতি বিরোধী তো বানিয়েছেনই সাথে মৌলবাদী,সাম্প্রদায়িক ইত্যাদিও বানাচ্ছেন! কেন মুসলমানরা এর বিরোধীতা করছেন সেটা জিজ্ঞেস করার পর্যন্ত কোন বুদ্ধিজীবি বাকি রইলোনা!মূর্তি মুসলমান ধর্মবিরোধী আর মঙ্গোল শোভাযাত্রার মূলই হলো মূর্তি নিয়ে লাফালাফি অতিরঞ্জন করা।মূর্তি বিরোধী মুসলমানরা কিভাবে মূর্তি নিয়া লাফালাফি করবেন? তাদের উপরে জোড় করে এই নতুন সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়াও এক প্রকার সাম্প্রদায়িকতা নয় কি?
সরকারের মন্ত্রী নূর সাহেব জোড় জবরদস্তি করে এটাকে গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছে দিতে চাইছেন এটা কি তিনি ঠিক করছেন? তার উপর এইটা আবার পূর্ববঙ্গে বসবাসরত সংখ্যাগরিষ্ট মুসলামানদের ধর্ম বিরোধী কাজ, আর মূলেও তারা এটার বিরোধী করে আসছেন শুরু থেকে।মুসলমানদের কোন মতামত না নিয়ে বা গুরুত্ব না দিয়ে এটাকে গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছাতে চাওয়ার মানুষিকতা নিঃসন্দেহে হীন কাজ।বুদ্ধিজীবিগণ এই উৎসবে ধর্মীয় অনুভূতির পাত্তাই দিচ্ছেনা।তাঁরা বলছেন যাঁরা এটাকে ধর্মের সাথে মিশাচ্ছেন তাঁরা নাকি সাম্প্রদায়িক! কিন্তু মূলে দেখা যাচ্ছে এটা সম্পূর্ণ রূপে ইসলাম ধর্ম বিরোধী।
বিডিনিউজ২৪ডটকম শিরোনাম করছেন,
"দেয়ালচিত্রে পোড়া মবিল: ‘বাঙালির শৈল্পিক অনুভূতিতে আঘাত’
যারা দেয়ালচিত্র নষ্ট করতে চেয়েছেন তাঁরা নিঃসন্দেহে গর্হিত কাজ করেছে তবে কথা হচ্ছে ভাই আপনাদের শৈল্পিক অনুভূতি থাকতে পারে আর মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি থাকবেনা এটা কেমন কথা? আপনাদের শৈল্পিক অনুভূতি যদি কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে সেটা কি গ্রহণযোগ্য?
আপনাদের শৈল্পিক অনুভূতির মতই মঙ্গোল শোভাযাত্র ইসলাম ধর্ম বিরোধী,আর সেই অনুভূতি থেকেই তাঁরা এই উৎসবের বিরোধীতা করছেন।এই কারণে যে আপনারা বুদ্ধিজীবি নিয়ে মুসলমানদের উপর ঝাপিয়ে পরবেন এটা কেমন বিচার হলো? নিজেদের অনুভূতির বেলায় ১৬ আনা পরের বেলায় ৪ কেন?
আপনারা মাত্র ২৮ বছর আগের উৎসব দিয়ে বাঙ্গালী মুসলমানদের ঐতিহ্য সংস্কৃতি বিরোধী বলছেন অথচ বাংলাদেশের সংস্কৃতি আর বাংলাভাষাটা রক্ষা করছেনই পূর্ব বঙ্গের মুসলমারা,হিন্দুদের কোন অবদান থাকলেও সেটা পূর্ববঙ্গের জন্য গোনায় ধরার মত না।এখানে প্রমাণ স্বরূপ পশ্চিমবঙ্গের বাঙালী লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বইয়ের একটা উদ্বৃতি টাইনা প্রমাণ করতেছি পূর্ববঙ্গের ঐতিহ্য আর বাংলাভাষা রক্ষায় কাদের অবদানঃ
"সেই অভিবক্ত বাংলার বিধান সভায় নবনির্বাচিত মুসলমানরাই ছিলো খাঁটি বাঙালী।এর আগে রাজনীতিতে আসতেন শুধু বড় বড় জমিদার,উকিল,ব্যারিস্টার বা রায়বাহাদুর খাঁনবাহাদুর।তাদের পোশাক হয় সাহেবী অথবা চাপকান।মুখের ভাষা সব সময় ইংরেজী।কিন্তু গ্রাম বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নির্বাচিত মুসলমান প্রতিনিধিরা বিধান পরিষদে নিয়ে এলেন বাংলাভাষা।লুঙ্গির উপরে পাঞ্জাবী পরে আসতেও তাঁদের দ্বিধা নেই।পশ্চিম বাংলার মুসলমানরা তো ধুতি পরে নিয়মিত।তাঁরা তাদের বক্তব্য বাংলায় পেশ করতে লাগলেন।তখন নিয়ম ছিল কোন সদস্য বাংলায় বক্তৃতা করলে তা রেকর্ড তা রেকর্ড করা হোতনা। বক্তব্যের সারাংশ ইংরেজীতে তর্জমা করে দিতে হত।তাই সই।তবু তাঁরা বাংলায় বলবেনই।বাঙালী হিন্দু নেতারা তখন খদ্দেরের ধুতি পাঞ্জাবী ধরেছেন বটে।কিন্তু বক্তৃতার সময় ইংরেজীর ফোয়ারা ছোটান।কে কি বল্লেন সেটা বড় কথা নয়।কে কত জোড়ালো ইংরেজী তুবড়ি ছোটাতে পারেন সেটাই গর্বের বিষয়।হিন্দু নেতাদের মধ্যে হীনম্মন্যতা ছিল যে,সর্বসমক্ষে বাংলা বললে লোকে যদি ভাবে যে,লোকটা ইংরেজী জানেননা!শিক্ষিত মুসলমানদের বালাই নেই।যাঁরা ভালে বক্তা তাঁরাও ইংরেজী ছেড়ে প্রায়ই শুরু করতেন বাংলায়।স্বয়ং ফজলুল হক ছিলেন শিক্ষা দীক্ষায় অনেকের চেয়েই উঁচুতে,তিনি মাঝে মাঝেই ইংরেজীর বদলে শুধু বাংলা নয় একেবারে খাঁটি বরিশালী বাঙাল ভাষায় কথা বলতেও দ্বীধা করতেন না। [দ্রষ্টব্যঃ পূর্ব-পশ্চিম ১ম খণ্ডের ৯৭ নং পৃষ্ঠায়]"
যেহেতু পূর্ব বঙ্গের ঐতিহ্য এবং বাংলা ভাষাটা বাঁচিছেন মুসলমানরাই সেহেতু তাদের ১৯৮৫ সালে আবিষ্কৃত মঙ্গোল শোভাযাত্রা দিয়ে বাংলা সংস্কৃতি বিরোধী বলার আগে ইতিহাস অবশ্য পাঠ্য।আর আপনাদের মঙ্গোল শোভাযাত্রা কি মঙ্গলের? বুকে হাত দিয়া বলতে পারবেন "মঙ্গোল শোভাযাত্রা মঙ্গলকর"? এই একটা দিনে আপনারা জনগণকে রাস্তা আটকিয়ে কি ভোগান ভোগাতে পারেন সেটা সর্বজনবিদিত।
এইবার এই ভোগান্তির কারণেই মঙ্গোল শোভাযাত্রা বাদ দিয়েছে খোদ আওামিলীগই-
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার(এপ্রিল ১৩/২০১৭ ইং) ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “জনগণের যাতে ভোগান্তি পোহাতে না হয়, সেজন্য শোভাযাত্রা বাতিল করা হয়েছে।”[বিডিনিউজ২৪ডটকম ১৩ ই এপ্রিল ২০১৭]
কেন আওয়ামী লীগ পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রা বাতিল করেছে, তার ব্যাখ্যায় ওবায়দুল কাদের বলেছেন,
“আমাদের ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রা হয় বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পর্যন্ত। আমরা চিন্তা করেছি, এ ধরনের শোভাযাত্রায় জনগণের ভোগান্তি হয়। বহুদিন ধরে কোনো ধরনের র্যালি করার পক্ষে আমরা নই।"
তিনি আরো বলেন-
“আমাদের নেত্রীর সংবর্ধনার বড় ধরনের আয়োজন… নেত্রী জানালেন, ‘জনগণকে ভোগান্তি দিয়ে আমার সংবর্ধনার প্রয়োজন নেই’। একই কারণে আমরা শোভাযাত্রাও বাতিল করেছি। আমরা গণভবনে নেত্রীর সঙ্গে বৈশাখী উৎসব পালন করব।… বাইরে মানুষের যেন ভোগান্তি না হয়।” [দ্রঃঐ]
আপনারা ভোগান, তাতেও কোন আপত্তি নেই কিন্তু বাঙ্গালী মুসলমানদের, শোভাযাত্রার বিরোধীতা করার কারণে মৌলবাদী,সাম্প্রদায়িক আর ঐতিহ্য বিরোধী বলার আগে দয়া করে ইতিহাস পড়েন।ইতিহাস একদিন আপনাদের ক্ষমা করবেনা মিথ্যা অপবাদ ও জোড় জবরদস্তি করে এই সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার দায়ে।
পরিচিতিঃ
(-সজল আহমেদ।বিএসএস নিয়ে পড়াশোনা করছি একটি সরকারী কলেজে। দীর্ঘদিন যাবৎ মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতবর্ষের ইতিহাস চর্চায় ব্রত।ইতিহাস চর্চা করতে গিয়ে সত্য মিথ্যার বিভেদ্য দেয়ালের সামনে পরেছি এখনো টপকাতে পারিনি।কোনটি যে প্রকৃত সত্য কোনটি যে সম্পূর্ণ মিথ্যে সেই দেয়াল টপকে যাওয়ার চেষ্টাও করে যাচ্ছি অনবরত। ইতিহাসে উপলব্ধ মিথ্যাকে ভেঙ্গে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করার বাসনা মনে সর্বক্ষণ উৎপিরন করে যাচ্ছে।সফল হওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।ভালো লাগে ইতিহাস চর্চা করতে।ইতিহাস দর্শন সহ অন্যান্য বই পড়তে ও সিনেমা দেখতে।
ইমেইলঃ deshwa24@gmail.com)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন